কিশোরগঞ্জে এবার দুই কিশোরী ধর্ষিত

প্রকাশ | ২১ মে ২০১৯, ২১:২০

আমিনুল হক সাদী, কিশোরগঞ্জ
ফাইল ছবি

কিশোরগঞ্জে নার্স তানিয়াকে গণধর্ষণ শেষে হত্যার ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই আরও দুই কিশোরীকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। ঘটনা দুটি ঘটেছে জেলার পাকুন্দিয়া ও কটিয়াদীতে। এর মধ্যে এক কিশোরীকে পাশের বাড়ির দুই যুবক ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করে। আর অপর কিশোরীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে পাশের থানায় নিয়ে এক বাড়িতে আটকে রেখে পালাক্রমে ছয় দিন ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ ওঠেছে।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, পাকুন্দিয়া থানার ষাইটকাটহন পূর্বপাড়া গ্রামের রেনু মিয়ার ছেলে কাউসার এবং সেলিম মিয়ার ছেলে ফেরদৌস গত রবিবার তারাবির নামাজের সময় ওই কিশোরীকে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করে। এ ঘটনায় মেয়ের মা পাকুন্দিয়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করলে পুলিশ অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত দুজনকে আটক করে। মঙ্গলবার দুপুরে তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।  

এদিকে ধর্ষণের শিকার কিশোরীকে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে জবানবন্দি দেয়ার পর তাকে কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। সেখানে ডাক্তার বিলকিছ ফারহানা তার মেডিকেল পরীক্ষা সম্পন্ন করেন। এতে ধর্ষণের সুস্পষ্ট আলামত পাওয়া গেছে বলে জানা গেছে।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পাকুন্দিয়া থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মো. শফিকুল ইসলাম জানান, মামলা দায়েরের পরপরই অভিযান চালিয়ে আসামিদের আটক করা হয়েছে।

অন্যদিকে কটিয়াদীতে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক কিশোরীকে গণধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় মঙ্গলবার কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে চারজনের নাম উল্লেখ করে কটিয়াদী মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ লোহাজুরী ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের মেম্বার আবদুল রশিদকে আটক করে।

পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত বুধবার রাত ৮টায় সুমন (২৪) নামের এক যুবক কিশোরীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে মোটরসাইকেলে করে পার্শ্ববর্তী পাকুন্দিয়া উপজেলায় তার এক আত্মীয়ের বাড়িতে নিয়ে যান। ওই বাড়িতে তার দুই বন্ধু ছাড়া অন্য কেউ ছিল না। সেখানে কিশোরীকে সুমন প্রথমে ধর্ষণ করেন। পরে তার দুই বন্ধু শুভন ও শামীমসহ কিশোরীকে ছয় দিন ঘরে আটকে রেখে পালাক্রমে ধর্ষণ করেন।

অভিযুক্ত সুমন লোহাজুরী ইউনিয়নের দশপাখী গ্রামের চান্দু মিয়ার ছেলে। শুভনের বাড়ি দশপাখী গ্রামে। আর শামীম পাকুন্দিয়া উপজেলা পূর্ব চরপাড়াতলা গ্রামের বলে জানা যায়।

এ ব্যাপারে কটিয়াদী মডেল থানার ওসি (তদন্ত) শফিকুল ইসলাম বলেন, কিশোরীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য সিভিল সার্জন কার্যালয়ে এবং আটক মেম্বারকে কিশোরগঞ্জ আদালতে পাঠানো হয়েছে।

(ঢাকাটাইমস/২১মে/জেবি)