ফিলিস্তিন বিষয়ক মার্কিন পরিকল্পনা প্রত্যাখ্যান হিজবুল্লাহর

প্রকাশ | ২৬ মে ২০১৯, ১০:১৬

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ঢাকা টাইমস

মার্কিন সরকার ফিলিস্তিন সংকট সমাধানের কথিত লক্ষ্যে ‘শতাব্দির সেরা চুক্তি’ নামের যে পরিকল্পনা তৈরি করেছে তা প্রত্যাখ্যান করেছে লেবাননের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হিজবুল্লাহ। সংগঠনটির মহাসচিব সাইয়্যেদ হাসান নাসরুল্লাহ টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক ভাষণে বলেছেন, সব মুসলিম দেশের উচিত এ পরিকল্পনা প্রত্যাখ্যান করা কারণ এর মাধ্যমে ফিলিস্তিন ইস্যু চিরতরে মুছে ফেলার ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, ফিলিস্তিনি জাতিকে নিশ্চিহ্ন করে ফেলার লক্ষ্যে ‘শতাব্দির সেরা চুক্তি’ তৈরি করা হয়েছে। কাজেই আগামী ৩১ মে চলতি বছরের কুদস দিবসকে ‘ট্রাম্পের চুক্তি বিরোধী’ দিবস হিসেবে পালন করতে হবে।

হিজবুল্লাহ নেতা সতর্ক করে দিয়ে বলেন, আগামী মাসে বাহরাইনে আমেরিকার উদ্যোগে যে সম্মেলন হতে যাচ্ছে সেটি হবে শতাব্দির কথিত সেরা চুক্তি বাস্তবায়নের প্রথম পদক্ষেপ।

মার্কিন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আগামী ২৫ জুন বাহরাইনের রাজধানী মানামায় ফিলিস্তিন বিষয়ক একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। ওই সম্মেলনে ফিলিস্তিনি সংকট সমাধান বিষয়ক পরিকল্পনা উত্থাপন করা হবে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ‘শতাব্দির সেরা চুক্তি’ নামক যে পরিকল্পনা তৈরি করেছেন তার বিস্তারিত বিবরণ এখনো প্রকাশিত হয়নি। আসন্ন মানামা সম্মেলনে তার একাংশ প্রকাশ করা হতে পারে। তবে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, এ পরিকল্পনায় ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের মাতৃভূমিতে প্রত্যাবর্তনের অধিকার চিরতরে অস্বীকার করা হয়েছে এবং অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকা ও জর্দান নদীর পশ্চিম তীরের সীমিত এলাকা নিয়ে ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের কথা বলা হয়েছে।

হাসান নাসরুল্লাহ তার গতরাতের ভাষণে এ সম্পর্কে বলেন, লেবাননে অবস্থানরত ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের চিরস্থায়ীভাবে লেবাননে বসবাস করতে দেয়া হচ্ছে মার্কিন পরিকল্পনার অন্যতম লক্ষ্য। কাজেই অবশ্যই এ পরিকল্পনার বিরোধিতা করতে হবে। ফিলিস্তিন বিষয়ক যেকোনো পরিকল্পনায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অবস্থানরত ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের অধিকারকে অবশ্যই স্বীকৃতি দিতে হবে।

হিজবুল্লাহ মহাসচিব তার ভাষণের অন্য অংশে বলেন, ইহুদিবাদী ইসরায়েল হিজবুল্লাহকে ‘কৌশলগত হুমকি’ হিসেবে উল্লেখ করে যে বক্তব্য দিয়েছে তা এ সংগঠনের জন্য গর্বের বিষয়। নাসরুল্লাহ দাবি করে বলেন, হিজবুল্লাহর প্রতিরোধ আন্দোলন না থাকলে বায়তুল মুকাদ্দাস ও গোলান মালভূমির মতো দক্ষিণ লেবাননকেও ডোনাল্ড ট্রাম্প এতদিনে ইসরায়েলকে উপহার দিয়ে দিত।

ঢাকা টাইমস/২৬মে/একে