প্রাথমিকের প্রথম ধাপের শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা শুরু

প্রকাশ | ২৪ মে ২০১৯, ১০:৪৯ | আপডেট: ২৪ মে ২০১৯, ১০:৫১

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
ফাইল ছবি

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের প্রথম ধাপের লিখিত পরীক্ষা শুরু হয়েছে। শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে মোট ২৫ জেলায় লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। পৌর এলাকায় এসব পরীক্ষা হচ্ছে। পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে প্রতিটি কেন্দ্রে প্রশ্ন পৌঁছে দেয়া হয়।

পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁস ঠেকাতে কঠোর নজরদারি করা হচ্ছে। প্রশ্নপত্র ফাঁস বা গুজব ছাড়ালে তাকে আইনের আওতায় এনে শাস্তি দেয়া হবে।

যেসব জেলায় পরীক্ষা হচ্ছে

ভোলা, পাবনা, জয়পুরহাট, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও মানিকগঞ্জ জেলার সব উপজেলায় একযোগে পরীক্ষা শুরু হয়েছে। এছাড়া গোপালগঞ্জের কোটালিপাড়া ও সদর উপজেলা; শরীয়তপুরের গোসাইরহাট, নড়িয়া ও ভেদরগঞ্জ উপজেলা; মাদারীপুরের সদর ও রাজৈর উপজেলা; ফরিদপুরের চরভদ্রাসন, আলফাডাঙ্গা, সদরপুর, সালথা ও সদর উপজেলা; নরংসিংদীর মনোহরদী, রায়পুরা ও বেলাবো উপজেলা; কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর, অষ্টগ্রাম, করিমগঞ্জ, কাটিয়াদি, পাকুন্দিয়া ও তারাইল উপজেলা; জামালপুরের মেলান্দহ, বকশিগঞ্জ ও সদর উপজেলা; টাঙ্গাইলের মির্জাপুর, কালিহাতী, মধুপুর, নাগরপুর, ভুয়াপুর ও ধনবাড়ী উপজেলা; লক্ষ্মীপুরের কমলনগর ও সদর উপজেলা।

কক্সবাজারের উখিয়া, কুতুবদিয়া, পেকুয়া, টেকনাফ ও সদর উপজেলা; চাঁদপুরের শাহরাস্তি, ফরিদগঞ্জ, মতলব উত্তর, মতলব দক্ষিণ উপজেলা; হবিগঞ্জের বাহুবল, নবীগঞ্জ, লাখাই ও সদর উপজেলা; সুনামগঞ্জের দেলদুয়ারবাজার, বিশ্বম্ভরপুর, ছাত্ক, সাল্লা ও সদর উপজেলা; সিলেটের কানাইঘাট, বালাগঞ্জ, বিশ্বনাথ, ফেঞ্চুগঞ্জ, জৈন্তাপুর ও সদর উপজেলা; পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়া, নেছারাবাদ ও সদর উপজেলা; পটুয়াখালীর দুমকী, গলাচিপা ও সদর উপজেলা; সাতক্ষীরার আশাশুনি, শ্যামনগর ও সদর উপজেলা; নীলফামারীর ডোমার, সৈয়দপুর ও সদর উপজেলা; নাটোরের গুরুদাসপুর, সিংড়া ও সদর উপজেলা এবং মৌলভীবাজারের রাজনগর, কমলগঞ্জ, শ্রীমঙ্গল ও জুড়ি উপজেলায় প্রথম ধাপের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

আগামী ৩১ মে দ্বিতীয় ধাপের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর ২১ জুন তৃতীয় ধাপের এবং ২৮ জুন চতুর্থ ধাপের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। তিন পার্বত্য জেলা বাদে ৬১ জেলায় প্রায় ১২ হাজার পদের বিপরীতে ২৪ লাখ এক হাজার ৯১৯ প্রার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়ার কথা রয়েছে।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব আকরাম আল জানান, শুক্রবারের পরীক্ষার প্রশ্নপত্র প্রণয়ন ও বিতরণের জন্য ১৪ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়। মোট ৯টি প্রশ্নসেট প্রণয়ন করা হয়। এর মধ্যে লটারির মাধ্যমে একটি সেট নির্ধারণ হয়।

সচিব বলেন, প্রশ্নফাঁস রোধে কঠোর অবস্থানে রয়েছি। এবারের পরীক্ষায় নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। যদি কেউ প্রশ্নপত্র ফাঁস বা গুজব ছাড়ায় তবে তাদের আইনের আওতায় এনে শাস্তি দেয়া হবে। এ জন্য পর্যাপ্ত মনিটরিং বসানো হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, পরীক্ষার মাধ্যমে ১০ হাজারের বেশি শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হবে। এ পরীক্ষা চলাকালীন নতুন করে আরও ১০ হাজার সহকারী শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশে ডিপিইকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

ঢাকাটাইমস/২৪মে/এমআর