সময়ের আগেই কাজ শেষ, সাশ্রয় হাজার কোটি

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ২০ মে ২০১৯, ১৮:১৯

বাংলাদেশে এমন ঘটনা এখন প্রায় কল্পনার বাইরে চলে গেছে। বরং প্রকল্প বাস্তবায়নে বারবার সময় আর ব্যয় বৃদ্ধিই নিয়ম হয়ে গেছে। সেখানে মূল চুক্তির এক মাস আগে এবং বরাদ্দ সময়ের সাত মাস আগে শেষ হলো কাঁচপুর, মেঘনা ও গোমতী দ্বিতীয় সেতুর নির্মাণকাজ। একই সঙ্গে প্রায় হাজার কোটি সাশ্রয় করেছে জাপানি নির্মাণ প্রতিষ্ঠান।

ইতিমধ্যে কাঁচপুর দ্বিতীয় সেতু যানচলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে। আর মেঘনা ও গোমতী দ্বিতীয় সেতু আসছে ২৫ মে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উদ্বোধনের পর যান চলাচরের জন্য খুলে দেওয়া হবে।

এর আগে সর্বশেষ ১৯৯৫ সালে দেখা গেছে নির্ধারিত সময়ের আগে কাজ শেষ হওয়ার ঘটনা। সেটিও এই তিন সেতুর একটি গোমতীর কাজ করেছিল জাপানি প্রতিষ্ঠান। প্রকল্প সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

প্রকল্প পরিচালক আবু সালেহ মো. নুরুজ্জামানের ভাষ্যমতে, চুক্তি অনুযায়ী কাঁচপুর দ্বিতীয় সেতু নির্মাণের সময়সীমা ছিল ২০১৮ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত। আর মেঘনা ও গোমতীর মেয়াদ ছিল এ বছরের জুন-জুলাই পর্যন্ত। কিন্তু গুলশানে হলি আর্টিজান হামলার ঘটনার কারণে নির্মাণকাজ ছয় মাস বন্ধ ছিল। তাই নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শেষ করতে ছয় মাস অতিরিক্ত সময় চেয়েছিল।

সেই ছয় মাস সময় নির্মিতা প্রতিষ্ঠান নেয়নি জানিয়ে প্রকল্প পরিচালক বলেন, ‘বরং মূল চুক্তির প্রায় এক মাস আগে এই প্রকল্পের কাজ শেষ করেছে তারা।’

প্রায় ২৪ বছর আগে ১৯৯৫ সালে গোমতী সেতুর কাজে একই কৃত্বিত্ব জাপানি প্রতিষ্ঠানটি দেখিয়েছিল বলে জানান প্রকল্প পরিচালক। তিনি বেলন, ‘১৯৯১ সালে পুরনো মেঘনা এবং ১৯৯৫ সালে গোমতী সেতুর কাজ নির্ধারিত সময়ের আগে শেষ করা হয়েছিল। সে কাজগুলোও নিয়েছিল জাপানের কোম্পানিরা।’

সময়ের সঙ্গে সঙ্গে অর্থেরও সাশ্রয় হয়েছে এসব প্রকল্পে। বরাদ্দকৃত অর্থের চেয়ে কম খরচে নির্মিত হয়েছে সেতুগুলো। জানা যায়, কাঁচপুর, মেঘনা ও গোমতী দ্বিতীয় সেতুর নির্মাণ প্রকল্পে বরাদ্দ ছিল ৮ হাজার ৪৮৬ কোটি ৯৪ লাখ টাকা। ৭ হাজার ৭৮৬ কোটি টকার মধ্যে কাজ শেষ করেছে প্রতিষ্ঠানটি।

এদিকে সড়ক ও জনপথ সূত্রে জানা গেছে, মেঘনা দ্বিতীয় সেতুর জন্য বরাদ্দ ছিল ২ হাজার ২৫০ কোটি টাকা। কাজ শেষ হয়েছে ১ হাজার ৭৫০ কোটি টাকায়।

গোমতী সেতুর জন্য বরাদ্দ ২ হাজার ৪১০ কোটি টাকার মধ্যে খরচ হয়েছে ১ হাজার ৯৫০ কোটি টাকা।

এসব টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে যাবে কি না সে বিষয়ে নুরুজ্জামান বলেন, নতুন ও পুরাতন সেতুগুলো সংস্কার কাজ সম্পন্নের পরই সে বিষয়ে জানা যাবে।

(ঢাকাটাইমস/২০মে/মোআ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

জাতীয় বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

জাতীয় এর সর্বশেষ

ঈদযাত্রায় সড়কে লক্কর ঝক্কর যানবাহন ঠেকাতে কঠোর থাকবে হাইওয়ে পুলিশ

বঙ্গবন্ধু লেখক জোটের কমিটি: তামিজী প্রেসিডেন্ট, শিহাব সেক্রেটারি

ঈদযাত্রায় বাড়তি ভাড়া নিলে সেই পরিবহন বন্ধ করে দেওয়া হবে: রাঙ্গা

তিন অঞ্চলে মৃদু তাপপ্রবাহ, আট বিভাগে বৃষ্টির আভাস

চার অঞ্চলে সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড় হতে পারে

বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি কিশোর নিহত হওয়ার ঘটনায় বিএনপির নিন্দা 

কারওয়ান বাজারের কাঁচাবাজার ব্যবসায়ীদের গাবতলিতে স্থানান্তর করা হবে

বিএনপি নয়, আওয়ামী লীগই পরাজিত হয়েছে: মজনু

বোনের পর চলে গেল শিশু তাওহিদও, মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১১

রাজধানীতে কিশোর গ্যাংয়ের লিডারসহ ২০ সদস্য আটক, অস্ত্র উদ্ধার

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :