ধানক্ষেতে আগুনের ঘটনা তদন্তের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

প্রকাশ | ২২ মে ২০১৯, ১৮:০৭

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
ফাইল ছবি

ধানের ন্যায্যমূল্য না পেয়ে ক্ষেতে আগুন দেয়ার ঘটনা সরকারের সুনাম ক্ষুণ্নের চেষ্টা কি না- সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে তা তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বুধবার সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান। এর আগে তিনি বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার রিভা গাঙ্গুলী দাসের সঙ্গে বৈঠক করেন।

চলতি বোরো মৌসুমে কৃষক ধানের ন্যায্যমূল্য পাচ্ছেন না। এজন্য প্রতিবাদের অংশ হিসেবে দেশের বিভিন্ন স্থানে তারা ধানক্ষেতে আগুন দিয়েছেন বলে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এ নিয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশ দিয়েছেন বিষয়টি খতিয়ে দেখতে।’

কাদের বলেন, ‘এখানে ঘটনাগুলো স্যাবোটাজ কি-না, আর কেউ কোনোভাবে সরকারের সুনাম ক্ষুণ্ন করার জন্য করছে কি-না তা খতিয়ে দেখা হবে। এ রকম সংকটের উদ্ভব হতে পারে, কিন্তু এভাবে আগুন জ্বালিয়ে ধানক্ষেতে... ঘটনাগুলো বিশেষ বিশেষ জায়গায় ঘটছে কেন? প্রধানমন্ত্রী এটা তদন্ত করে জানাতে বলেছেন। এ ছাড়া দলীয়ভাবেও আমরা খোঁজখবর নেব।’

তিনি আরও বলেন, ‘যেটা সমস্যা, সমস্যার বাস্তবসম্মত সমাধান করতে হবে। একটা সমস্যা হয়েছে, ধান পুড়িয়ে এই সমস্যার সমাধান তো হবে না। সরকার এখানে আন্তরিক, সরকার কখনো চাইবে না আমাদের কৃষির মেরুদণ্ড যে কৃষকরা তারা ক্ষতিগ্রস্ত হোক। কৃষকদের স্বার্থ বিরোধী কোনো কিছু কৃষকবান্ধব এই সরকার করবে না। কাজেই শেখ হাসিনার সরকার এ ব্যাপারে আন্তরিক। এসব বিষয়ে খোঁজখবর নেয়া হচ্ছে, এখানে যে সমস্যাটির উদ্ভব হয়েছে, এর বাস্তবসম্মত সমাধানে উদ্যোগ নেয়া হবে।’

ভারতীয় হাইকমিশনারের সঙ্গে বৈঠকের বিষয়ে সড়ক পরিবহনমন্ত্রী বলেন, ‘ভারতীয় ঋণে অনেকগুলো প্রকল্প চলমান রয়েছে। আবার নতুন নতুন প্রকল্প ও আমরা হাতে নিচ্ছি। কানেক্টিটিভির নতুন নতুন দুয়ার উন্মোচিত হবে।’

তিনি বলেন, ‘ভারতে নির্বাচন হচ্ছে, একটু আলাপ-আলোচনা হয়েছে। ভারতের জনগণ যে দল বা জোটকে নির্বাচিত করবে, তাদের সঙ্গেই আমাদের সম্পর্ক থাকবে। সরকার টু সরকার, পিপল টু পিপল যে যোগাযোগ ও সম্পর্ক আছে, যে জোট ও যে দলই আসুক না কেন জনগণের নির্বাচিত সরকারের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক অব্যাহত থাকবে। নির্বাচনের পর অমীমাংসিত সমস্যাগুলো আলোচনায় আসবে এবং সমাধানের ব্যাপারে ভারত সরকারের সহযোগিতা আশা করি অব্যাহত থাকবে।’

নতুন সরকার তিস্তার পানিবণ্টন সমস্যার সমাধান করবে বলে আপনি মনে করেন কি না- জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ছিটমহল হস্তান্তর যেভাবে হয়েছে, সীমান্ত সমস্যার বাস্তবায়ন যেভাবে হয়েছে আমার মনে হয় তিস্তাসহ অভিন্ন নদীগুলোর পানি বণ্টন সমস্যারও সমাধান হবে। হতাশ হওয়ার কোনো কারণ নেই, আলোচনা চলছে। ভারতের নতুন সরকার এই আলোচনার বাস্তব রূপ দেবেন, আরও এগিয়ে নিয়ে যাবেন এটিই আমরা আশা করি।’

(ঢাকাটাইমস/২২মে/ডিএম/জেবি)