যশোরে মাদ্রাসাছাত্র মারুফ হত্যায় ১০ আসামি খালাস
যশোরের চৌছাগায় জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে মাদ্রাসাছাত্র মারুফ হোসেন (১৩) হত্যা মামলায় অভিযুক্ত ১০ আসামিকে বেকসুর খালাস দিয়েছে খুলনার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল। রবিবার দুপুরে ট্রাইব্যুনালের হাকিম নজরুল ইসলাম হাওলাদার এ রায় দেন।
নিহত মাদ্রাসাছাত্র মারুফ যশোর জেলার চৌগাছা থানার স্বর্পরাজপুর গ্রামের মহিদুল ইসলামের ছেলে ছিল।
খালাসপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- যশোর জেলার চৌগাছা থানার স্বর্পরাজপুর গ্রামের হযরত আলি মণ্ডল ও তার ভাই সুলাইমান মণ্ডল, হযরত আলি মণ্ডলের দুই ছেলে বিল্লাল হোসেন ও টুটুল মণ্ডল, আবুল বাশার, বাবু, ইকরামুল হোসেন, আযাহারুল ইসলাম ওরফে বুড়ো, শফিকুল ইসলাম ও ঝিনাইদহ জেলার কালিগঞ্জ থানার রঘুনাথপুর গ্রামের খলিল মণ্ডল।
রায় ঘোষণাকালে সাত আসামি আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন। বাকি তিন আসামি পলাতক ছিলেন।
মামলার বাদী নিহত মারুফের মা আবেরুন্নেছা জানান, আমরা ন্যায় বিচার পাইনি। আসামি আযাহারুল ইসলাম ওরফে বুড়ো আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে এ হত্যায় নিজের সম্পৃক্ততা স্বীকার করে এবং অন্যান্য জড়িতদের নাম প্রকাশ করে। এছাড়া লাশের ছয় টুকরো করার বিবরণও আদালতে স্বীকারোক্তি দেয় ওই আসামি। এ রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করব।
আদালতের উচ্চমান বেঞ্চ সহকারী ফকির মো. জাহিদুল ইসলাম জানান, ২০১৬ সালের ১০ আগস্ট সকাল সাড়ে ৯টার দিকে স্বর্পরাজপুর যাওয়ার কথা বলে মহিদুল ইসলামের কিশোর ছেলে মো. মারুফ হোসেন বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। সারাদিন খোঁজ করেও তার কোন সন্ধান পাওয়া যায় না। সন্ধ্যার পর লোক মুখে জানা যায়, মির্জাপুর গ্রামের হাসেম আলির খেজুর বাগানে মাথাবিহীন হাত-পা কাটা মারুফের লাশ পড়ে আছে। এ ঘটনায় নিহত মারুফের মা আবেরুন্নেছা বাদী হয়ে সাতজনের নাম উল্লেখসহ আরো অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে হত্যা মামলা করেন। পরের বছরের ৮ জুলাই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা যশোর সিআইডি এসআই তহিদুল ইসলাম এজহারভুক্ত সাত আসামির সঙ্গে আরো তিনজনকে সংযুক্ত করে ১০ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
(ঢাকাটাইমস/২৬মে/এলএ)