সাভারে জমে উঠেছে ঈদ কেনাকাটা

ইমতিয়াজ উল ইসলাম, ঢাকা (সাভার)
| আপডেট : ২৩ মে ২০১৯, ১১:৫৭ | প্রকাশিত : ২৩ মে ২০১৯, ১১:৫৫

ঈদের কেনাকাটায় জমে উঠেছে সাভারের বিপনী বিতানগুলো। রমজানের শুরুর দিকে কেনাকাটা কম হলেও গত দুই দিনে বেড়েছে ক্রেতা সমাগম। কাপড়, প্রসাধনী ও জুতার দোকানগুলোতে সন্ধ্যার পর থেকেই ভিড় করছেন ক্রেতারা। তাদের আকৃষ্ট করতে নতুন ডিজাইনের পণ্যে নিয়ে পসরা সাজিয়েছেন বিক্রেতারাও। তবে গতবারের তুলনায় এবার পোশাকের দাম কিছুটা বেশি বলে ক্রেতাদের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হলেও বিক্রেতাদের দাবি তুলনামূলক কম দামেই পোশাক বিক্রি করছেন তারা।

সাভারের বেশ কয়েকটি বিপনীবিতান ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। ইফতারের পর থেকেই গভীর রাত পর্যন্ত সাভার ও আশুলিয়ার ছোট বড় বিপণী বিতানগুলোতে সব শ্রেণির ক্রেতা সমাগম ছিল চোখে পড়ার মতো। পরিবার-পরিজন এবং বন্ধু-বান্ধব নিয়ে অনেকেই পছন্দের পণ্য কিনতে আসেন। সাভারের নিউ মার্কেট, সিটি সেন্টার, রাজ্জাক প্লাজাসহ বড় মার্কেটগুলোর পাশাপাশি হকার্স মার্কেটগুলোতেও ক্রেতাদের ভিড় ছিল অনেক। এছাড়া আশুলিয়ার সেনা শপিং কমপ্লেক্স, হাসেম প্লাজা, মন্ডল মার্কেটসহ ছোট বিপণী বিতানগুলোতেও ক্রেতা সমাগম ছিল প্রচুর।

গরমের কথা মাথায় রেখে সুতি এবং হালকা রঙের পোশাককেই প্রাধান্য দিচ্ছেন ক্রেতারা। প্রসাধনীর পাশাপাশি অনেকেই আবার ঘর গোছানোর নানা সামগ্রীও কিনছেন। ছোটদের কেনাকাটাতেও পিছিয়ে নেই অভিভাবকরা।

সিটি সেন্টারে পরিবার নিয়ে ঈদ কেনাকাটা করতে আসা গৃহিনী সুমি আক্তার বলেন, প্রতি বছর ঈদের আগে অতিরিক্ত ভিড় হওয়ায় তিনি আগেই স্বামী, দুই সন্তান, শ্বশুর-শাশুড়ি ও বাবা-মার জন্য কেনাকাটা সেরে নেন। এবছরও তিনি স্বামী ও দুই সন্তানকে নিয়ে মার্কেটে এসেছেন। এর মধ্যেই সন্তানদের জন্য পোশাক ও স্বামীর জন্য পাঞ্জাবি কিনেছেন। তবে দামে বনিবনা না হওয়ায় এখন পর্যন্ত নিজের জন্য শাড়ি ও পরিবারের অন্যদের জন্য পোশাক কেনা হয়নি বলে জানান তিনি। গতবারের চেয়ে পোশাকের দাম কিছুটা বেশি হওয়ায় অনেক দোকান ঘুরতে হচ্ছে বলে জানান তিনি।

একই মার্কেটের কাপড় বিক্রেতা আনোয়ার হোসেন জানান, ঈদ মৌসুমে বাড়তি লাভের আশায় তিনি ইতোমধ্যেই বাহারি রং ও ডিজাইনের পোশাক মজুদ করেছেন। তার দোকানে পাঞ্জাবি, শাড়ি, থ্রিপিস ও ছোটদের পোশাকের অনেক কালেকশন আছে। যা তুলনামূলক কম দামে স্বল্প লাভেই বিক্রি করছেন। ইতোমধ্যেই তাদের মার্কেটে ক্রেতা সমাগম বেড়ে যাওয়ায় সন্ধ্যা থেকে রাত পর্যন্ত দোকানে ব্যস্ত সময় পার করতে হচ্ছে তাকে।

সাভারের নিউ মার্কেটে ঈদের কেনাকাটায় ব্যস্ত তরুণী তানিয়া আহমেদ বলেন, তিন হাজার টাকা দিয়ে একটি থ্রিপিস কিনেছেন। আর এর সঙ্গে মিলিয়ে স্লিপার ও গহনা পছন্দ করছেন। তবে গতবারের চেয়ে এবার ঈদে বিক্রেতারা একটু বেশি দাম হাঁকছেন বলেও জানান এই তরুণী।

এই বিপণী বিতানে জুতার শোরুমের বিক্রেতারা জানান, গত দুই থেকে তিন দিন ধরে তাদের দোকানে ক্রেতাদের ভিড় বেড়েছে। এর মধ্যে নারী ও শিশু ক্রেতাদের সংখ্যাই বেশি। তবে বিশ রমজানের পরে তাদের বিক্রি আরও বাড়বে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।

আশুলিয়ার সেনা শপিং কমপ্লেক্স শপিং করতে যান সাইদুল ইসলাম। তিনি বলেন, এবার ঈদে কম মূল্যে ভালোমানের একটি পাঞ্জাবি নিজের জন্য কিনবেন তিনি। এছাড়া গ্রামের বাড়িতে বাবা, মা, ভাই, বোন ও স্বজনদের জন্যও ঈদের পোশাক কিনতে হবে তার। তাই আগে থেকেই সবার জন্য দোকান ঘুরে ঘুরে দর যাচাই করছেন। পছন্দের সঙ্গে দামের মিল হলেই কেবল তিনি জিনিস কিনবেন।

সেনা শপিং কমপ্লেক্সের প্রসাধনী ও গহনা বিক্রির দোকানিরা জানান, পোশাকের সঙ্গে মিলিয়ে ইমিটেশন জাতীয় গহনা, টিপ, নেইল পলিশ, মেকাপ, চুড়িসহ প্রসাধনী কিনতে নারী ক্রেতারা দোকানে ভিড় জমাচ্ছেন। ইতোমধ্যেই অতিরিক্ত ক্রেতা সমাগমের কারণে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের।

এছাড়া সাভার ও আশুলিয়ার বিভিন্ন ছোট বিপণী বিতানগুলোতে ছুটির দিনগুলো ছাড়াও ক্রেতা সমাগমে দম ফেলার ফুরসত পাচ্ছেন না দোকানিরা। স্বল্প আয়ের ক্রেতারা কম দামে চাহিদামত ঈদ সামগ্রী কিনতে প্রতিদিন ছুটে আসছেন এসব দোকানে। ক্রেতাদের চাহিদা মাথায় রেখে বিক্রেতারাও তাদের দোকানে ঈদ কালেকশন রেখেছেন বলে জানিয়েছেন।

ঢাকাটাইমস/২৩মে/আইআই/এমআর

সংবাদটি শেয়ার করুন

জাতীয় বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

জাতীয় এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :