এডিস মশার প্রকোপ বেশি মন্ত্রিপাড়ায়!

প্রকাশ | ১৪ মে ২০১৯, ১৭:৪২ | আপডেট: ১৪ মে ২০১৯, ১৮:২১

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

রাজধানীতে এডিস মশার প্রকোশ বেশি এমন ১৯টি স্পট চিহ্নিত করা হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রকোপ মন্ত্রিপাড়া খ্যাত রাজধানীর মিন্টো রোড ও বেইলি রোডে। এই এলাকায় চিকুনগুনিয়া ও ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাবও বেশি বলে ওঠে এসেছে একটি প্রতিবেদনে।

২০১৮ সালের এক জরিপ প্রতিবেদনের তথ্য তুলে ধরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জাতীয় ম্যালেরিয়া নির্মূল কর্মসূচির মেডিকেল অফিসার ডা. মো. রাশিদুজ্জামান খান জানিয়েছেন এই তথ্য।

মঙ্গলবার ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনিসিসি) ২ নম্বর ওয়ার্ড মিরপুরের পল্লবীতে সিটি করপোরেশনের কমিউনিটি সেন্টারে ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়াবিষয়ক অবহিতকরণ সভায় তিনি এসব তথ্য তুলে ধরেন। সভার আয়োজন করে ডিএনসিসি ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

রাশিদুজ্জামান জানান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ২৪ শতাংশ বাড়িতে এডিস মশার লার্ভা বা ডিম পাওয়া গেছে। উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) ১৫ শতাংশ বাড়িতেই এই লার্ভার উপস্থিতি রয়েছে। সাধারণত ২০ শতাংশের উপরে গেলে সেটাকে ঝুঁকিপূর্ণ বা এলার্মিং হিসেবে ধরা হয়।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘অধিদপ্তরের ২০১৮ সালের জরিপে দেখা গেছে, রাজধানীর ১৯টি পয়েন্টে ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়ার প্রকোপ বেশি। এগুলো হলো- বনানী, বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা, গাবতলী, মগবাজার, মালিবাগ চৌধুরীপাড়া, মিরপুর-১, মহাখালী ডিওএইচএস, নাখালপাড়া, পূর্বশেওড়াপাড়া, টোলারবাগ, উত্তরা ৯নং সেক্টর, বাংলাবাজার, ধানমন্ডি, এলিফ্যান্ট রোড, গুলবাগ, কলাবাগান, মেরাদিয়া, মিন্টো রোড, বেইলি রোড, শান্তিনগর। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ডেঙ্গুর প্রকোপ মন্ত্রিপাড়া খ্যাত মিন্টো রোড ও বেইলি রোডে। এখানে ৪০ শতাংশ ডেঙ্গুর বংশ বিস্তারের সম্ভাবনা দেখা গেছে।

ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মোমিনুর রহমান মামুন বলেন, ‘আমরা একসঙ্গে কাজ করছি। আমাদের চেষ্টা থাকবে যেন ডেঙ্গু মশা জন্মাতে না পারে। সেজন্য বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সঙ্গে সমন্বয় করে ডিএনসিসির খালগুলো পরিষ্কার রাখার চেষ্টা করছি। খালে গাপ্পি মাছের পোনা ছাড়ার পরিকল্পনা রয়েছে। সবার সম্মিলিত প্রচষ্টায় ডেঙ্গুবাহী মশার বংশ বিস্তার ধ্বংস করতে হবে।’

এই কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা মশক নিধনকর্মীদেরও মনিটরিং করছি। কেউ অনুপস্থিত থাকলে তার শাস্তির ব্যবস্থা করছি। অনেকের বেতন কর্তন করা হয়েছে। যারাই অনুপস্থিত থাকবে তাদের শাস্তির আওতায় নিয়ে আসা হচ্ছে। আমাদের চেষ্টা থাকবে ডেঙ্গু-চিকুনগুনিয়ার প্রকোপ যাতে না বাড়ে।’

ডিএনসিসির অঞ্চল-২ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা এ এস এম সফিউল আজমের সভাপতিত্বে অবহিতকরণ সভায় উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. ইমদাদুল হক, ডিএনসিসির কমিউনিটি মবিলাইজার ডা. মাহমুদা আলী।

(ঢাকাটাইমস/১৪মে/জেআর/জেবি)