শিশু অপহরণের দায়ে দুইজনের মৃত্যুদণ্ড, যাবজ্জীবন ৮ জনের
প্রকাশ | ১৬ মে ২০১৯, ১৭:২২ | আপডেট: ১৬ মে ২০১৯, ১৭:২৪
ঢাকার বনানীতে এক শিল্পপতির আট বছর বয়সী মাদ্রাসাপড়ুয়া ছেলেকে মুক্তিপণের জন্য অপহরণের দায়ে দুইজনকে মৃত্যুদণ্ড এবং আটজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
বৃহস্পতিবার ঢাকার ৭ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. খাদেম উল কায়েস এ মামলার রায় ঘোষণা করেন। আসামিদের মধ্যে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ও যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত দুইজন পলাতক। আর সংশ্লিষ্টতা না পাওয়ায় খালাস পেয়েছেন দুই আসামি।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামি হলেন- ঝালকাঠি জেলার কাঠালিয়ার মো. মশিউর রহমান মন্টু ও বরগুনা জেলার আমতলী থানার দক্ষিণ টেপুরার মিজানুর রহমান। যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তরা হলেন- মো. রেজাউল করিম, নজরুল ইসলাম, মো. আবদুল্লাহ আল মামুন, মো. ইকবাল হোসেন শুভ, সজীব আহমেদ কামাল, মো. আলিম হোসেন চন্দন, কাওসার মৃধা ও রেজা মৃধা।
এই আসামিদের মধ্যে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত মিজানুর এবং যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত দুই ভাই কাওসার ও রেজা পলাতক। যাবজ্জীবনের আসামিদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে তিন মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন বিচারক। অপরাধে সংশ্লিষ্টতা প্রমাণিত না হওয়ায় অভিযোগপত্রভুক্ত আসামিদের মধ্যে দুইজনকে খালাস দেওয়া হয়েছে রায়ে।
ট্রাইব্যুনালের রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি আফরোজা ফারহানা আহমেদ অরেঞ্জ রাষ্ট্রপক্ষে ৩১ জনের সাক্ষ্য শুনে আদালত এ মামলার রায় ঘোষণা করে বলে জানান।
রায়ের বিবরণে বলা হয়, ২০১৫ সালের ২ মে রাত সাড়ে ৮টার দিকে বনানী ফ্লাইওভারের নিচে একটি প্রাইভেট কার আটকে এক শিল্পপতির ছেলে ওই মাদ্রাসাছাত্রকে অপহরণ করা হয়। পরে ছেলেটির বাবাকে ফোন করে ১০ কোটি টাকা মুক্তিপণ দাবি করে অপহরণকারীরা।
তারা হুমকি দেয়, টাকা না দিলে ছেলেটিকে তারা হত্যা করবে। তবে দর কষাকষিতে এক পর্যায়ে তারা দুই কোটি টাকায় শিশুটিকে মুক্তি দিতে সম্মত হয়। সে অনুযায়ী ছেলেটির বাবা ৬ মে কয়েকটি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ১ কেটি ৭৩ লাখ টাকা জমা দেন। বাকি ২৭ লাখ টাকা হাতে হাতে দিয়ে কুর্মিটোলা হাসপাতালের সামনে থেকে ছেলেকে ফিরে পান বাবা।
পরে ১৭ মে ছেলেটির মামা বনানী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে এ মামলা দায়ের করেন। সেদিনই র্যাবের একটি দল মিজানসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে।
(ঢাকাটাইমস/১৬মে/ডিএম)