শেয়ারবাজারে পুনরর্থায়ন

বিনিয়োগকারীরা ৭ শতাংশ সুদে ঋণ পাবেন

অর্থনৈতিক প্রতিবেদক
 | প্রকাশিত : ২২ মে ২০১৯, ০৯:৪০

শেয়ারবাজারের ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের জন্য আগের দেওয়া ৯০০ কোটি টাকা পুনরর্থায়ন তহবিলের মেয়াদ চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর শেষ হচ্ছে। কিন্তু বাজার পরিস্থিতি মন্দা থাকায় এই ৯০০ কোটির মধ্যে ৮৫৬ কোটি পুনরায় বিনিয়োগকারীদের ঋণ হিসেবে দিতে পারবে ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি)।

আগামী তিন বছর জন্য (৩১ ডিসেম্বর ২০২২ সাল) পর্যন্ত দ্বিতীয়বারের মতো পুনরর্থায়নের সুবিধা ভোগ করতে পারবেন বিনিয়োগকারীরা। এ ক্ষেত্রে আইসিবির কাছ থেকে সিকিউরিটিজ হাউজ ও মার্চেন্ট ব্যাংকগুলো ৫ শতাংশ সুদে ঋণ পাবে। হাউজগুলো সেই ঋণের টাকা বিনিয়োগকারীদের ৭ শতাংশ সুদে প্রদান করবে। আইসিবি সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, শেয়ারবাজার পুনরর্থায়ন স্কিমের আওতায় সরকারের দেওয়া ৮৫৬ কোটি টাকা আইসিবিসহ অন্যান্য সিকিউরিটিজ হাউজ ও মার্চেন্ট ব্যাংক স্বল্প সুদে ঋণ হিসেবে পাবে। ‘আগে আসলে আগে পাবেন’ ভিত্তিতে ঋণ সরবরাহ করবে আইসিবি। ইতিমধ্যে সরকারের দেওয়া প্রথম প্রণোদনা প্যাকেজ ৯০০ কোটি টাকা আইসিবির মাধ্যমে হাউজগুলো ঋণ নিয়ে ব্যবসা করেছে।

তবে অভিযোগ রয়েছে, এসব অর্থ বেশিরভাগ ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারী পায়নি। ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের তালিকায় নাম থাকা সত্ত্বেও তারা পুনরর্থায়নের কোনো সুবিধা পায়নি। হাউজগুলো নিজেরা ঋণ নিয়ে নিজেরাই ব্যবসা করেছে।

উল্লেখ্য, ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের জন্য সরকার ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় ‘পুঁজিবাজারে ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের সহায়তা তহবিল’ নামে একটি তহবিল গঠন করে আইসিবির মাধ্যমে পুন:অর্থায়ন সুবিধা দেয়া হচ্ছে। এই সুবিধা সর্বপ্রথম ৩১ ডিসেম্বর,২০১৭ পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছিল আইসিবি। কিন্তু ঐসময় বাজার পরিস্থিতি ও ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের ক্ষতির দিক বিবেচনা করে এর মেয়াদ দুই বছর বাড়িয়ে ৩১ ডিসেম্বর ২০১৯ পর্যন্ত নির্ধারণ করে আইসিবি। অর্থাৎ চলতি বছরেই এর মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা। কিন্তু বর্তমান বাজার পরিস্থিতি ভালো না হওয়ায় দ্বিতীয় দফায় এর মেয়াদ আরো তিন বছর অর্থাৎ ৩১ ডিসেম্বর ২০২২ পর্যন্ত সময় নির্ধারণ করে সরকার।

২০১০ সালের শেয়ারবাজার ধসের পরিপ্রেক্ষিতে সরকার ২০১১ সালের ২৩ নভেম্বর ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের সহায়তায় বিশেষ স্কিমের ঘোষণা দেয়। ওই স্কিমের আওতায় তাদের এক বছরের মার্জিন ঋণের ৫০ শতাংশ মওকুফ এবং বাকি সুদসহ সমুদয় ঋণ তিন বছরে সমান ১২ কিস্তিতে প্রদানের সুবিধা দেয়ার কথা বলা হয়। মাত্র ৯ শতাংশ সুদে ক্ষতিগ্রস্ত এসব বিনিয়োগকারীর পুনঃঅর্থায়ন ঋণ সহায়তা দেয়া হয়। এ ছাড়া আইপিওতে ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের জন্য বিশেষ কোটা সুবিধাও দেয়া হয়। পরবর্তীতে সেই সুদের কমিয়ে হাউজগুলোর জন্য ৫ শতাংশ এবং বিনিয়োগকারীদের জন্য ৭ শতাংশ সুদ নির্ধারণ করা হয়েছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

অর্থনীতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

অর্থনীতি এর সর্বশেষ

দুঃস্থ ও অসহায়দের মাঝে জনতা ব্যাংকের ইফতার সামগ্রী বিতরণ

ঈদ উৎসব মাতাতে ‘ঢেউ’য়ের ওয়েস্টার্ন সংগ্রহ

৮ হাজার কোটি টাকার ১১ প্রকল্প অনুমোদন একনেকে

সিটি ব্যাংকের ২০২৩ সালের মুনাফা ৬৩৮ কোটি টাকা, বেড়েছে ৩৩%

ঈদ অফারে বিনামূল্যে মিনিস্টারের রেফ্রিজারেটর পেলেন আসাদুজ্জামান সুমন

সোনালী ব্যাংকে ‘বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক নেতৃত্ব ও দেশের উন্নয়ন’ শীর্ষক আলোচনাসভা

সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের ৭টি নতুন উপশাখার উদ্বোধন

স্বাধীনতা দিবসে জাতীয় স্মৃতিসৌধে পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের শ্রদ্ধা

মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে জাতীয় স্মৃতিসৌধে কর্মসংস্থান ব্যাংকের শ্রদ্ধা

স্বাধীনতা দিবসে স্মৃতিসৌধে ইসলামী ব্যাংকের শ্রদ্ধা

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :