বগুড়ায় পরিবহন ধর্মঘটের আল্টিমেটাম

প্রকাশ | ২৩ মে ২০১৯, ১৭:৪৪

বগুড়া প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

বগুড়ার বিএনপি নেতা মাহবুবুল আলম শাহীন হত্যা মামলার প্রধান আসামি বগুড়া পৌরসভার প্যানেল মেয়র ও জেলা মোটর মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলামের মামলায় আইনি সহায়তা না মিললে ঈদের পর পরিবহন ধর্মঘটের আলটিমেটাম দিয়েছে জেলা সড়ক পরিবহন ও মালিক শ্রমিক যৌথ কমিটি।

বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় বগুড়া প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মালিকদের পক্ষে লিখিত বক্তব্যে এ কথা জানান বগুড়া জেলা সড়ক পরিবহন মালিক শ্রমিক যৌথ কমিটির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মান্নান আকন্দ।

সংবাদ সম্মেলনে আব্দুল মান্নান আকন্দ বলেন, ‘গত কয়েকদিন আগে জেলা মোটর মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলামের জামিনের জন্য আসাদ মামলা সংক্রান্ত যাবতীয় কাগজপত্রসহ জজ আদালতে হাজির হন, ঠিক সেই মুহূর্তে কয়েকজন আইনজীবী তাকে মারপিট করে আদালত থেকে বের করে দেন। আইনজীবীদের এরূপ আচরণে আমরা পরিবহন ব্যবসায়ীবৃন্দ অত্যন্ত মর্মাহত এবং সাধারণ মালিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের সম্মুখীন হচ্ছি।’

এ সময় নিহত শাহীনকে ‘ভূমিদস্যু’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বগুড়া শহরের নিশিন্দারা উপশহরে ১০৪ শতাংশ পুকুর দখল করে একটি স্কুলের কাছে জায়গাটি বিক্রি করে দেয় শাহীন। একজন পরিবহন ব্যবসায়ীর সঙ্গে বাকবিতণ্ডা বা অন্য কোনো ঘটনা ঘটায় আইনজীবীরা কেন পক্ষ নেবে প্রশ্ন রাখেন তিনি?’

তিনি বলেন, ‘এতে  পরিবহন ব্যবসায়ীরা মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। আইনজীবীদের কাছে কি নিরপেক্ষ শব্দের কোন মূল্যই নেই?’

সংবাদ সম্মেলনে আব্দুল মান্নান আকন্দ বলেন, ‘এমতাবস্থায় আমরা মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদ জরুরি মিটিং ডেকে একটি সিদ্ধান্ত নিয়েছি, যদি বগুড়া বার সমিতি এরূপ অন্যায় আচরণ থেকে নিজেদের গুঁটিয়ে না নেন, তবে আমরা ঈদুল ফিতরের পরদিন থেকে কোন পরিবহন ব্যবসায়ী যেমন ট্রাক, বাস, পিকআপ, সিএনজি ও প্রাইভেট গাড়ির শ্রমিকবৃন্দসহ আমরা আমাদের ব্যবসা যথা মালিক তার গাড়ি চালাবে না এবং পরিবহন শ্রমিক তার কর্মস্থলে যাবে না। পরিবহন ব্যবসায় কোনো অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে বগুড়া জেলা সড়ক পরিবহন মালিক শ্রমিক যৌথ কমিটির দায় দায়িত্ব নেবে না।’

গত ১৪ এপ্রিল রাত সাড়ে ১০টার দিকে বগুড়ার নিশিন্দারা উপশহর বাজার এলাকায় বিএনপি নেতা শাহীনকে কুপিয়ে ও ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় আরেক পরিবহন ব্যবসায়ী ও বগুড়া পৌরসভার প্যানেল মেয়র আমিনুল ইসলামকে প্রধান আসামি করে মামলা করা হয়। ওই মামলায় আমিনুল গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে রয়েছেন।

এদিকে শাহীন হত্যার প্রতিবাদে বগুড়া আইনজীবী সমিতির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কোনো আইনজীবী আসামির পক্ষে আইনগত সহযোগিতা দিয়ে আসছেন না।

(ঢাকাটাইমস/২৩মে/এলএ)