তথ্যপ্রযুক্তির মামলায় লেখক ইমতিয়াজ মাহমুদ কারাগারে
ফেসবুকে সাম্প্রদায়িক পোস্ট দেয়ার অভিযোগের একটি মামলায় সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও লেখক ইমতিয়াজ মাহমুদকে কারাগারে পাঠিয়েছে সিএমএম আদালত।
২০১৭ সালের খাগড়াছড়ি সদর থানায় তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ওই মামলায় বুধবার ঢাকা মহানগর হাকিম সত্যব্রত শিকদার কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এর আগে এদিন সকালে রাজধানীর বনানীর নিজ বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানোর আবেদন করে আদালতে হাজির করে পুলিশ।
আসামিপক্ষে ঢাকা বারের সাধারণ সম্পাদক আইনজীবী আসাদুজ্জামান খান (রচি) ও সাখাওয়াত হোসেন (তাসলিম) প্রমুখ জামিন আবেদন করে বলেন, আসামি সুপ্রিম কোর্টের একজন আইনজীবী। এ মামলায় তিনি ২০১৭ সালের ২৫ জুলাই চার্জশিট দাখিল না হওয়া পর্যন্ত হাইকোর্ট থেকে জামিন পান। হয়তো বা কোনো একটা কাগজ আদালতে না পৌঁছানোর কারণে পরোয়ানা জারি হয়েছে।
তখন বিচারক বলেন, ২০১৯ সালের ২১ জানুয়ারি তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছে। আর চার্জশিটও বোধহয় চলে এসেছে। তখন আইনজীবীরা বলেন, কোথাও একটা ভুল হচ্ছে। তখন বিচারক বলেন, ভুল আপনাদের হতে পারে আবার আমাদেরও হতে পারে। আর আমার কাছে তো মূল নথি নেই। এরপর আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
২০১৭ সালের ২১ জুলাই খাগড়াছড়ি সদর থানায় তথ্যপ্রযুক্তি আইনের এ মামলা করেন সফিকুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, ২০১৭ সালের ১ জুলাই রাত সোয়া ১২টার দিকে ইমতিয়াজ মাহমুদ ফেসবুকে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা সৃষ্টিমূলক একটি পোস্ট দেন। তার এ পোস্ট খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার যেকোনো স্থানে পাহাড়ি বাঙালিদের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ সৃষ্টির লক্ষ্যে প্রত্যক্ষ উস্কানি ছিল। এরপর ২ জুলাই তিনি আরেকটি মিথ্যা পোস্ট দেন। যা মিথ্যা বলে বাদী উল্লেখ করেন। এছাড়া তিনি ওই বছর ৬ জুলাই এবং ১০ জুলাই পার্বত্য চট্টগ্রামের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের উস্কানিমুলক আরও পোস্ট দেন।
(ঢাকাটাইমস/১৫মে/আরজেড/জেবি)