চাঁদাবাজি বন্ধে আইজিপির কড়া নির্দেশনা

প্রকাশ | ২৬ মে ২০১৯, ১৮:০৫

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

সড়ক ও মহাসড়কে চাঁদাবাজি বন্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি অনুসরণের নির্দেশ দিয়েছেন বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী। মহাসড়কের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টসমূহে সিসিটিভি স্থাপন, ট্রাক, পিকআপ ও পণ্যবাহী ট্রাকে যাত্রী পরিবহন রোধ এবং সুনির্দিষ্ট তথ্য ছাড়া মহাসড়কে যানবাহন না থামানোর নির্দেশও দেন পুলিশপ্রধান।

রবিবার দুপুরে পুলিশ সদরদপ্তর থেকে সব মেট্রোপলিটন ও রেঞ্জের পুলিশ কর্মকর্তাদের ভিডিও কনফারেন্সে ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে বিভিন্ন নির্দেশনা দেন আইজিপি। ভিডিও কনফারেন্সে মেট্রোপলিটন সদরদপ্তরসমূহে উপপুলিশ কমিশনার, এর উপরের কর্মকর্তারা এবং রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয়ে রেঞ্জাধীন জেলা পুলিশ সুপার এবং এর উপরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

আইজিপি সাধারণ মানুষের ঈদের কেনাকাটা নির্বিঘœ করার লক্ষ্যে মার্কেট ও শপিংমলে ভোররাত পর্যন্ত পোশাকে ও সাদা পোশাকে বিশেষ নিরাপত্তা দেয়ার নির্দেশ দেন। তিনি মার্কেট কমিটি কর্তৃক নিজস্ব নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে তোলা, স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ এবং বৃহৎ মার্কেট ও শপিংমলে সিসিটিভি, হ্যান্ড মেটাল ডিটেক্টর এবং প্রয়োজনে আর্চওয়ে স্থাপনের পরামর্শ দেন।

টার্মিনাল থেকে বাস ছাড়ার আগে ড্রাইভারের ড্রাইভিং লাইসেন্স, অন্যান্য কাগজপত্র ও ফিটনেস পরীক্ষা করতে বলেন আইজিপি। তিনি বাসের ছাদে যাত্রী পরিবহন বন্ধের নির্দেশ দেন। রেলপথে নাশকতা রোধে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার নির্দেশ দেন আইজিপি।  বলেন, চলন্ত ট্রেনে পাথর মারা রোধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে যেন কোনোভাবে এ ধরনের দুঃখজনক ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে। নৌযানে অতিরিক্ত  যাত্রী পরিবহন রোধ এবং নৌপথে অন্য কোনো স্থান থেকে নৌকা দিয়ে যাত্রী উঠানো বন্ধ করার নির্দেশ দেন তিনি।

আইজিপি জাতীয় ঈদগাহ, কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়া, দিনাজপুরের গোর এ শহীদ ঈদগাহসহ বিভাগ ও জেলার কেন্দ্রীয় ঈদ জামাতস্থলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার নির্দেশ দেন।

ঈদের ছুটিতে আবাসিক এলাকা, ব্যাংক ও অর্থলগ্নীকারী প্রতিষ্ঠান, স্বর্ণের দোকান ইত্যাদির নিরাপত্তা নিশ্চিত করার নির্দেশ দেন আইজিপি। তিনি দেশব্যাপী মাদক, জাল টাকা, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, মানব পাচার রোধে বিশেষ অভিযান পরিচালনার নির্দেশ দেন।

আইজিপি বলেন, ‘জঙ্গি সংগঠনের কার্যক্রমের ওপর গোয়েন্দা নজরদারি বাড়াতে হবে। জঙ্গিরা যাতে ভাড়া বাসাকে আস্তানা হিসেবে ব্যবহার করতে না পারে সেজন্য নিয়মিত ভাড়াটিয়া তথ্য সংগ্রহ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।’

পুলিশপ্রধান বলেন, ‘গুরুত্বপূর্ণ মেগা প্রজেক্ট যেমন- রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, পদ্মা সেতু, পায়রা সমুদ্র বন্দর, মাতারবাড়ি তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র ইত্যাদির নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।’ বিদেশি কূটনৈতিক মিশন ও স্থাপনা এবং বিদেশি নাগরিকদের নিরাপত্তা বাড়ানোর নির্দেশ দেন আইজিপি।

জাকাত বিতরণকালে যেকোনো ধরনের দুর্ঘটনা এড়াতে সতর্কতার সঙ্গে পর্যাপ্ত নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সব ইউনিটকে নির্দেশ দেন আইজিপি।

আইজিপি বলেন, ‘দেশের সামগ্রিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি যেকোনো সময়ের চেয়ে সন্তোষজনক। এ অবস্থা ধরে রাখার জন্য পুলিশ কর্মকর্তাদের পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে হবে।’

(ঢাকাটাইমস/২৬মে/এএ/জেবি)