এডিস নিধন কার্যক্রম শুরু হোক এখনই

প্রকাশ | ২৫ মে ২০১৯, ১৫:৫১

আরিফুর রহমান

প্রতিবছর বর্ষায় হানা দেয় এডিস মশা। বাড়ে ডেঙ্গু রোগের প্রকোপ। গেল কয়েক বছর ধরে নতুন যুক্ত হয়েছে চিকুনগুনিয়া। ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে দুর্ভোগের শেষ থাকে না নগরবাসীর। মূলত ঢাকাসহ শহরাঞ্চলেই এ রোগের প্রকোপ বেশি। তাই বর্ষা এলে নগর কর্তৃপক্ষের বাড়তি দায়িত্ব হয়ে দাঁড়ায় এডিস মশার বিরুদ্ধে সচেতনতা তৈরি করা। উদ্বেগের বিষয় হলো, এবার ঢাকায় এডিস মশার অস্তিত্ব মিলেছে বর্ষা মৌসুম শুরুর দুই মাস আগেই।

সাধারণত মে থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত বিশেষ করে গরম ও বর্ষার সময় এডিস মশার উপদ্রব ও ডেঙ্গুজ¦রের প্রকোপ বেশি দেখা যায়। কিন্তু এবার মে মাসের শুরু থেকে ঢাকা দুই সিটি করপোরেশনের ৯৭টি ওয়ার্ডের ১০০টি স্থানে জরিপ চালিয়ে এই মশার লার্ভার অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। এডিস মশার আগাম উপস্থিতির এই বার্তা নগর কর্তৃপক্ষের জন্য ভাবনার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। মূলত যে সময় এডিস মশা নিধন শুরু হয়, তার আগেই কর্মসূচি বাস্তবায়ন শুরু করতে হবে। তা না হলে এডিসের আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়বে।

এডিস মশা নিধনে নাগরিকদের সচেতনতা বৃদ্ধির বিকল্প নেই। কারণ এডিস মশা জন্মায় আমাদের নিজেদের অসচেতনতার কারণেই। এডিস মশা কোথায় বংশবিস্তার করে, এগুলো কমবেশি আমাদের সবারই জানা আছে। তবে অনেক সময় আমরা জেনেও এর বিরুদ্ধে সজাগ থাকি না। সচেতন না হলে এডিস মশার কামড়ে প্রাণহানিও ঘটতে পারে।

তবে মশা নিধনে নগর কর্তৃপক্ষের অব্যবস্থাপনার বিষয়টি প্রতিবারই সামনে আসে। মশা নিধনে যে ধরনের সরঞ্জাম ও রসায়ন ব্যবহারের কথা তা ব্যবহার করা হয় না। এ খাতে বিপুল অর্থ নয়-ছয়ের অভিযোগও শোনা যায়। শুধু বর্ষার মৌসুমেই না, সারা বছরই মশা নিধনের কার্যক্রম নিয়ে অসন্তোষ রয়েছে। এই খাতে কী পরিমাণ বরাদ্দ থাকে এবং এই বরাদ্দ সঠিকভাবে ব্যবহার হয় কি-না তা নিয়ে প্রশ্ন থাকে।

এবার মৌসুমের আগেই এডিস মশার লার্ভার আস্তিত্ব নগরবাসীর জন্যও আতঙ্ক ও উদ্বেগের। এটি কাটিয়ে উঠতে এখন থেকেই সচেতনতা চালানোর পাশাপাশি এডিস মশা নিধনে কার্যক্রম শুরু করা উচিত। বিশেষ করে যেসব এলাকা বেশি ঝুঁকিপূর্ণ সেসব এলাকায় মশা নিধন কার্যক্রম জোরদারের পাশাপাশি নজরদারিও বাড়াতে হবে। মশা নিধন কার্যক্রমের কোনো অর্থ যেন অপব্যয় বা তসরুফ না হয়, এটা যথাযথ কর্তৃপক্ষকে নিশ্চিত করতে হবে।