টাঙ্গাইলে দুই ফ্লাইওভার ও চার আন্ডারপাস উদ্বোধন শনিবার

প্রকাশ | ২৪ মে ২০১৯, ১৭:১৬

মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিবেদক

আসন্ন ঈদে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে ঘরমুখো মানুষের বাড়ি ফেরা নির্বিঘœ করতে দুইটি ফ্লাইওভার ও চারটি আন্ডারপাস যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত হচ্ছে শনিবার।

সকাল সাড়ে দশটায় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব উদ্বোধন করবেন।

ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক দিয়ে উত্তরবঙ্গের ১৬টি জেলাসহ ২৬টি জেলার ৯০টি রোডের বিপুল সংখ্যক যানবাহন চলাচল করে থাকে। দেশের ব্যস্ততম এই মহাসড়ক দিয়ে যান চলাচল নির্বিঘœ করতে ২০১৩ সালে দুই লেনের এই মহাসড়কটি চার লেনে উন্নীতকরণ প্রকল্প হাতে নেয় সরকার।

এরপর ভূমি অধিগ্রহণ ও অন্যান্য প্রক্রিয়া শেষে ২০১৬ সালে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের কাজ শুরু হয়- যা ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারির মধ্যে শেষ হওয়ার কথা। তবে প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানান, দুটি সার্ভিস লেন, ২৯টি নতুন ব্রিজ, চারটি ফ্লাইওভার ও ১৪টি আন্ডারপাস সংযুক্ত হওয়ায় নির্দিষ্ট সময়ে কাজ শেষ করা সম্ভব হয়নি।

এজন্য মাঝে মধ্যে মহাড়কের বিভিন্ন স্থানে যানজটের সৃষ্টি হয়। বিশেষ করে ঈদ মৌসুমে এই যানজট ভয়াবহ হয়। যানজটে আটকা পড়ে ঈদে ঘরমুখো মানুষকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হতো। মহাসড়কের মির্জাপুর উপজেলার ধেরুয়া রেলক্রসিং এলাকায় যানজটের আটকা পড়ে দুর্ভোগের চিত্র ছিল বর্ণনাতীত। তবে মহাসড়কে ধেরুয়া এলাকার নির্মাণাধীন ফøাইওভার ও সেতুগুলোর কাজ শেষ হওয়ায় গত বছর ঈদুল-আয-হা’র আগে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী উন্মুক্ত করে দেন। যার ফলে ওই ঈদে যানজটের সেই চিরচেনা চিত্র ছিল না বললেই চলে। সেই থেকে মহাসড়কের চন্দ্রা চন্দ্রা, কালিয়াকৈর, হাটুভাঙা রোড, দেওহাটা, মির্জাপুর, কুর্নী, ধল্যা, পাকুল্যা, নাটিয়াপাড়া, ঘারিন্দাসহ প্রায় ৭০ কিলোমিটার এলাকায় স্থানে বিগত দিনে যে যানজট লেগে থাকতো তা এরই মধ্যে অনেকটাই দূর হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র এবং ভুক্তভোগীরা জানিয়েছেন।

আর তাই এবরছও ঈদের আগে মানুষের ঘরে ফেরা নির্বিঘœ করতে শনিবার সকাল সাড়ে দশটায় দুইটি ফ্লাইওভার এবং চারটি আন্ডারপাসের উদ্বোধন করছেন প্রধানমন্ত্রী।

এই ফ্লাইওভার দুটি হলো কোনাবাড়ি ও চন্দ্রা ফ্লাইওভার। অপরদিকে আন্ডার পাসগুলো হলো কালিয়াকৈর, দেওহাটা, মির্জাপুর ও টাঙ্গাইল সদরের ঘারিন্দা। এরমধ্যে কোনাবড়ি ফøাইওভারের দৈর্ঘ্য ১৬৪৫ মিটার, প্রস্থ ১৮.১ মিটার, চন্দ্রা ফ্লাইওভারের দৈর্ঘ্য ২৮৮ মিটার, প্রস্থ ১৮.১ মিটার।
অপরদিকে মির্জাপুর, কালিয়াকৈর  ও ঘারিন্দা আন্ডার পাসের দৈর্ঘ্য ৪শ মিটার প্রস্থ্য ১৮.১ মিটার ও দেওহাটা আন্ডার পাসের দৈর্ঘ্য ২৬০ মিটার  ও প্রস্থ ১৮.১ মিটার।

টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সঙ্গে অনুষ্ঠিত ভিডিও কনফারেন্সে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি একাব্বর হোসেন এমপি ছাড়াও জেলার জনপ্রতিনিধি ও সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকবেন বলে জানিয়েছেন টাঙ্গাইলের সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আমিনুল এহসান।

 বলে সাসেক সড়ক সংযোগ প্রকল্পের উপ-প্রকল্প ব্যবস্থাপক মাহবুব আলম জানিয়েছেন।

ঢাকাটাইমস/২৪মে/ইএস