ফরিদপুর মেডিকেল কলেজের তিন ছাত্রলীগ নেতাকে মারধর-ছুরিকাঘাত

প্রকাশ | ১৮ মে ২০১৯, ২৩:৩৯ | আপডেট: ১৮ মে ২০১৯, ২৩:৫০

প্রতিনিধি, ফরিদপুর
ফরিদপুর মেডিকেল কলেজের তিন ছাত্রলীগ নেতাকে মারধর ও ছুরিকাঘাত করার ঘটনা ঘটেছে। জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সমর্থকরা এ হামলা করেছেন বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের। তবে জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি নিশান মাহমুদ এ ঘটনায় জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছেন।   
 
শুক্রবার দিবাগত রাত সোয়া তিনটার দিকে ফরিদপুর শহরের গোয়ালচামট এলাকার ভাঙ্গা রাস্তার মোড়ে এ ঘটনা ঘটে। 
 
হামলায় আহতরা হলেন- শিক্ষানবিশ চিকিৎসক ও মেডিকেল কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি মো. রায়হানুল ইসলাম (২৫), শিক্ষানবিশ চিকিৎসক ও ছাত্রলীগ মেডিকেল কলেজ শাখার সহ-সভাপতি আদনান ইব্রাহিম (২৫) ও পঞ্চম বর্ষের শিক্ষার্থী ছাত্রলীগ কর্মী মো. রেদোয়ান খান (২৩)।
 
এর মধ্যে আদনান ইব্রাহিম ও মো. রেদোয়ান খানকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
 
মেডিকেল কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি মো. রায়হানুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, শুক্রবার রাতে সেহরির পর তারা তিনজন একটি ইজিবাইকে করে কলেজ ক্যাম্পাস থেকে আনুমানিক দুই কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ভাঙ্গারাস্তার মোড়ে একটি চায়ের দোকানে গিয়েছিলেন। ওই দোকানে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতিসহ তাদের সমর্থকরা ছিল। দোকানে বসে সিগারেট পান নিয়ে জেলা ছাত্রলীগের নেতা ও সমর্থকদের সাথে তাদের বাদানুবাদ হয়। এক পর্যায়ে তাদের মারধর করা হয়। তিনি বলেন, ওই সময় আদনানকে পিঠে ও পায়ে ছুরিকাঘাত করা হয়।
 
ছাত্রলীগ নেতা আরো বলেন, জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলামের নেতৃত্বে দুই ভাগে বিভক্ত। তারা সম্পাদকের অনুসারী বলে জেলা সভাপতি তাদের উপর ক্ষুব্ধ ছিলেন।
 
তবে অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নিশান মাহমুদ বলেন, ঘটনার সময় ওই চায়ের দোকানে তিনি ছিলেন না। তার কয়েকজন সমর্থক ছিলেন। মেডিকেলের ছেলেরা তাদের তুলনায় অনেক কম বয়স্ক। তারা উৎশৃংখল আচরণ করেন এবং তারা নেশাগ্রস্ত ছিলেন। এ জন্য এ জাতীয় ঘটনা ঘটেছে।
 
তিনি বলেন, ‘ওই সময় আমি ছিলাম না। খবর পেয়ে পরে ঘটনাস্থলে যাই। ছুরি মারার কোন ঘটনা ঘটেনি।’
 
এ ছাত্রলীগ নেতার ভাষ্য, যে ঘটনাটি ঘটেছে সেটি রাজনৈতিক কোন ঘটনা নয়। বেয়াদবির কারণে এ ঘটনা ঘটেছে। তিনি বলেন, তাদের উপর আমি ক্ষুব্ধ হলে অনেক কিছুই ঘটতে পারতো। আমি প্রতিহিংসা কিংবা মারামারির রাজনীতিতে বিশ্বাসী নই। সবাই জানে আমার আচরণ সম্পর্কে।
 
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক কামদা প্রসাদ সাহা জানান, তিনি অফিসিয়াল কাজে ঢাকায় অবস্থান করছেন। তাকে ফোনে বলা হয়েছে ভাঙ্গা রাস্তার মোড়ে মারামারি হয়েছে। এর বেশি কিছু জানা নেই।
 
ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ার্ড মাস্টার মো. সাখাওয়াত মোস্তফা বলেন, আদনান ইব্রাহিমসহ দুইজন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আদনানের পিঠে ও পায়ে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে।
 
ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ এফএম নাসিম বলেন, শুক্রবার দিবাগত রাত সোয়া তিনটার দিকে শহরের ভাঙ্গা রাস্তার মোড়েমার পিটের কোন ঘটনার কথা আমার জানা নেই। কেউ কোন অভিযোগ করেনি।
 
ঢাকাটাইমস/১৮মে/ ইএস