ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে ২০ দফা প্রস্তাবনা

নিজস্ব প্রতিবেদক
ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ২০ মে ২০১৯, ১০:৩৬ | প্রকাশিত : ২০ মে ২০১৯, ১০:৩৩
ফাইল ছবি

ঈদযাত্রা নিরাপদ ও নির্বিঘ্ন করতে ২০ দফা প্রস্তাবনা জানিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি। এর মধ্যে রয়েছে জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়ক থেকে ফিটনেসবিহীন যানবাহন, নসিমন-করিমন, ইজিবাইক, অটোরিকশা, ব্যাটারি ও প্যাডেলচালিত রিকশার পাশাপাশি মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধের দাবি।

সংগঠনের মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী সোমবার গণমাধ্যামে পাঠানো এক বিবৃতিতে বলেন, ‘প্রতিবছর ঈদ আনন্দযাত্রায় সড়ক দুর্ঘটনায় বহুলোকের প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতি হয়ে থাকে। এখান থেকে উত্তোরণ ঘটিয়ে সড়ককে নিরাপদ করার জন্য দীর্ঘগতি ও দ্রুতগতির যানবাহনের জন্য আলাদা লেন চালুর দাবি জানাচ্ছি।’

এবারের ঈদে লম্বা ছুটি পরিকল্পিতভাবে কাজে লাগিয়ে রেশনিং পদ্ধতিতে ঈদযাত্রা নিশ্চিত করা গেলে ভোগান্তি ও দুর্ঘটনামুক্ত নিরাপদ ও নির্বিঘ্ন যাত্রা নিশ্চিত করা সক্ষম হবে মনে করে সংগঠনটি। এই জন্য সংগঠনর পক্ষ থেকে ২০ দফা প্রস্তাবনা অনুসরণের দাবি জানানো হয়।

২০ দফা প্রস্তাবনা

১. জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়ক থেকে ফিটনেসবিহীন যানবাহন, নসিমন-করিমন, ইজিবাইক, অটোরিকশা, ব্যাটারি ও প্যাডেলচালিত রিকশার পাশাপাশি মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধ করা।

২. মোটরসাইকেলে ঈদযাত্রা নিষিদ্ধ করা।

৩. গার্মেন্টস ও অন্যান্য শিল্প কলকারখানা রেশনিং পদ্ধতিতে ছুটির ব্যবস্থা করা।

৪. টোল প্লাজার সবকটি বুথ চালু করা ও দ্রুত গাড়ি পাসিংয়ের ব্যবস্থা করা।

৫. মহাসড়কের পাশে অস্থায়ী হাটবাজার উচ্ছেদ করা।

৬. দুর্ঘটনা প্রতিরোধে স্পিডগান ব্যবহার ও উল্টোপথের গাড়ি চলাচল বন্ধ করা।

৭. মহাসড়ক অবৈধ দখল ও পার্কিংমুক্ত করা।

৮. অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের নৈরাজ্য বন্ধ করা।

৯. অযান্ত্রিক যানবাহন ও পণ্যবাহী যানবাহনে যাত্রীবহন নিষিদ্ধ করা।

১০. ঈদের আগে ও পরে সড়কে যানবাহন থামিয়ে চাঁদাবাজি বন্ধ করা।

১১. লাইসেন্সবিহীন ও অদক্ষ চালক ঈদযাত্রায় নিষিদ্ধ করা।

১২. বিরতিহীন ও বিশ্রামহীনভাবে যানবাহন চালানো নিষিদ্ধ করা।

১৩. জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়কের ফুটপাত, জেব্রাক্রসিং, পদচারী সেতু, আন্ডারপাস, ওভারপাস দখলমুক্ত করে যাত্রীসাধারণের যাতায়াতের ব্যবস্থা রাখা।

১৪. ঝুঁকিপূর্ণ সড়ক দ্রুত মেরামতের ব্যবস্থা করা।

১৫. ফেরিঘাট, লঞ্চঘাট, নগরীর প্রবেশমুখ ও সড়কের গুরুত্বপূর্ণ ইন্টারসেকশনসমূহে দ্রুত গাড়ি পাসিংয়ের ব্যবস্থা করা।

১৬. যাত্রা বিরতিকালে খাবার হোটেলে যাত্রীসাধারণ যাতে মানসম্পন্ন সাশ্রয়ীমূল্যে সেহেরি ও ইফতারি গ্রহণ করতে পারে এর ব্যবস্থা করা।

১৭. দুর্ঘটনা কবলিত যানবাহন দ্রুত উদ্ধার আহতদের চিকিৎসা ব্যবস্থা করা।

১৮. অপ্রত্যাশিত যানজটের কবলে আটকে পড়া যাত্রীদের টয়লেট ব্যবহারের সুবিধা রাখা, ইফতারির সুবিধার্থে পানীয় জলের ব্যবস্থা রাখা।

১৯. জাতীয় মহাসড়কের গুরুত্বপূর্ণ ইন্টারসেকশন, মিডিয়ান গ্যাপ ও বাঁকে যানজট নিরসনের ব্যবস্থা রাখা।

২০. সড়কে নিয়োজিত সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানসমূহের ঈদের ছুটি বাতিল করা।

(ঢাকাটাইমস/২০মে/জেবি)

সংবাদটি শেয়ার করুন

জাতীয় বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

জাতীয় এর সর্বশেষ

সংরক্ষিত আসনের এমপিদের মধ্যেও সংখ্যায় এগিয়ে ব্যবসায়ীরা: সুজন

মানবাধিকার ও ভোক্তা অধিকার রক্ষায় গণমাধ্যমের ভূমিকা জরুরি: ড. কামাল উদ্দিন

বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ করে রেলকে গড়ে তুলতে হবে: রেলমন্ত্রী

ইভ্যালির রাসেল-শামিমার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

স্বাস্থ্যমন্ত্রীর আশ্বাসে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতি প্রত্যাহার

জিম্মি নাবিকদের মুক্তির আলোচনা অনেকদূর এগিয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

ডিএনসিসি কার্যালয় সরানোর মধ্য দিয়ে কারওয়ান বাজার স্থানান্তরের প্রক্রিয়া শুরু 

বিএসএমএমইউ উপাচার্যের দায়িত্ব নিলেন দীন মোহাম্মদ, বললেন ‘কোনো অন্যায় আবদার শুনব না’

সাত বিভাগে ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি হতে পারে

বাংলাদেশে মুক্ত গণতন্ত্র বাস্তবায়নে সমর্থন অব্যাহত থাকবে: যুক্তরাষ্ট্র

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :