গুজরাটে বক্তৃতায় মোদির মুখে বাংলা

প্রকাশ | ২৭ মে ২০১৯, ০৯:৪৬

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ঢাকা টাইমস

নির্বাচনে জয়ের পর মায়ের আশির্বাদ নিতে গুজরাট গিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদি। সেখানে এক সভায় বক্তৃতা দিয়েছেন বিজেপির প্রধান দুই নেতা নরেন্দ্র মোদি ও অমিত শাহ। গুজরাটে বক্তৃতায়ও ঘুরে ফিরে মোদি-অমিতের মুখে এসেছে পশ্চিমবঙ্গের নাম। নির্বাচনের আগে পশ্চিমবঙ্গের এক নারীর অধো বাংলা আধো হিন্দির একটি মন্তব্য অনলাইনে ভাইরাল হয়েছে- সেই মন্তব্যের জের ধরে মোদি ওই নারীর কথা তুলে ধরে বাংলায় বলেন, ‘আমি গুজরাটে গিয়েছি। দেখেছি স্বর্গ হয়েছে, স্বর্গ!’

সম্প্রতি গুজরাটে অগ্নিকাণ্ডে বেশ কয়েকজন হতাহতের কারণে সেখানে উল্লাস করেনি বিজেপি। সভায় বক্তৃতার শুরুতে অমিত শাহ নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, ‘‘এত জোরে ‘ভারত মাতা কি জয়’ বলুন, যাতে বাংলা পর্যন্ত আওয়াজ পৌঁছয়।’’ পরে মোদিও নিজের বক্তৃতা শেষ করেছেন ‘ভারত মাতা কি জয়’ স্লোগান তুলে এবং জনতাকে বলেছেন, ‘যে ভাবে সভাপতি বললেন, সে ভাবে বলুন। যাতে বাংলায় আওয়াজ পৌঁছয়।’

আসন তো বেড়েছেই, উত্তরপ্রদেশের পরে সারাদেশে বিজেপি সবচেয়ে বেশি ভোট পেয়েছে পশ্চিমবঙ্গেই। এই পরিস্থিতিতে মোদি আজ তুলেছেন রায়গঞ্জের রিনা সাহার কথা। এই গৃহবধূর হিন্দি টিভি সাক্ষাৎকারের ভিডিও ভাইরাল। যেখানে অননুকরণীয় ভঙ্গিতে তাকে বলতে শোনা গিয়েছিল, ‘২২ দিন গুজরাট ঘুরকে আয়া হ্যায়। গুজরাট মে বিকাশ হুয়া হ্যায় মানে স্বর্গ হুয়া হ্যায়! মোদি সরকারনেই তো করতা হ্যায়। কাজেই মোদি সরকারকে হাম সাপোর্ট করতা হ্যায়।’’ রিনাদেবী এও বলেছিলেন, বাংলায় গুজরাটের মতো ‘স্বর্গ’ তৈরি হতে একশো বছর লাগবে। কারণ এই রাজ্যে সরকারের টাকা নেতারা ‘খেয়ে নেন’। এই বিষয়টি উল্লেখ করে মোদি বলেন, ‘‘সোশ্যাল মিডিয়ায় বাংলার এক বয়স্কা বোনের সাক্ষাৎকার দেখেছি। ‘মোদী মোদী’ করে বাংলায় কথা বলছিলেন। বললেন, ‘আমি গুজরাটে গিয়েছি। দেখেছি স্বর্গ হয়েছে, স্বর্গ!’ ভোট কাকে দেবেন জানতে চাওয়া হলে বললেন কমিউনিস্ট পার্টিকে।’’

গুজরাটের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘২০১৪ সালে গুজরাতকে জানার সুযোগ পেয়েছিল দেশ। সামনে এসেছিল গুজরাটের বিকাশের মডেল। দেশের ইতিহাসে ১৯৪২-৪৭ সালের মতোই গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে আগামী পাঁচটা বছর। লক্ষ্য হবে সার্বিক উন্নয়ন। বিশ্বের দরবারে পুরনো আসন ফিরিয়ে দিতে হবে ভারতকে।’’ মোদির বক্তব্য, ষষ্ঠ দফা ভোটের পরে তিনি যখন তিনশো আসন পেরোনোর কথা বলেছিলেন, তখন হেসেছিলেন অনেকে। কিন্তু মানুষ শক্তিশালী সরকারই চেয়েছে। সারা বিশ্বের সমর্থন পেয়েছেন তিনি।

ঢাকা টাইমস/২৭মে/একে