টিকিট প্রত্যাশীদের আসল ভিড় দেখছে কমলাপুর

প্রকাশ | ২৪ মে ২০১৯, ১২:১৮

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ট্রেনের আগাম টিকেট বিক্রির তৃতীয় দিনে আসল ভিড় দেখছে কমলাপুর। টিকেট প্রত্যাশীদের উপচেপড়া ভিড়ে কমলাপুর স্টেশনে তিল ধরনের ঠাঁই নেই।

শুক্রবার সকালে প্রতিটি কাউন্টারের সামনেই টিকেট প্রত্যাশীদের দীর্ঘ লাইন দেখা গেছে। মানুষের ভিড়ে পা ফেলানোর জায়গা নেই কমলাপুর রেল স্টেশনে। স্রোতের মতো মানুষ এখন ছুটছে কমলাপুরের দিকে। মহাসড়কে যানজট এড়াতে যাত্রার জন্য বহু মানুষ ট্রেনকে বেছে নেয়ায় টিকিট প্রত্যাশীদের এমন ভিড় হয়েছে।

ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে ২২ মে। প্রথম দিন ৩১ মে ও পরদিন ১ জুনের অগ্রিম টিকিট দেয়া হয়েছে।  আজ শুক্রবার দেয়া হচ্ছে ২ জুনের অগ্রিম টিকিট।

গত দুই দিনের কমলাপুরে ভিড় থাকলেও আজকের মতো ছিল না। শুক্রবারের টিকিট নিতে গতকাল সন্ধ্যার পর থেকেই কমলাপুরে ভিড় করতে থাকেন মানুষ। সকাল নাগাদ প্রতিটি লাইন স্টেশন ছেড়ে বাহিরে চলে যায়। প্রতিটি কাউন্টারের সামনে আঁকাবাঁকা দীর্ঘ লাইন। লাইন টার্মিনাল ভবন ছাড়িয়ে স্টেশনের প্রবেশপথ পার হয়ে গেছে।

রংপুর এক্সপ্রেসের টিকিট নিতে এসেছেন একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র জামান। তারা চার বন্ধু একসঙ্গে বাড়ি যাবেন বলে আগাম টিকিট নিতে এসেছেন। ঢাকাটাইমসকে জামান জানালেন, চার বন্ধু একসঙ্গে বাড়ি যাব বলে ঈদের অগ্রিম টিকিট নিতে এসেছি। এজন্য গতকাল সন্ধ্যার পর থেকে লাইনে দাঁড়িয়েছি। চার বন্ধুই পালাক্রমে লাইনে দাঁড়িয়ে আছি। তারপরেও এখনো শতাধিক মানুষের পেছনে রয়েছি। তবে আশা করি টিকিট পাবো।

একই ট্রেনের টিকিট নিতে গতকাল রাত থেকে কমলাপুর স্টেশনে লাইনে দাঁড়িয়েছেন আবির। বেসরকারি একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া এই ছাত্র বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে লাইনে দাঁড়িয়েছি। এখানেই সেহেরি খেয়েছি। আমার সিরিয়াল আসতে আসতে টিকিট পাব কি-না আশঙ্কায় রয়েছি।

তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা ফয়সাল জানান, ‘মনে হয় সবচেয়ে বেশি মানুষ টিকিটের জন্য লাইনে দাঁড়িয়েছে। এখানে দায়িত্বরতরা বলছেন গত দুই দিনের তুলনায় আজ উপস্থিতি অনেক বেশি।’

কমলাপুর স্টেশন ম্যানেজার আমিনুল হক বলেন, প্রতিটি লাইনে মানুষ সুশৃংখলভাবে দাঁড়িয়ে টিকিট সংগ্রহ করছেন। এছাড়া ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রিতে যেন কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সে লক্ষ্যে আইন-শৃংখলা বাহিনীসহ রেলওয়ের নিজস্ব বাহিনী তৎপর রয়েছে।

যাত্রীর সুবিধার্থে এবার পাঁচটি স্থান থেকে রেলের অগ্রিম টিকিট দেয়া হচ্ছে। যমুনা সেতু দিয়ে সমগ্র পশ্চিমাঞ্চলগামী ট্রেনের টিকিট পাওয়া যাচ্ছে কমলাপুরে। এছাড়া চট্টগ্রাম ও নোয়াখালীগামী ট্রেনের টিকিট পাওয়া যাচ্ছে বিমানবন্দর স্টেশনে।

ময়মনসিংহ ও জামালপুরগামী ট্রেনের টিকিট তেজগাঁও স্টেশন, নেত্রকোনাগামী মোহনগঞ্জ ও হাওড় এক্সপ্রেসের টিকিট বনানী স্টেশন থেকে দেয়া হচ্ছে। এছাড়া সিলেট ও কিশোরগঞ্জগামী সব আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট ফুলবাড়িয়া (পুরান রেলভবন) থেকে পাওয়া যাচ্ছে।

একজন যাত্রী চারটি টিকিট সংগ্রহ করতে পারবেন। জাতীয় পরিচয়পত্র দেখিয়ে টিকিট সংগ্রহ করতে হবে।

আগামীকাল ২৫ মে ৩ জুনের এবং ২৬ মে ৪ জুনের টিকিট দেয়া হবে। এছাড়া ফিরতি টিকিট বিক্রি শুরু হবে ২৯ মে যা চলবে ২ জুন পর্যন্ত।

ঢাকাটাইমস/২৪মে/এমআর