দ্বিতীয় মেঘনা ও গোমতী সেতু উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশ | ২৫ মে ২০১৯, ১৩:১৫

কুমিল্লা প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে দ্বিতীয় মেঘনা সেতু ও দ্বিতীয় গোমতী সেতু উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সেতু দু’টি উদ্বোধন করেন তিনি।

এ সময় গণভবনে উপস্থিত ছিলেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান।

উদ্বোধনের সময় কুমিল্লা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা-১ আসনের সংসদ সদস্য মেজর জেনারেল (অব.) সুবিদ আলী ভূইয়া, সংরক্ষিত নারী সংসদ সদস্য আন্জুম সুলতানা সীমা, সড়ক বিভাগের অতিরিক্ত সচিব হুমায়ূন কবির, ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক আজিজুর রহমানসহ জেলা প্রশাসক, পুলিশ প্রশাসক, সড়ক বিভাগের কর্মকর্তা ও রাজনৈতিক নেতারা।

সেতু দুটি উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ভিডিও কনফরেন্সে কথা বলেন কুমিল্লার ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক আজিজুর রহমান এবং একজন স্কুল শিক্ষার্থী।

দ্বিতীয় মেঘনা ও গোমতী সেতু দুটির প্রকল্প পরিচালক আবু সালেহ মো. নুরুজ্জামান জানান, বাংলাদেশ সরকার ও জাইকার অর্থায়নে মহাসড়কের ২৫তম কিলোমিটারে সাড়ে ১৭ কোটি টাকা ব্যয়ে ১২টি স্প্যানের ৯৩০ মিটার দৈর্ঘ্য, ১৭ দশমিক ৭৫ মিটার প্রস্থের মেঘনা নদীর ওপর মেঘনা সেতু এবং ৩৭ তম কিলোমিটারে সাড়ে ১৯ কোটি টাকা ব্যয়ে ১৭টি স্প্যানে ১ হাজার ৪১০ মিটার দৈর্ঘ্য, ১৭ দশমিক ৭৫ মিটার প্রস্থের গোমতী নদীর ওপর গোমতী দ্বিতীয় সেতু নির্মাণ করা হয়। ২০১৬ সালের ৩ জানুয়ারি সেতু দুইটির নির্মাণকাজ শুরু হয়। ৪১ মাসে কাজ সম্পন্ন হয়।

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক দিয়ে প্রতিদিন গড়ে প্রায় ২৫ হাজার যানবাহন চলাচল করে। এসব যানবাহনের মধ্যে ৬০ শতাংশ বাণিজ্যিক এবং বাকি ৪০ শতাংশ গাড়ি যাত্রীবাহী ও হালকা যান। নতুন নির্মিত দ্বিতীয় মেঘনা সেতু ও দ্বিতীয় গোমতী সেতু দুটি খুলে দেয়ায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যানজট থাকবে না বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছে এই সড়ক দিয়ে চলাচল করা যাত্রীরা। ঈদের আগে সেতু দুটি খুলে দেয়ায় ঘরমুখো মানুষ অনেকটা স্বস্তিতে বাড়ি ফিরতে পারবে বলে আশা করছে প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা।

ঢাকাটাইমস/২৫মে/প্রতিনিধি/এমআর