বঞ্চিত নেতাদের হালচাল-৩

দলের চেয়ে আইন পেশায় বেশি মনোযোগ দেলোয়ারপুত্র ডাবলুর

বোরহান উদ্দিন
| আপডেট : ২১ মে ২০১৯, ১০:০৯ | প্রকাশিত : ২১ মে ২০১৯, ০৯:১৮

বিএনপির প্রয়াত মহাসচিব দেলোয়ার হোসেনের ছেলে খোন্দকার আবদুল হামিদ ডাবলু। একাদশ সংসদ নির্বাচনে দল থেকে মানিকগঞ্জ-১ আসন থেকে মনোনয়ন পাওয়া নিয়ে অনেক ঝড়ঝাপ্টা পোহাতে হয়েছে তাকে। শেষ পর্যন্ত দলের গুডবুকে না থাকলেও ভাগ্যসুপ্রসন্ন হওয়ায় আদালতের রায়ে শেষ পর্যন্ত নির্বাচন করার সুযোগ পেয়েছিলেন ডাবলু। কিন্তু এর মাঝে মনোনয়ন হাতছাড়া হওয়ায় চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয় থেকে কান্না করে ফিরে আসতে হয়েছিল তাকে।

দলের মনোনয়ন পাওয়া এসএ জিন্নাহ কবিরের বদলে আদালতের নির্দেশে সুযোগ পেয়ে নির্বাচন করে পঞ্চাশ হাজারের মতো ভোট পান খোন্দকার আবদুল হামিদ ডাবলু। এই অবস্থার মধ্যে নির্বাচন শেষ করলেও দলের প্রতি ক্ষোভ কমেনি দেলোয়ার পুত্রের। তাই রাজনীতিতে সক্রিয় না থেকে এখন সময় দিচ্ছেন নিজের আইনি পেশায়।

ঢাকা টাইমসকে বলেন, বিএনপি এখন দুর্নীতিগ্রস্ত ও অসৎ লোক দিয়ে নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে। এই রাহু থেকে মুক্ত হয়ে সঠিক ধারায় না আসলে বিএনপিকে দুর্ভোগ পোহাতে হবে। দুর্দিন আসবে।

এক এগারোর সময়ে দলের মহাসচিব আবদুল মান্নান ভুঁইয়াকে বহিষ্কার করে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনকে মহাসচিব নিযুক্ত করেন। দলের জন্য ত্যাগী নেতা হিসেবে নেতাকর্মীদের কাছে পরিচিত দেলোয়ার হোসেন। দলের ক্রান্তিকালে তিনি হাল ধরেছেন বলে নেতাকর্মীরা এখনো স্বীকার করছেন। তার পরিবারের সদস্যদের ভাবনা ছিল নির্বাচনে মনোনয়ন নিশ্চিত। কিন্তু গত ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনের আগে দলের চূড়ান্ত মনোনয়ন পাননি দেলোয়ার-পুত্র ডাবলু।

বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ডাবলু ওই সময় বিএনপির চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকায় নাম না থাকায় নির্বাচনের আগে দলের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে কেঁদে ফেলেন আবদুল হামিদ ডাবলু।

গত ৮ ডিসেম্বর রাতে ছোট বোন দেলোয়ারা বেগম পান্নাকে নিয়ে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে যান ডাবলু। সেখানে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে দেখা করতে চাইলে সেখানকার নিরাপত্তাকর্মীরা তাকে আটকে দেয়। এ সময় ডাবলুর অনুসারীর হৈচৈ শুরু করেন। এরপর ক্ষোভ প্রকাশের এক পর্যায়ে কেঁদে ফেলেন আবদুল হামিদ ডাবলু। বলেন, ‘আমার বাবা এই দলের জন্য নিজের শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে গেছে। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে সমূলে শেষ করতে আজকে গুলশান অফিসে সংস্কারপন্থিরা আসন গেড়ে বসেছে।’

ঢাকা টাইমসকে ডাবলু বলেন, ‘আমার বাবা হাজার হাজার নেতাকর্মী তৈরি করেছেন। আজীবন দলের জন্য কাজ করেছেন। সেখানে আমাদের মনোনয়ন না দেয়ার কারণ কী।

দল থেকে মনোনয়ন না পেলেও আমি আদালতের নির্দেশে নির্বাচন করতে পেরেছি। এত সমস্যার নির্বাচনের মধ্যেও ৫৮ হাজার ভোট পেয়েছি।’ বলেন, আসলে বিএনপিকে যারা জীবন দিয়ে ভালোবাসে তাদের মূল্যায়ন হয় না। বরং যারা ঘাপটি মেরে থাকা লোকদের মূল্যায়ন করা হয়।

বিএনপিকে ঘুরে দাঁড়াতে দল গোছানোর পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, হাইকমান্ডকে বুঝতে হবে, মূল্যায়ণ করতে হবে, দলের জন্য যারা ডেডিকেটেড তাদের কথা চিন্তা করতে হবে।

নিজের ব্যস্ততার বিষয়ে জানতে চাইলে বলেন, আমি এখন মূলত আইন পেশা নিয়ে ব্যস্ত আছি। সেখানেই বেশি কাজ করছি। আর লোকাল পলিটিক্সে কিছুটা সময় দিচ্ছি। এর বাইরে আর কোনো ব্যস্ততা নেই। চিন্তাও নেই আপাতত।

ঢাকাটাইমস/২১মে/বিইউ/এমআর

সংবাদটি শেয়ার করুন

রাজনীতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

রাজনীতি এর সর্বশেষ

দুর্নীতি ও ভোটাধিকার হরণ ছাড়া আ.লীগের আর কোনো অর্জন নেই : এবি পার্টি

‘দেশে ইসলামবিদ্বেষী অপতৎপরতার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে’

ক্ষমতাসীনদের কেউ ভালো নেই: গয়েশ্বর

সিন্ডিকেটকে কোলে বসিয়ে বিরোধীদলের ওপর দায় চাপাচ্ছে সরকার: গণতন্ত্র মঞ্চ

ইফতার পার্টিতে আল্লাহ-রাসুলের নাম না নিয়ে আ.লীগের গিবত গায়: প্রধানমন্ত্রী

বাংলার মাটি থেকে বঙ্গবন্ধুর নাম মুছে ফেলার সাধ্য কারো নেই: ওবায়দুল কাদের

দেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে বন্ধু রাষ্ট্রের সহযোগিতা চাইলেন মঈন খান

বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী: আ.লীগের আলোচনা সভায় প্রধানমন্ত্রী

জবি শিক্ষার্থী অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনায় চরমোনাই পীরের উদ্বেগ 

শিক্ষা ব্যবস্থার সর্বস্তরে কুরআনের শিক্ষা চালু করতে হবে: মুজিবুর রহমান

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :