সদরঘাটে ২৭ দোকান উচ্ছেদ

প্রকাশ | ২১ মে ২০১৯, ২১:২৮

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

দীর্ঘ আইনি জটিলতার পরে অবশেষে উচ্ছেদ করা হয়েছে রাজধানীর সদরঘাটের অবৈধ স্থাপনা। ঢাকা নদীবন্দরের পুরাতন টার্মিনালের ভেতরে থাকা ২৭টি দোকান অপসারণ করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহণ কর্তৃপক্ষ (বিআইডাব্লিউটিএ)।

মঙ্গলবার সকালে থেকে শুরু হওয়া উচ্ছেদ অভিযানে সদরঘাটের ভেতরের অংশে দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে থাকা দোকানগুলো উচ্ছেদ করা হয়। অভিযানকালে বিআইডব্লিউটিএ’র পরিচালক (বন্দর) মো: শফিকুল হক ও বিআইডাব্লিউটিএ’র যুগ্ম পরিচালক এ কে এম আরিফ উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।

বিআইডাব্লিউটিএ জানায়, এই অপসারণ কার্যক্রমের ফলে দীর্ঘদিন ধরে ঝুলে থাকা টার্মিনালটির কাঙ্ক্ষিত আধুনিকায়ণ কাজের বাধা দূর হলো।

সংস্থাটির যুগ্ম পরিচালক জানান, ‘টার্মিনালটির নদীর দিকের দেয়াল সংস্কার করে স্বচ্ছ কাচের দেওয়াল নির্মাণ করার পরিকল্পনা রয়েছে। যাতে করে টার্মিনালে অপেক্ষয়মান যাত্রী সাধারণ সহজেই নদী ও নৌযান দেখতে পান।’

‘দোকানগুলোর ছত্রছায়ায় ভাসমান হকারের উপদ্রব পুরোপুরি মুক্ত হওয়াসহ দোকান ও হকারদের ব্যবসায়িক বর্জ্যে টার্মিনালের সম্মুখ অংশের নদী দূষিত হওয়ার বিষয়টি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আসবে বলে আশা করা যায়।’

যাত্রীদের প্রয়োজনীয় খাবার ও পানীয় নিজ নিজ বাসা থেকে নিয়ে আসতে এবং অবর্জনা নির্দিষ্ট ডাস্টবিনে ফেলতে যাত্রীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিআইডাব্লিউটিএ’র যুগ্ম পরিচালক। বলেন, ‘যাত্রী সাধারণকে আগে থেকে বাসা থেকে বা টার্মিনাল প্রবেশের পূর্বেই প্রয়োজনীয় খাবার, পানীয় সংগ্রহ করে টার্মিনালের ভেতরে প্রবেশ করার জন্য এবং টার্মিনালে অবস্থানকালীন নিজেদের ব্যবহার্য জনিত ময়লা আবর্জনা টার্মিনালে রক্ষিত ডাস্টবিনসমূহে ফেলার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা যাচ্ছে।’

তবে জরুরি প্রয়োজনে যাত্রীরা যাতে লঞ্চের দোকান থেকে বাজার মূল্যে প্রয়োজনীয় খাবার, পানীয় কিনতে পারেন এবং যাত্রী, লঞ্চ স্টাফরা বর্জ্য যেন নদীতে না ফেলে সে বিষয়ে লঞ্চ কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ ও কঠোর নির্দেশনা দেয়া হয়েছে বলে জানান এ কে এম আরিফ উদ্দিন।

যাত্রীদের সচেতনতা, সহযোগিতা ও সংশ্লিষ্ট সবার সমন্বিত অংশগ্রহণে যাত্রীবান্ধব পরিচ্ছন্ন নদী বন্দর ও নদী গড়ে তোলা সম্ভব হবে বলে তিনি মনে করেন।

(ঢাকাটাইমস/২১মে/কারই/জেবি)