রমনা বটমূলে বোমা হামলা

বিস্ফোরক আইনের মামলায় দুজনের সাক্ষ্যগ্রহণ

প্রকাশ | ১৯ মে ২০১৯, ১৬:৫৪

আদালত প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
ফাইল ছবি

রমনা বটমূলে বোমা হামলার ঘটনায় করা বিস্ফোরক আইনের মামলায় দুজনের সাক্ষ্য নিয়েছে ট্রাইব্যুনাল। রবিবার ঢাকার এক নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান তাদের সাক্ষ্য নেন। যে দুজন সাক্ষী দিয়েছেন তারা হলেন- সিলেটের কানাইঘাট থানার এসআই কাইয়ুম মুন্সী এবং মানিকগঞ্জের সিংগাইর বাছত গ্রামের দারগ আলী বেপারীর ছেলে সামছুল ইসলাম।
সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে সোমবার থেকে বৃহস্পতিবার সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করা হয়। এ নিয়ে মামলাটিতে মোট ২৮ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হলো।
গত ২৫ এপ্রিল এই দুই সাক্ষীসহ ১৩ সাক্ষীর বিরুদ্ধে অজামিনযোগ্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।

অজামিনযোগ্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হওয়া অপর সাক্ষীরা হলেন- ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের প্রধান ডা. মো. মিজানুল হক, একই বিভাগের ডা. মিজানুর রহমান, ডা. নুরুল ইসলাম ও ডা. ফজলুল করিম, কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালের ডা. মো. আশরাফ হোসেন, কিশোরগঞ্জের ভৈরব থানার এসআই মতিয়ার রহমান, বগুড়ার শাহজাহানপুর থানার এসআই আনোয়ার হোসেন, কুমিল্লার দাউদকান্দি থানার এসআই আমানুল্লাহ, খুলনার রূপসা থানার এএসআই মো. আহসান আলী, গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ার এএসআই ফজলুল হক এবং মাদারীপুরের রাজৈর থানার এএসআই আনোয়ার হোসেন।

২০০৯ সালের ১৬ এপ্রিল মামলাটিতে আদালত অভিযোগ গঠন করেন। ওই সময় বিস্ফোরক আইনের ৩ ও বিশেষ ক্ষমতা আইনের ২৬ ধারায় অভিযোগ গঠন করা হয়। তাই ৩ ধারার সঙ্গে ৬ ধারা যুক্ত করে এবং বিশেষ ক্ষমতা আইনের ২৬ ধারার প্রয়োজনীয়তা না থাকায় তা বাদ দিয়ে অভিযোগ গঠন করা হয়।

একই ঘটনায় করা হত্যা মামলায় একই আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন হয়ে ২০১৪ সালের ২৩ জুন রায় ঘোষণা করেন আদালত। রায়ে মুফতি হান্নানসহ আটজনের মৃত্যুদণ্ড এবং অপর ছয়জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- মুফতি হান্নান, আরিফ হাসান সুমন, শাহাদত উল্লাহ ওরফে জুয়েল, আবু তাহের, আ. রউফ, আকবর হোসাইন ওরফে হেলালউদ্দিন, মো. তাজউদ্দিন, সাব্বির ওরফে আব্দুল হান্নান সাব্বির, শওকত ওসমান ওরফে শেখ ফরিদ, জাহাঙ্গীর আলম বদর, আবু বকর ওরফে সেলিম হাওলাদার, শফিকুর রহমান, ইয়াহিয়া ও আব্দুল হাই।
২০০১ সালের ১৪ এপ্রিল ছায়ানটের বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে বোমা হামলায় ১০ জন নিহত হয়। আহত হয় বহু মানুষ। ২০০৮ সালের ৩০ নভেম্বর ১৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে সিআইডি।

ঢাকাটাইমস/১৯মে/আরজে/এমআর