‘ভিআইপি’ বারেক হাজীর শতকোটি টাকার প্রতারণা

প্রকাশ | ২৬ মে ২০১৯, ১৭:৪০ | আপডেট: ২৬ মে ২০১৯, ১৮:৩১

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

চাকরি দেয়ার আশ্বাস ও বড় বড় ব্যবসার অংশীদার করার ফাঁদে শতশত মানুষকে প্রতারণার ফাঁদে ফেলতো একটি চক্র। চক্রের প্রধান বারেক হাজীসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে। তাদের কাছ থেকে বিদেশি পিস্তল ও গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। প্রতারণার মাধ্যম বারেক কোটি কোটি টাকা অবৈধভাবে উপার্জন করেছেন। ঢাকা শহরে নিজের নামে ফ্যাট, গাড়ি, কুমিল্লা নিজের গ্রামে বাড়ি ও জমিসহ অঢেল সম্পত্তি মালিক হয়েছেন।

শনি ও রবিবার ভোরে রাজধানীর দারুসসালাম থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এরমধ্যে রয়েছে বারেক সরদার ওরফে বারেক হাজী, হাবিবুর রহমান, জাকির হোসেন, আক্তারুজ্জামান ও শাহরিয়ার তাসিম।

রবিবার কারওয়ানবাজারে র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র‌্যাব-৪ এর অধিনায়ক চৌধুরী মঞ্জুরুল কবির।

র‌্যাব কর্মকর্তা জানান, ‘বারেক হাজী ১৮ বছর বয়সে সৌদি আরব যাওয়ার পর দেশে ফিরে আরসিডি বা রয়েল চিটার ডেভলপমেন্ট নামে সংগঠন গড়ে তোলেন। এ প্রতিষ্ঠানের নামে রাজধানীর উত্তরা, মিরপুর ও মতিঝিলের বিভিন্ন এলাকায় অত্যাধুনিক অফিস ভাড়া নেয় এই চক্র। আধুনিক এই প্রতিষ্ঠানই ছিল তার প্রতারণা সাম্রাজ্য। নাম বারেক সরকার হলেও ‘বারেক হাজী’ নামেই সবার কাছে পরিচিত তিনি।’

র‌্যাব-৪ এর অধিনায়ক জানান, সরকারি বেসরকারি উচ্চপর্যায়ের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও বিভিন্ন কোম্পানির ভুয়া কাগজপত্র ও দলিল তৈরি করে প্রতারণার ফাঁদ তৈরি করে একশ কোটি টাকারও বেশি হাতিয়ে নিয়েছেন তারা। এ পর্যন্ত তিনি ধরা পড়েননি। তার চালচলন যেমন ভিআইপি ধরনের, তার প্রতারণার কৌশলগুলোও ভিআইপি ধরনের।

র‌্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘দেশি কাউকে বিদেশি বেশে সাজিয়ে তাস খেলার একটা কৌশল অবলম্বন করত তারা। ভিকটিমদের টার্গেট করে বলা হতো ৩০ লাখ টাকা আনলেই এক কোটি টাকা পাবেন, ভিকটিম ৩০ লাখ টাকা যখনই শো করে, এরমধ্যেই তারা অফিস পরিবর্তন করে ফেলে। এ জাতীয় প্রতারণা যতগুলো আছে ঢাকা শহরে সবকিছুর তিনি হচ্ছে সম্রাট। এ পর্যন্ত আমরা শতাধিক কোটি টাকা প্রতারণার প্রমাণ পেয়েছি।’

র‌্যাব কর্মকর্তা বলেন, ‘প্রতারক চক্রের মূল হোতাসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এসময় বারেক হাজীর কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, ম্যাগজিন ও দুই রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়। তবে এসব অস্ত্রের কোনো কাগজ তিনি দেখাতে পারেননি।’

চৌধুরী মঞ্জুরুল কবির বলেন, ‘চক্রটি আর্থিকভাবে স্বচ্ছল ব্যক্তিদের বাসায় এবং তার এলাকার মাদ্রাসা, মসজিদে এনজিও’র পক্ষ থেকে বিনা খরচে সৌর প্যানেল বসানোর কথা বলত। এজন্য সুকৌশলে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।’

(ঢাকাটাইমস/২৬মে/জেবি)