ইতালিতে প্রথম বাংলাদেশি চিকিৎসক হিসেবে তাহমিদ তিসাদের শপথ

প্রকাশ | ২৪ মে ২০১৯, ২১:২৬

কমরেড খোন্দকার, ইতালি

তাহমিদ তিসাদের ১২ বছর বয়সে মায়ের সাথে ইতালিতে আসা। ইতালিয়ান ভাষা না জেনেও শুধুমাত্র কঠোর অধ্যবসায়ে নিজেকে নিয়ে গেছেন আজ অনন্য উচ্চতায়। সেই ছোট তিসাদ ইতালিয়ান স্কুলে ভর্তি হয়ে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুলে পড়াশুনায় ভালো ফলাফল করে। নিজের ইচ্ছা এবং মা-বাবার উৎসাহে আরো ভালো ফলাফল করে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে প্রবল ইচ্ছা জাগে তার। এরই ধারাবাহিকতায় ২০১৭ সালে পাদোভা শহরের পাদোভা ইউনিভার্সিটি থেকে এমবিবিএস পাস করে প্রবাসী বাংলাদেশিদের মুখ উজ্জ্বল করেন তিসাদ।

চলতি বছরের ১৮ মে পাদোভা মেডিকো বিভাগের এমবিবিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রায় দুই শতাধিক ছাত্রছাত্রীকে শপথ বাক্য ও সম্মাননা স্মারক তুলে দেন মেডিকেল ইউনিভার্সিটির প্রধান।

সেই অনুষ্ঠানে একমাত্র প্রবাসী বাংলাদেশি হয়ে শপথ ও সম্মাননা স্মারক গ্রহণ করেন তাহমিদ তিসাদ। তিনি বর্তমানে ইতালিতে এফসিফিএস নিয়ে পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছেন।

তাহমিদ তিসাদের বাবা পাদোভা শহরের প্রবাসী এ কে এম সেলিম ও তার মা শামীমা আক্তার ছেলের এই ফলাফলে খুবই আনন্দিত।

তারা বলেন, ‘আমাদের ছেলের জন্ম এই দেশে না। কিন্তু সে এই দেশে বড় হয়েও বিদেশিদের সাথে পাল্লা দিয়ে ভালো ফলাফল করেছে। তার এই ফলাফলে বাংলাদেশি প্রবাসীদের বিদেশিদের কাছে মুখ উজ্জ্বল করেছে।’

তাদের এক ছেলে ও এক মেয়ে। মেয়ে তানজিনা তাজনিন ২০১৮ সালে চক্ষু বিভাগে গ্র্যাজুয়েশন শেষ করে বর্তমানে মাস্টার্সে পড়াশোনা করছেন। বাবা এ কে এম সেলিম একজন ব্যবসায়ী। তিনি ইতালিতে আসেন ১৯৯৭ সালে। সেলিমের দেশের বাড়ি ঢাকা বিভাগের গাজীপুর জেলার কাপাসিয়া উপজেলার নবীপুর গ্রামে।

তিসাদের এই  ফলাফলে ইতালিতে বেড়ে উঠা এই প্রজন্মের ছেলে-মেয়েরা ও অভিভাবকরা আরো উৎসাহিত হবেন বলে আশা করছেন অনেক প্রবাসী।

(ঢাকাটাইমস/২৪মে/এলএ)