ব্লু-ইকোনমির জন্য বাজেটে বরাদ্দের তাগিদ
ব্লু-ইকোনমির বা সমুদ্র সম্পদনির্ভর অর্থনীতির জন্য বাজেটে বরাদ্দ রাখা প্রয়োজন। যাতে করে সমুদ্রসম্পদ অনুসন্ধান ও আহরণ এবং এর সঠিক ব্যবহার করা যায়।
মঙ্গলবার পেট্রোবাংলা ভবনে ব্লু-ইকোনোমি নিয়ে প্রাক বাজেট আলোচনায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
এসময় সাগরের জলরাশি ও এর তলদেশের বিশাল সম্পদকে কাজে লাগিয়ে কীভাবে টেকসই উন্নয়ন করা যায় এর জন্য গবেষণা করা প্রয়োজন বলে আলোচনা ওঠে আসে।
গ্রিন টেক ফাউন্ডেশন ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ এর আয়োজনে এ আলোচনার আয়োজন করা হয়।
ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের সমুদ্র বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান মো. জোবায়ের আলম বলেন, ‘আমাদের শিক্ষার্থীদের পুঁথিগত শিক্ষা দিচ্ছি আমরা। কিন্তু কাজটা প্র্যাকটিক্যাল। শিক্ষাথীদের সমুদ্রে নিয়ে যেতে হবে। আমাদের বাস্তব ওসোনোগ্রাফার তৈরি করতে হবে।’ তিনি বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে মেরিন সায়েন্স বা ওসোনোগ্রাফ অথবা সামুদ্রিক মৎস্যবিজ্ঞানবিষয়ক একাডেমিক কর্মসূচি চালু রয়েছে। কিন্তু বিভাগগুলোর নিজস্ব সমুদ্রগামী বা উপকূলীয় প্রশিক্ষণ ভেসেল নেই। এটা প্রয়োজন। আমাদের নিজস্ব জাহাজ থাকলে ছাত্রছাত্রীদের মাঠপর্যায়ে ব্যবহারিক স্টাডি ও প্রশিক্ষণ দেয়া যেত। গবেষণা কাজের কাজে লাগানো যেত।’
গ্রিনটেক ফাইন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক লুৎফর রহমান, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের উপসচিব খোরশেদ আলম, পররাষ্ট মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব তানভির, গ্রিন টেক ফাউন্ডেশন ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের চেয়ারম্যান ড. মো. আব্দুল মজিদ, অতিরিক্ত সচিব ও ব্লু-ইকোনমি সেলের সমন্বয়ক গোলাম শফিউদ্দিন এনডিসি, ওয়েস্ট্রান মেরিন সিপইয়ার লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর সাখাওয়াত হোসেন, উত্তরা বিশ^বিদ্যালয়ের ব্যবসা প্রশাসন বিভাগের ফ্যাকালটি মেম্বার দিলরুবা চৌধুরী প্রমুখ বক্তব্য দেন।
(ঢাকাটাইমস/১৪মে/জেআর/জেবি)