বিশ্বকাপে কোন দলের ওপেনিং শক্তি কেমন?

প্রকাশ | ২২ মে ২০১৯, ১৪:১৪

ক্রীড়া ডেস্ক, ঢাকাটাইমস

বিশ্বকাপ শুরু হতে আর বাকি সপ্তাহ খানেক। প্রতিটি দলই নিজস্ব কৌঁশল সাজিয়ে তৈরি মহারণের জন্য। ইংল্যান্ডের পরিবেশে প্রতিটা দলই প্রচুর রান করবে বলে আশা করা হচ্ছে। এই অবস্থায় দলের মূল শক্তি ব্যাটিং হতে চলেছে, তা বলাই বাহুল্য। বিশেষ করে ওপেনারদের উপরে অনেকটাই দায়িত্ব বর্তাবে দলের বড় স্কোর গড়ার ক্ষেত্রে। দেখে নেওয়া যাক কোন দলের ওপেনিং শক্তি কেমন।

বাংলাদেশ: বাংলাদেশের ক্ষেত্রে ওপেনিং জুটি নিয়ে মধুর সমস্যা তৈরি হয়েছে। ওপেনিংয়ে তামিম ইকবালের জায়গা তো নিশ্চিত। এখন তার সঙ্গী কে হবেন সেটি সময়ই বলে দেবে। তবে, সম্প্রতি ত্রিদেশীয় সিরিজে ওপেনিংয়ে তামিমের সঙ্গে সৌম্য সরকার এবং লিটন দাস দুজনই ভালো করেছেন। দুজনের মধ্যে কাকে খেলানো হবে এখন সেটিই দেখার বিষয়। তামিম-সৌম্য গড় ৪৪.৬১। অন্যদিকে তামিম-লিটন গড় ২৮। তাই সৌম্যই এগিয়ে থাকছেন।

ইংল্যান্ড: ঘরের মাঠে বিশ্বকাপ জিততে মরিয়া ইংল্যান্ড। জ্যাসন রয়, জনি বেয়ারস্টোই সেরা ওপেনিং জুটি দলের ক্ষেত্রে। ৫৭ গড় রয়েছে তাঁদের। মোট রান ১৭৬২। ৩০টি ইনিংসে, সাতটি সেঞ্চুরি, আটটি হাফ সেঞ্চুরি রয়েছে। মাত্র ৩০ ইনিংসে ১৫ বারেরও বেশি ৫০ বা তার বেশি রান করেছে এই জুটি।

ভারত: ভারতের ক্ষেত্রে ওপেনিং জুটিকেই সেরা বলা হচ্ছে, বিশ্বকাপে। শিখর ধাওয়ান এবং রোহিত শর্মা। ২০১৩ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি থেকে এই জুটিকে সেরা বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। ১০৩ ইনিংসে রোহিত-ধাওয়ান ৪৫৮৬ রান করেছেন। গড়ও চমৎকার, ৪৫। পার্টনারশিপে সর্বোচ্চ ২১০ রান করেছেন তাঁরা।

অস্ট্রেলিয়া: ডেভিড ওয়ার্নার ও অ্যারোন ফিঞ্চ অস্ট্রেলিয়ার বিস্ফোরক জুটি। ২০১৪ থেকে এক সঙ্গে খেলছেন। ২১২৬ রান করেছেন দু’জনে। ৪৪ গড়। পাঁচটি সেঞ্চুরি, দশটি হাফ সেঞ্চুরিও রয়েছে। সর্বোচ্চ রান এই জুটির ক্ষেত্রে ২৩১।

দক্ষিণ আফ্রিকা: দক্ষিণ আফ্রিকার হাশিম আমলা ও কুইন্টন ডি কক সবচেয়ে বেশি সফল ওপেনিং জুটি। ককের আগ্রাসী ভঙ্গি ও হাসিমের ইনিংস গড়ার ক্ষমতা দুই-ই রয়েছে। ৯ বছর একসঙ্গে খেলছেন, ৪১১৬ রান, ১০টি সেঞ্চুরি, ১৫টি হাফ সেঞ্চুরি রয়েছে দখলে।

নিউজিল্যান্ড: নিউজিল্যান্ডের ক্ষেত্রে মার্টিন গাপটিল ও কলিন মুনরো জুটিরই ওপেন করার সম্ভাবনা। দু’জনের গড় ২৫, সেঞ্চুরিও নেই ওপেনিংয়ে। তাই হেনরি নিকলসকে রাখার সম্ভাবনা রয়েছে মুনরোর বদলে।

পাকিস্তান: ফখর জামান, ইমাম-উল-হক পাকিস্তানের ওপেনিং জুটির মধ্যে নিয়মিত। ফখর আগ্রাসী খেললেও ইমাম ইনিংস গড়ার কাজ করেন। গড় ৫৮। ২৪টি ইনিংসে চারটি সেঞ্চুরি, পাঁচটি হাফ সেঞ্চুরি, ১২৬৭ রান, গড় ৫৮-এটাই তাঁদের ওপেনিং পরিসংখ্যান। ইংল্যান্ডে সম্প্রতি চমৎকার খেলেছেন।

ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ক্রিস গেইল এবং এভিন লুইস ওয়েস্ট ইন্ডিজের ওপেনিং জুটি। তবে তেমন সফল নয় এই জুটি। মোটে ৩৮৩ রান রয়েছে তাঁদের জুটিতে। গড় মাত্র ৩০। যদিও নিজেদের দিনে যেকোনো বোলিং আক্রমণ সামলাতে সফল তাঁরা। তাই এদের বিকল্প এখনও ভাবেনি দল।

শ্রীলঙ্কা: শ্রীলঙ্কার ক্ষেত্রে ওপেন করার দায়িত্ব থাকতে পারে দিমুথ করুণারত্নের উপরে। যদিও ১ মার্চ ২০১৫ সালে শেষবারের মতো একদিনের ম্যাচ খেলেছিলেন তিনি। নয়তো ১৯৯৬ সালের বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের ক্ষেত্রে অভিশকা ফার্নান্দো বা লাহিরু থিরিমান্নে ওপেনের দায়িত্ব নিতে পারেন। দুর্বলতম ওপেনিং বললে ভুল হবে না।

আফগানিস্তান: আফগানিস্তানের ক্ষেত্রে ওপেনিং জুটি সেই অর্থে ঠিক নেই। মোহাম্মদ শাহজাদ ওপেন করতে পারেন। আবার শাহজাদের সঙ্গে নামতে পারেন হযরতউল্লাহ জাজাই বা নূর আলী জাদরান। শাহজাদ ও জাদরানের ওপেনিং গড় ৩৩।

(ঢাকাটাইমস/২২ মে/এসইউএল)