নুসরাত হত্যা

ওসি মোয়াজ্জেমের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পেল পিবিআই

প্রকাশ | ২৬ মে ২০১৯, ১৬:৪৫ | আপডেট: ২৬ মে ২০১৯, ২০:২৮

অনলাইন ডেস্ক

ফেনীর মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে মারার ঘটনায় ফেনীর সোনাগাজী মডেল থানার সাবেক ওসি মোয়াজ্জেম হোসেনের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

তদন্ত শেষে রবিবার পিবিআই সদর দপ্তরের সিনিয়র এএসপি রিমা সুলতানা সাইবার আদালতে প্রতিবেদন জমা দেন।

ঢাকাটাইমসকে বিষয়টি নিশ্চিত করে পিবিআই প্রধান ডিআইজি বনজ কুমার মজুমদার বলেন, ‘ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করা হয়েছে। সেখানে ওসির বিরুদ্ধে অভিযোগ আংশিক সত্যতা পাওয়া গেছে। এটা আমরা আদালতকে প্রতিবেদন দিয়ে জানিয়ে দিয়েছি।’ চলতি মাসেই নুসরাত হত্যা মামলার চার্জশিট জমা দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন পিবিআইয়ের এই কর্মকর্তা।

২৭ মার্চ রাফিকে মাদ্রাসার অধ্য সিরাজ উদদৌলা শ্রেণিকে নিয়ে যৌন নিপীড়ন করেন। অভিযোগ উঠলে দুজনকে থানায় নিয়ে যান ওসি মোয়াজ্জেম হোসেন। ওসি নিয়ম ভেঙে জেরা করতে নুসরাতের বক্তব্য ভিডিও করেন।

৬ এপ্রিল সকালে রাফি আলিম পরীা দিতে সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসায় যান। সেখানে তাকে ছাদে নিয়ে মুখোশ পরা চার-পাঁচজন নুসরাতকে অধ্য সিরাজ উদদৌলার বিরুদ্ধে মামলা ও অভিযোগ তুলে নিতে চাপ দেয়। নুসরাত অস্বীকৃতি জানালে তারা তার গায়ে আগুন দিয়ে পালিয়ে যায়। গত ১০ এপ্রিল ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নুসরাতের মৃত্যু হয়।

মৃত্যুর পর ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮ এর ২৬, ২৯ ও ৩১ ধারায় করা অভিযোগটি পিটিশন মামলা হিসেবে গ্রহণ করে তদন্তের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) নির্দেশ দেয় আদালত। তদন্তে থানায় বক্তব্য ভিডিও করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেড়ে দেয়াসহ প্রত্যেকটি অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে। তদন্তে প্রমাণিত সব তথ্য-উপাত্তসহ প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করা হয়েছে।

ভিডিওতে দেখা যায়, থানার ওসির সামনে অঝোরে কাঁদছিলেন নুসরাত। সেই কান্নার ভিডিও করছিলেন সোনাগাজী থানার ওসি। নুসরাত তার মুখ দুই হাতে ঢেকে রেখেছিলেন। তাতেও ওসির আপত্তি। বারবারই ‘মুখ থেকে হাত সরাও, কান্না থামাও’ বলার পাশাপাশি তিনি এও বলেন, ‘এমন কিছু হয়নি যে এখনো তোমাকে কাঁদতে হবে।’

(ঢাকাটাইমস/২৬মে/এসএস/জেবি)