মোটরসাইকেলে তাড়াহুড়ো ডেকে আনতে পারে বড় দুর্ঘটনা

নুরুজ্জামান লাবু
 | প্রকাশিত : ২৪ মে ২০১৯, ২১:২০

বড় হতে পারতো, কিন্তু ছোট্ট একটি দুর্ঘটনার কবলে পড়লাম...

বৃষ্টিতে আটকে ছিলাম কিছুক্ষণ। বৃষ্টি কমে এলে আবার বাইক স্টার্ট করলাম অফিসের উদ্দেশ্যে। অফিস থেকে ক্র্যাবের ইফতারে যাবো। একটু তাড়া অনুভব করছিলাম। ধানমন্ডি গভ:বয়েজ স্কুলের সামনের একটা বাইকের পেছনের চাকা থেকে পানি ছিটে আসছে, ভাবলাম বাম দিয়ে ওভারটেক করি। কিন্তু হঠাৎ সামনের উনিও বামে চাপালেন। আমি ব্রেক কষলাম। বৃষ্টির কারণে রাস্তা পিচ্ছিল। সামনের চাকা ব্যালান্স হারিয়ে ফেললো। আমি পড়ে গেলাম ডান দিকে কাত হয়ে। তারপর কয়েক গজ ছেঁচড়ে গেলাম সামনের দিকে। পেছন থেকে আরেকটি বাইকও এসে পড়ে গেলো আমার পাশেই। অন্যান্য গাড়িগুলো থেমে গেলো।

কয়েকমুর্হুত পরেই সম্বিৎ ফিরে পেলাম। লোকজন, পথচারী এসে দাঁড়িয়েছেন। উঠে একটু হাঁটলাম। না বড় কোনো ফ্র্যাকচার হয়নি। জিন্স ছিড়ে ডান হাঁটুতে ছিলে গেছে, বাম পায়ের মাঝামাঝিতে ছিলে গেছে আর ডান হাতের কুনুইয়ের পাশে ছিলে গিয়ে রক্তাক্ত।

ব্যাগটা ছিড়ে পড়ে আছে। ভাবলাম কি করি? অফিস কলিগ কাউকে কি ফোন করবো? নাকি যেতে পারবো একাই? একজনের সহযোগিতায় বাইকটা তুললাম। ছেড়া ব্যাগটা হাতে নিয়ে বাইক স্টার্ট দিলাম। বাইকটাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে হালকা। চলে আসলাম অফিসে। তারপর সহকর্মী শাকিল ও রাফসান নিয়ে গেলো কমফোর্ট হাসপাতালে।

শাকিলের বাসা থেকে ট্রাউজার আর টি-শার্ট আনলো রাফসান। কমফোর্টের চিকিৎসক ড্রেসিং করে দিলেন। বললেন, বড় কিছু না। ফ্র্যাকচার হয়নি। ওষুধ দিলেন, আরো কিছু পরামর্শ দিলেন। তারপর ফিরে এলাম আবার অফিসে।

আমার দুর্ঘটনার খবরে আমার সহকর্মী, বন্ধু-স্বজনরা অনেকেই উদ্বেগের সঙ্গে আমার খোঁজ নিয়েছেন, ফোন করেছেন, ইনবক্স করেছেন। তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা। দোয়া করবেন আমার জন্য। আমি ভালো আছি। দুই-এক দিন হয়তো রেস্ট নিতে হবে।

দুর্ঘটনার কারণ আমি নিজেই। আমার তাড়া, আমার ভুল। গত দশ বছরে এই প্রথম দুর্ঘটনায় পড়লাম। আমি নিজেই নিজেকে সাবধান করি, সচেতনভাবে বাইক চালানোর চেষ্টা করি। আমি আরো সচেতন থাকবো। আমার জন্য দোয়া করবেন। ধন্যবাদ সবাইকে।

লেখক: সাংবাদিক।

সংবাদটি শেয়ার করুন

ফেসবুক কর্নার বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :