ডেড বলে সাত রান পেনাল্টির প্রস্তাব শচীনের

ক্রীড়া ডেস্ক, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ২৭ মে ২০১৯, ১১:৫২

মুম্বাই প্রিমিয়ার লিগে ডেড বল বিতর্কে মুখ খুললেন শচীন টেন্ডুলকার। টুর্নামেন্টের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর শচীন শুধু নিজের মতামতই পেশ করেননি, বরং এমন পরিস্থিতিতে একটি সমাধানের উপায়ও বলে দিয়েছেন তিনি। শচীনের মতে, বোলার এবং ফিল্ডারদের ভুলের জন্য যদি শাস্তিবিধান থাকে, তবে ব্যাটসম্যানদেরও ভুল করার জন্য শাস্তি হওয়া উচিত।

মুম্বাই প্রিমিয়র লিগের সেমিফাইনালে সোবো সুপারসনিকস বনাম আকাশ টাইগার্সের ম্যাচে একটি ডেড বল নিয়ে বিতর্ক দেখা দেয়। ইনিংসের ১৫তম ওভারে শেষে সোবো সুপারসনিকসের ওপেনার হের্শ ট্যাঙ্কের পেশিতে টান ধরলে মাঠে ফিজিওকে ছুটে আসতে হয়। ওই ওভারের শেষ বলটিতে অপর ওপেনার জয় বিস্তা সিঙ্গল নিয়েছিলেন।

ফিজিও মাঠ ছাড়লে নতুন করে যখন খেলা শুরু হয়, তখন বিস্তার বদলে হের্শ স্ট্রাইক নেন। যেহেতু আগের ওভারের শেষ বলে সিঙ্গল নিয়েছিলেন, তাই বিস্তারই স্ট্রাইক নেওয়ার কথা ছিল। আম্পায়াররা ব্যাটসম্যানদের প্রান্ত বদলের এই ভুলটি ধরতে পারেননি। ১৬তম ওভারের প্রথম বলেই হের্শ আউট হয়ে বসলে আম্পায়াররা ভুল বুঝতে পারেন। ফলে বলটিতে ডেড ঘোষণা করে ব্যাটসম্যানদের প্রান্ত বদলেন নির্দেশ দেন আম্পায়াররা। আকাশ টাইগার্স নিশ্চিত একটি উইকেট থেকে বঞ্চিত হয়। শেষমেশ আকাশ টাইগার ম্যাচটি হেরে যাওয়ায় ডেড বল নিয়ে মুম্বাই ক্রিকেটমহলে বিস্তর বিকর্ত শুরু হয়।

এই অপ্রত্যাশিত বিতর্ক নিয়ে টেন্ডুলকার নিজের মতামত জানান। শচীন বলেন, ‘সেদিন যা দেখলাম, তা আগে কখনও দেখিনি। পরে ঘটনাটা পর্যালোচনা করি। ভেবে দেখি যে ওটা ডেড বল হওয়া উচিত ছিল না। তবে নিয়ম অন্য কথা বলছে। নিয়ম মতো সেই মুহূর্তে যা হয়েছিল, সেটাই সঠিক। আমার মনে হয় যে, এক্ষেত্রে একটি রদবদল প্রয়োজন। যদি ৩০ গজের বৃত্তের ভিতরে তিনজন ফিল্ডার থাকে, তবে আম্পায়ার কখনই ফিল্ডিং দলের ক্যাপ্টেনকে ডেকে বৃত্তের ভিতর একজন ফিল্ডার বাড়ানোর কথা বলেন না। বদলে তিনি ঠিক পরের বলটিই নো ডাকেন এবং ব্যাটসম্যান ফ্রি-হিট পেয়ে যায়। যদি এমন ভুলের জন্য ফিল্ডিং করা দলকে শাস্তি দেওয়া হয়, তবে ব্যাটসম্যানদের ভুলের জন্য কোনও শাস্তিবিধান হবে না কেন?’

শচীন আরও যোগ করেন, ‘নিজের প্রান্ত ঠিক রাখার দায়িত্ব ব্যাটসম্যানের। যদি তারা নিজেদের প্রান্ত ঠিক রাখতে না পারে, তবে তাদের প্রান্ত বদলের নির্দেশ দেওয়ার আগে অন্তত ৭ রান কেটে নেওয়া উচিত বা বিপক্ষ দলকে পেনাল্টির ৭ রান উপহার দেওয়া দরকার। কারণ একটা নো বল ও ফ্রি-হিটের সুযোগে সর্বাধিক ৬ রানের সুবিধা পেতে পারে ব্যাটসম্যান। সেক্ষেত্রে ব্যাটসম্যানদের ভুলে ৭ রান উপহার পাওয়া দরকার ফিল্ডিং দলের।’

যদিও গোটা বিষয়টিকে আম্পায়ারদের গাফিলতি হিসাবেও বর্ণনা করেছেন লিটল মাস্টার। তিনি জানান, ‘আজকের দিনে এত প্রযুক্তি, তৃতীয় আম্পায়ার, চতুর্থ আম্পায়ার, ম্যাচ রেফারির সুবিধা থাকা সত্ত্বেও এমন ঘটনা ম্যাচ অফিসিয়ালদের চোখ এড়িয়ে যাওয়া ঠিক নয়। আম্পায়ারদের আগেই ব্যাটসম্যানদের প্রান্ত বদলের কথা বলা উচিত ছিল।’

(ঢাকাটাইমস/২৭ মে/এসইউএল)

সংবাদটি শেয়ার করুন

খেলাধুলা বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :