সিভিল সার্জনসহ মেডিকেল অফিসারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থার নির্দেশ

প্রকাশ | ২২ মে ২০১৯, ২১:০৫

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

পটুয়াখালীতে দলবেঁধে ধর্ষণের পর হত্যার শিকার মাদ্রাসাছাত্রী সীমার ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে অসঙ্গতিপূর্ণ মন্তব্য লেখার ঘটনায় আদালতের ক্ষমা মার্জনা পেলেন না জেলা সিভিল সার্জন ডা. শাহ মো. মোজাহিদুল ইসলাম। হাইকোর্টের তলবে গতকাল আদালতে হাজির আদালতে হাজির হয়ে নিঃশর্ত ক্ষমা চান তিনি। তবে আদালত তাকে ক্ষমা করেননি।

ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে বিপরীতধর্মী তথ্য দেওয়ায় সিভিল সার্জন ডা. শাহ মো. মোজাহিদুল ইসলাম ও মেডিকেল অফিসার রেজাউর রহমানের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে নির্দেশ দেয় আদালত।

বুধবার বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের বেঞ্চ ওই আদেশ দেয়।
গত বছর ২৪ অক্টোবর পটুয়াখালীতে ১৩ বছর বয়সী সীমাকে গণধর্ষণের পর হত্যা করা হয়। ঘটনার তিন মাস পর গত ৩ জানুয়ারি পটুয়াখালীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে একটি নালিশি অভিযোগ করা হয়।
ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক ডা. রেজাউর রহমান প্রতিবেদনে লিখেন, ‘গলায় দাগ রয়েছে, শ্বাসরোধে মেয়েটির মৃত্যু হয়েছে। তবে এটা দুর্ঘটনাজনিত কারণে হতে পারে।’ ওই প্রতিবেদনের সঙ্গে একমত পোষণ করেন পটুয়াখালীর সিভিল সার্জন ডা. শাহ মো. মোজাহিদুল ইসলাম।

শুনানির সময় রাষ্ট্রপক্ষে উপস্থিত ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ইউসুফ মাহমুদ মোর্শেদ। আদালত সিভিল সার্জনকে বলেন, ‘এভাবে যদি ময়নাতদন্ত রিপোর্ট দেন তাহলে জাতির কাছে কী বার্তা যায়? এভাবে রিপোর্ট দেওয়ার কারণে একটা মামলার বিচার প্রভাবিত হয়, এমনকি রায় ভিন্ন হয়। যেখানে বাদী ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হয়।’ পরে আদালত ক্ষমার আবেদন নাকচ করে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন।

সীমার মা তাসলিমা বেগম বাদী হয়ে আটজনের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ করেন। প্রথমে থানায় মামলা করতে গেলে থানা পুলিশ মামলা গ্রহণ করেনি। এ মামলার আসামি দানেশ চৌকিদার হাইকোর্টে জামিন চেয়ে আবেদন করেন। ওই জামিন আবেদনে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে আসামি পক্ষ। সেখানে ময়না তদন্তকারী চিকিৎসক ডা. রেজাউর রহমান প্রতিবেদনে ওইসব তথ্য লেখেন। ওই প্রতিবেদনের সঙ্গে একমত পোষণ করেন সিভিল সার্জন।
আদালত বলে, ‘যেখানে মেয়েটির মা ধর্ষণের পর হত্যা করার অভিযোগে মামলা করেছেন, সেখানে চিকিৎসক ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে কীভাবে অসঙ্গতিপূর্ণ মন্তব্য করেন?’

(ঢাকাটাইমস/২২মে/ডিএম/জেবি)