এবার তিস্তাসহ অমীমাংসিত বিষয়ের দ্রুত সমাধান: কাদের

প্রকাশ | ২৪ মে ২০১৯, ১৫:৪০ | আপডেট: ২৪ মে ২০১৯, ১৬:৪৪

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি টানা দ্বিতীয় মেয়াদে সরকার গঠন করতে যাওয়ায় তিস্তা চুক্তিসহ অমীমাংসিত বিষয়গুলোর দ্রুত সমাধান হবে আশা করছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, নরেন্দ্র মোদি এবার ঐতিহাসিক বিজয় অর্জন করেছেন। তিনি এবার স্পেকুলেশন কেউ ছাড়িয়ে গিয়েছেন। নরেন্দ্র মোদি সরকারের সাহসিকতা ও বিচক্ষণতায় দুই দেশের সীমান্ত সমস্যার সমাধান হয়েছে। এ ধরনের কাজ যখন সম্পন্ন হয়ে গেছে। আমরা আশা করি তিস্তা চুক্তিসহ অমীমাংসিত বিষয় সেগুলোর সমাধান যে প্রক্রিয়াটা আছে, সে প্রক্রিয়াটা আরও দ্রুত হবে।

শুক্রবার দুপুরে আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের সম্পাদকমণ্ডলীর এক বৈঠক শেষে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ আশাবাদ প্রকাশ করেন।

ওবায়দুল কাদেরের সভাপতিত্বে বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, আব্দুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, একেএম এনামুল হক শামীম, কৃষি ও সমবায় সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, আইন বিষয়ক সম্পাদক শ ম রেজাউল করিম, বন ও পরিবেশ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক আব্দুস সবুর, উপ-দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া প্রমুখ।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিজেপি এবার ভূমিধস জয় অর্জন করেছে। আমাদের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে টুইট করেছে, অভিনন্দন বার্তা পাঠিয়েছেন।

‘বিনা চিকিৎসায় সরকার কারাগারে বেগম জিয়াকে হত্যা করতে চায়’ বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এ অভিযোগ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আমি এতোটুকু বলতে চাই, শেখ হাসিনার সরকার অমানবিক নয়। বেগম জিয়া আইনগত কারণে কারাগারে রয়েছেন। কিন্তু তাকে বিনা চিকিৎসায় মেরে ফেলতে হবে এ ধরনের অমানবিক ও নিষ্ঠুর কাজ সরকার করবে না।’

তৃণমূলের কাউন্সিল ঘিরে সুবিধাবাদীদের বিষয়ে জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘রুলিং পার্টিতে সুযোগসন্ধানীরা অনুপ্রবেশ ঘটাতে চায়। সুযোগসন্ধানীরা সব সময় এটা করে থাকে। আমাদের দলের সিদ্ধান্ত পরিষ্কার পরীক্ষিত ত্যাগী নেতাকর্মীদের দিয়ে তৃণমূলকে সুসংগঠিত করতে হবে। এখানে কোনো সুযোগ সন্ধানীর স্থান হবে না।’

সড়কমন্ত্রী বলেন, ‘সম্পাদকমণ্ডলীর সভায় মুজিব বর্ষ পালন ও আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সফর এবং ঈদের পরে দলের সাংগঠনিক কার্যক্রম আরও জোরদার করার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। আমাদের জাতীয় সম্মেলন ঘিরে সারাদেশে তৃণমূল পর্যন্ত কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। এসব বিষয়ে আমাদের দলের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিকনির্দেশনা দিয়েছেন।’

(ঢাকাটাইমস/২৪মে/জেবি)