এফআর টাওয়ারে অনিয়ম

রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যানসহ অর্ধশতাধিক চিহ্নিত

প্রকাশ | ২২ মে ২০১৯, ১৬:৩৪

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

ঢাকার বনানীর এফআর টাওয়ারের নকশা অনুমোদনে বিধি লঙ্ঘন এবং নির্মাণের ক্ষেত্রে ত্রুটি বিচ্যুতির জন্য রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যানসহ অর্ধশতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারীকে চিহ্নিত করে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সরকার।
বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম এ তদন্ত প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেন। মন্ত্রী বলেন, ‘যাদের নাম এ প্রতিবেদনে এসেছে, তাদের বিরুদ্ধে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

প্রতিবেদনে তদন্ত কমিটি বলেছে, এফ আর টাওয়ারের ১৮ তলার নকশা অনুমোদন করা হয়েছিল বিধি লঙ্ঘন করে। তার ওপরে আরও পাঁচটি ফ্লোর নির্মাণের নকশাকে বৈধতা দিতে বিভিন্ন পর্যায়ে দুর্নীতি হয়। ত্রুটি ও নিয়মের বত্যয় ছিল ভবনটি নির্মাণের ক্ষেত্রেও।

নির্মাতা প্রতিষ্ঠান রূপায়ন হাউজিং লিমিটেড ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে নকশার ব্যত্যয় ঘটিয়েছে বলে প্রমাণ পেয়েছে তদন্ত কমিটি। পাশাপাশি ওই জমির মালিক সৈয়দ মো. হোসাইন ইমাম ফারুক এবং এফ আর টাওয়ার ওনার্স সোসাইটিও অগ্নি দুর্ঘটনার দায় এড়াতে পারে না বলে কমিটি মনে করছে।

গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী বলেন, ‘১৯৯০ সালে এফ আর টাওয়ারের মাল্টি পারপাস কমার্শিয়াল ১৫ তলা ভবনের নকশা অনুমোদন প্রক্রিয়া এবং অনুমোদন যথাযথ ছিল। ১৯৯৬ সালে ওই ভবনের ১৮ তলা আবাসিক কাম বাণিজ্যিক ভবনের নকশা অনুমোদন প্রক্রিয়া যথাযথ থাকলেও অনুমোদনের ক্ষেত্রে ইমারত বিধিমালা মানা হয়নি।’

তিনি আরও বলেন, ‘১৯৯৬ সালের ইমারত বিধিমালা জারি হওয়ার পরেও বনানীর এফ আর টাওয়ারের নকশা অনুমোদন করা হয় ১৯৮৪ সালের পুরনো বিধিমালার আলোকে।এক্ষেত্রে রাজউকের তৎকালীন চেয়ারম্যান হুমায়ুন খাদেম তার দায় এড়াতে পারেন না।’

গত ২৮ মার্চ এফআর টাওয়ারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ২৭ নিহত হওয়ার পর এই ভবন নির্মাণে নানা অনিয়মের বিষয়গুলো বেরিয়ে আসতে থাকে। এই ভবনের জমির মূল মালিক ছিলেন প্রকৌশলী এস এম এইচ আই ফারুক। অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে ভবনটি নির্মাণ করে রূপায়ন হাউজিং এস্টেট লিমিটেড। সে কারণে সংক্ষেপে ভবনের নাম হয় এফআর টাওয়ার। অগ্নিকাণ্ডের পর সরকারের বিভিন্ন সংস্থা চারটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। তার একটি গঠন করে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়।

ঢাকাটাইমস/২২মে/ডিএম