আশ্বাসে পিছু হটলেন ছাত্রলীগের পদবঞ্চিতরা

প্রকাশ | ২০ মে ২০১৯, ১১:১৬ | আপডেট: ২০ মে ২০১৯, ১২:১৩

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

পদ না পাওয়ায় আন্দোলনে থাকা ছাত্রলীগের বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা তাদের আন্দোলন স্থগিত করেছেন। রবিবার রাত ১টার দিকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের কয়েকজন সিনিয়র নেতার উপস্থিতিতে মূল্যায়নের আশ্বাস পেয়ে তারা আন্দোলন স্থগিতের ঘোষণা দেন।

এর আগে পদবঞ্চিতদের একটি দল আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর কার্যালয়ে কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতার সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক মোজাম্মেল হক, বাহাউদ্দিন নাছিম, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মোল্লা আবু কাওসার।

এ সময় পদবঞ্চিতদের কয়েকটি আশ্বাস দেন সিনিয়র নেতারা। সেগুলো হলো: শিগগির আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে পদবঞ্চিত নেতাদের সাক্ষাৎ করিয়ে দেওয়া হবে, গত সোমবার পদবঞ্চিতদের ওপর মধুর ক্যান্টিনে হামলার ঘটনা এবং গত শনিবার টিএসসিতে হামলার ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার হবে, অধিকতর তদন্তের মাধ্যমে বিতর্কিতদের পদগুলোকে শূন্য ঘোষণা করে যোগ্যতার ভিত্তিতে সেসব পদে পদবঞ্চিতদের দিয়ে পূরণ করতে হবে।

বৈঠকে ছাত্রলীগের সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন, সাধারণ সম্পাদক গোলাম রব্বানী উপস্থিত ছিলেন। পদবঞ্চিতদের প্রতিনিধি হিসেবে ছিলেন রোকেয়া হলের সভাপতি বিএম লিপি আক্তার, বাংলাদেশ কুয়েত মৈত্রী হলের সাধারণ সম্পাদক ফরিদা পারভীন, শামসুন নাহার হলের সভাপতি নিপু ইসলাম তন্বী, ডাকসুর সদস্য তিলোত্তমা সিকদার, গত কমিটির প্রচার সম্পাদক সাঈফ বাবু, বাংলাদেশ কুয়েত মৈত্রী হলের সভাপতি শ্রাবণী শায়লা, জসীম উদ্দীন হলের সাধারণ সম্পাদক শাহেদ খান।

দীর্ঘ বৈঠক শেষে ছাত্রলীগ সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন পদবঞ্চিতদের উদ্দেশে বলেন, ‘পদের লোভ না করে দল ও দেশের জন্য কাজ করতে হবে। ছাত্রলীগ কোনো স্থায়ী জিনিস না, একটা চলমান প্রক্রিয়া। ছাত্রলীগ করতে না পারলে যুবলীগ বা আওয়ামী লীগ করবেন। রাজনীতির একটা চর্চা থাকতে হবে। এভাবে এটা কিন্তু রাজনীতি চর্চা না। সবার প্রতি অনুরোধ, কাদা ছোড়াছুড়িটা আর না করি, ছাত্রলীগের সুনামটা আর নষ্ট না করি। কালকে থেকে একসঙ্গে পথচলে দু–এক দিনের মধ্যে বিষয়গুলো চিন্তাভাবনা করি।’

এ সময় সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী বলেন, ‘আপা প্রথমত আমাদের সবাইকে এক ছাতার নিচে দেখতে চান। আপা দ্বিধাবিভক্ত কারও সঙ্গে কথা বলবেন না। আপা বলেছেন, আগে একই টেবিলে বসে দেখান ছাত্রলীগ একটা পরিবার, আমরা একটা ঐক্যবদ্ধ পরিবার ধারণ করছি, তারপর তিনি আমাদের সব কথা শুনবেন ৷ কিছুদিন আগে আপার চোখের অপারেশন হয়েছে। আপা একটু বেটার ফিল করলে সবার সঙ্গে কথা বলবেন।’

আংশিক কমিটি প্রকাশের প্রায় ১০ মাস পর গত সোমবার ছাত্রলীগের ৩০১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয় ৷ ওই দিন সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে পদবঞ্চিত ও প্রত্যাশিত পদ না পাওয়া ছাত্রলীগের বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীরা সংবাদ সম্মেলন করতে গেলে সংগঠনের বর্তমান সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের অনুসারীরা তাদের ওপর হামলা চালান ৷ এতে কয়েকজন নারী নেত্রীসহ ১০ থেকে ১২ জন আহত হন। শনিবার রাতে টিএসসিতে পদবঞ্চিতদের ওপর আরেক দফা হামলা হয়। পরে বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে অনশনে বসেন।

(ঢাকাটাইমস/২০মে/জেবি)