বুথ ফেরত জরিপ
মোদির জয়ের আভাস, বিরোধী শিবিরে হতাশা
ভারতের লোকসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ সমাপ্ত হয়েছে। এরই মধ্যে একাধিক বুথ ফেরত জরিপে নরেন্দ্র মোদির দলের বড় জয় পাওয়ার আভাস মিলেছে। এমতাবস্থায় বিরোধী শিবিরগুলোতে হতাশার ছাপ দেখা দিয়েছে।
নির্বাচনে ভারতীয় জনতা পার্টি এবং প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসের মধ্যেই লড়াই হয়েছে। সঙ্গে ছিল উভয় দলের মিত্র শক্তিশালী আঞ্চলিক রাজনৈতিক দলগুলো। পুরো দেশ জুড়ে সাতটি ধাপে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আগামী ২৩ শে মে নির্বাচনের ফল ঘোষণা করা হবে। তবে বিশ্লেষকরা সতর্ক করে দিয়েছেন যে বুথ ফেরত জরিপের ফলাফল অতীতে ভুল প্রমাণিত হয়েছে। এই নির্বাচনটিকে অনেকেই নরেন্দ্র মোদির প্রশ্নে গণভোট হিসেবে দেখছেন।
সরকার গঠনের জন্য একটি একটি রাজনৈতিক দল বা জোটকে নির্বাচনে ২৭২টি আসনে জয়লাভ করতে হবে।
চারটি বুথ ফেরত জরিপে দেখা যাচ্ছে, বিজেপির নেতৃত্বে ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স (এনডিএ) বড় ধরনের বিজয়ের দিকে অগ্রসর হচ্ছে বলে আঁচ পাওয়া যাচ্ছে।
এসব জরিপে অনুমান করা হচ্ছে, বিজেপির নেতৃত্বে জোট ২৮০ থেকে ৩১৫ টি আসনে জয়লাভ করবে। বিরোধী দল কংগ্রেসের তুলনায় বিজেপি জোট অনেকে এগিয়ে আছে বলে বুথ ফেরত জরিপে বলা হচ্ছে।
তবে নেলসন-এবিপি নিউজের যৌথ জরিপে বলা হচ্ছে, বিজেপি জোট ২৬৭টি আসনে জয়লাভ করবে, যেটি সংখ্যাগরিষ্ঠতার চেয়ে কম।
উত্তর প্রদেশে বিজেপি জোট ব্যাপকভাবে পরাজিত হবে বলে এই জরিপে আভাস মিলছে। এই প্রদেশে ৮০টি সংসদীয় আসন রয়েছে। ভারতের অন্য যেকোনো চেয়ে উত্তর প্রদেশে আসন সংখ্যা সবচেয়ে বেশি।
২০১৪ সালের নির্বাচনে বিজেপি উত্তর প্রদেশে ৭১টি আসনে জয়লাভ করেছিল। এবার বুথ ফেরত জরিপে আভাস মিলছে, আঞ্চলিক রাজনৈতিক দলের কাছে ৫১টির মতো আসন হারাতে পারে বিজেপি।
বিজেপি তাদের টুইটার অ্যাকাউন্টে একটি কার্টুন পোস্ট করেছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, নরেন্দ্র মোদি ছোট রাজনৈতিক দলগুলোকে পিষে দিচ্ছেন এবং দুপাশ থেকে মানুষ সে দৃশ্য দেখছে।
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি বলেছেন, তিনি এসব বুথ ফেরত জরিপের গল্প বিশ্বাস করেন না। বুথ ফেরত জরিপ গুজবের মাধ্যমে নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে কারসাজি করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে।
অন্যদিকে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধি টুইটার বার্তায় নির্বাচন কমিশনের কড়া সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে আপোষ করেছে।
এক টুইট বার্তায় কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধি গৌতম বুদ্ধের একটি বাণী তুলে দিয়েছেন। তাতে লেখা, ঘৃণাকে ঘৃণা দিয়ে বন্ধ করা যায় না। বরং ভালোবাসা দিয়ে বন্ধ করতে হয়। এটি একটি অপরিবর্তনীয় আইন।
ঢাকা টাইমস/২০মে/একে