টিকিট কিনতে কমলাপুরে জনস্রোত

প্রকাশ | ২৫ মে ২০১৯, ১০:০৭

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ঘরে ফিরতে আগ্রহী মানুষ অগ্রিম টিকিট কিনতে ভিড় করেছেন কমলাপুর রেলস্টেশনে। ঈদযাত্রার চতুর্থ দিনের টিকিট কিনতে কেউ শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে, কেউ ভোররাত থেকে, আর কেউ সকাল থেকে এসে লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছেন। টিকিট প্রত্যাশীদের লাইন স্টেশনের বাইরে চলে গেছে। অন্যান্য যে স্থানগুলোতে রেলের টিকিট বিক্রি করা হচ্ছে, সেসব স্থানেও ভিড় বেড়েছে আজ।

শনিবার দেওয়া হচ্ছে ৩ জুনের টিকিট। আরও একদিন বিক্রি হবে ট্রেনে ঈদের অগ্রিম টিকিট। আগামীকাল বিক্রি হবে ৪ জুনের টিকিট। ফিরতি টিকিট বিক্রি শুরু হবে ২৯ মে। চলবে ২ জুন পর্যন্ত।

ভোরে কমলাপুরে গিয়ে দেখা গেছে, চতুর্থ দিনের টিকিট নিতে রেলস্টেশনে ভিড় করছেন হাজার হাজার মানুষ। তাদের অনেকেই গতকাল থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছেন কাঙিক্ষত টিকিটের আশায়।

কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে ১২ ট্রেনের প্রায় ১৬ হাজারের কিছু বেশি টিকিট দেওয়া হবে। ২৬ হাজার ৭শ টিকিটের মধ্যে বাকিটা অনলাইনের জন্য বরাদ্দ রয়েছে।

খুলনাগামী সুন্দরবন এক্সপ্রেস, চিত্রা এক্সপ্রেস,  রাজশাহীগামী ধুমকেতু এক্সপ্রেস, বনলতা এক্সপ্রেস, সিল্কসিটি এক্সপ্রেস, চাঁপাইনবাবগঞ্জগামী পদ্মা এক্সপ্রেস, রংপুরগামী রংপুর এক্সপ্রেস, লালমনিরহাটগামী লালমনি এক্সপ্রেস, পঞ্চগড়গামী দ্রুতযান এক্সপ্রেস, নীলফামারীগামী নীলসাগর এক্সপ্রেস, পঞ্চগড়গামী একতা এক্সপ্রেস ও সিরাজগঞ্জ এক্সপ্রেসে মোট আসন সংখ্যা ১১ হাজার ৬৯টি।

কমলাপুরে কথা হয় এক টিকিট প্রত্যাশীর সঙ্গে। লালমনি এক্সপ্রেসের টিকিট নিতে গতকাল মধ্যরাতে এসে লাইনে দাঁড়ান আলফাজ নামে এই ব্যক্তি। সকাল সাড়ে নয়টার দিকে তিনি বলেন, ‘টিকিট পাইনি। অনেকক্ষণ ধরেই তো অপেক্ষা করছি। শেষ পর্যন্ত টিকিট পাবো কি না, তাও জানি না।

টিকিট বিক্রি কেন্দ্র ঘুরে দেখা যায়, ভোরে আসা টিকিট ক্রেতাদের কেউ কেউ পত্রিকা বিছিয়ে মেঝেতেই ঝিমুচ্ছেন। কেউ আবার সকাল থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে ক্লান্ত হয়ে লাইনের পাশেই মেঝেতে বসে যাচ্ছেন। প্রতিটি কাউন্টারের সামনে থেকে টিকিট প্রত্যাশীদের দীর্ঘ লাইন গিয়ে ঠেকেছে স্টেশনের বাইরে।

এদিকে কমলাপুরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী ও কালোবাজারি ঠেকাতে রেলওয়ে পুলিশ, রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী, আনসার, আর্মড পুলিশ ও র‌্যাবের সদস্যরা সক্রিয়ভাবে দায়িত্ব পালন করছেন।

কমলাপুরে উত্তরবঙ্গ ও সমগ্র পশ্চিমাঞ্চলের ১২টি ট্রেনের টিকিট দেয়া হচ্ছে। এছাড়া  বিমানবন্দর স্টেশন থেকে চট্টগ্রাম ও নোয়াখালীগামী সব আন্তঃনগর ট্রেন, তেজগাঁও স্টেশন থেকে ময়মনসিংহ ও জামালপুর আন্তঃনগর ট্রেন, বনানী স্টেশন থেকে নেত্রকোণাগামী মোহনগঞ্জ ও হাওড় এক্সপ্রেস ট্রেন এবং ফুলবাড়িয়া (পুরাতন রেলভবন) থেকে সিলেট ও কিশোরগঞ্জগামী সব আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট দেওয়া হচ্ছে।

ঢাকাটাইমস/২৫মে/এমআর