চুরির গরু বিক্রি করতে গিয়ে ধরা ১০ চোর

কিশোরগঞ্জের ভৈরবে চুরির গরু বিক্রি করতে গিয়ে পুলিশের কাছে ধরা পড়েছে ১০ চোর। এ সময় ১০টি গরু ও দেশীয় অস্ত্র জব্দ করা হয়। জব্দ করা হয় গরু বোঝাই করা একটি নৌকাও।

শুক্রবার ভোর সাড়ে চারটায় ভৈরব উপজেলার আগানগর গ্রামের ডিগচর এলাকার মেঘনা নদীতে একটি নৌকা থেকে তাদের আটক করে ভৈরব নৌ পুলিশ।

আটকরা হলেন, ভৈরবের চন্ডিবের এলাকার মো. সিরাজ মিয়ার ছেলে শান্ত আহমেদ, একই এলাকার আব্দুল হালিমের ছেলে বিপুল মিয়া, চন্ডিবের এলাকার দুলাল মিয়ার ছেলে সাগর মিয়া, আগানগর গ্রামের আ. মজিদের ছেলে মো. বেল্লাল মিয়া, মিঠামইন উপজেলার আটপাড়া গ্রামের মৃত ফজর আলীর ছেলে মো. হৃদয় , হবিগঞ্জ জেলার আজমিরী উপজেলার কামারপুর গ্রামের মৃত আ. আলীমের ছেলে নোমান উদ্দিন, অষ্টগ্রাম উপজেলার কাগজদিয়া গ্রামের ছিদ্দিক মিয়ার ছেলে খোকন মিয়া, সরাইল উপজেলার ডামোড়া গ্রামের জাবেদ মিয়ার ছেলে বরকতউল্লাহ, মিঠামইন উপজেলার বরকান্দা গ্রামের নয়েচ উদ্দিনের ছেলে ইলিয়াছ মিয়া, ইটনা উপজেলার লাইমপাশা গ্রামের মো. রহমত আলীর ছেলে আনোয়ার হোসেন। আটকরা আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সদস্য বলে জানায় পুলিশ।

ভৈরব নৌপুলিশ ফাঁড়ির পরির্দশক শামসুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, মেঘনা নদীতে নিয়মিত টহল দেয়ার সময় ভোররাতে সন্দেহজনকভাবে একটি নৌকা দেখতে পেয়ে সেটিকে অনুসরণ করে পুলিশ। এ সময় পুলিশকে দেখে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ সদস্যরা নৌকাটিকে ধাওয়া করে আটক করে। পরে সেখান থেকে ১০টি গরু, রামদা, ছুরি, বল্লমসহ ১০ জনকে আটক করে ভৈরব নৌপুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। কিশোরগঞ্জ জেলার অষ্টগ্রামের জং শাহ হাওর থেকে গরুগুলো চুরি করে ভৈরবে বিক্রির জন্য আনা হচ্ছিল বলে জিজ্ঞাসাবাদে আটকরা জানান।

আটক চোরের সর্দার ইটনা উপজেলার আনোয়ার মিয়া বলেন, তারা গরু চুরি করে ভৈরবের মধ্যচর এলাকার রফিক মিয়ার কাছে বিক্রি করে। আটককৃত ১০ গরু রফিকের কাছে বিক্রির জন্য ভোরে নৌকা করে গরু নিয়ে যাচ্ছিলেন বলে জানান তিনি।

চুরি হওয়া গরুর মালিক অষ্টগ্রামের আসমত খান মাস্টারের ছেলে মোজাম্মেল খান জানান, তাদের সাতটি গরু ও তার চাচার তিনটি গরু জং শাহ হাওরে একটি ঘরে রাখা ছিল। রাতে ১০টি গরুই চুরি করে নিয়ে যায় চোরের দল। সকালে খবর পেয়ে ভৈরবে গিয়ে গরুগুলো শনাক্ত করি।

ভৈরব নৌ পুলিশ ফাঁড়ির এসআই ফজলুল হক বলেন, আটককৃত ব্যক্তিদের মধ্য কয়েকজনের বিরুদ্ধে কিশোরগঞ্জ জেলার বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। যেহেতু চুরি হওয়া গরুর মালিকের বাড়ি অষ্টগ্রাম থানায় সেহেতু সংশ্লিষ্ট থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

ঢাকাটাইমস/১৭মে/প্রতিনিধি/এমআর