‘বিস্ফোরিত ককটেলটি আগেই পুলিশের গাড়িতে রাখা ছিল’

প্রকাশ | ২৭ মে ২০১৯, ১২:৫৩ | আপডেট: ২৭ মে ২০১৯, ১৩:২৯

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
ককটেল বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্ত পুলিশের গাড়ি

রাজধানীর মালিবাগে পুলিশের গাড়িতে বিস্ফোরিত ককটেলটি সাধারণ ককটেলের চেয়ে শক্তিশালী ছিল বলে জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া। ককটেলটি পুলিশের গাড়ির পেছনে আগে থেকেই রাখা ছিল বলে প্রাথমিক ধারণা করা হচ্ছে।

সোমবার ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে আহত রিকশাচালক লাল মিয়ার চিকিৎসার খোঁজখবর নিয়ে বেরিয়ে যাওয়ার সময় সাংবাদিকদের তিনি একথা বলেন।

রবিবার রাতে রাজধানীর মালিবাগ মোড়ে সিএনজি পাম্পের বিপরীতে ফ্লাইওভারের নিচে দাঁড়িয়ে থাকা পুলিশের গাড়িতে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে ডিএমপির ট্রাফিক পূর্ব (সবুজবাগ) বিভাগের সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) রাশেদা খাতুন, রিকশাচালক লাল মিয়া এবং আরেক পথচারী আহত হন। এ ঘটনায় ইসলামিক স্টেট গ্রুপের কর্মকাণ্ড নজরদারি করে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সাইট ইন্টেলিজেন্স জানিয়েছে, আইএস ওই ঘটনার দায় স্বীকার করেছে। টুইটারে সাইট ইন্টেলিজেন্স গ্রুপের অ্যাকাউন্ট থেকে এ দায় স্বীকারের কথা জানিয়ে টুইট করা হয়েছে।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘ককটেল বিস্ফোরণে আহত রিকশাচালক লাল মিয়া মাথার স্কালব ভেঙে ব্রেইনে চাপ লেগেছে। গতরাতে তার মাথার অস্ত্রোপচার করা হয়েছে। এখন সবকিছু নরমাল আছে। তবে তিনি এখনো ঝুঁকিপূর্ণ। তার চিকিৎসার জন্য যা যা করা দরকার সবকিছুই করা হচ্ছে।’

কী উদ্দেশ্যে এই বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে সেটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে জানিয়ে আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, ‘কাউন্টার টেরোরিজম, ডিবি, সিআইডি ঘটনাস্থলে বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করেছে। এটি কী ধরনের বিস্ফোরক তা কাউন্টার টেররিজমের বোম ডিসপোজাল ইউনিট খতিয়ে দেখছে। এটি পুলিশকে টার্গেট করা হয়েছে নাকি অন্য কোনো লক্ষে করা হয়েছে তাও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। কী উদ্দেশ্যে এই বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে সেটাও আমরা তদন্ত করছি।’

ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘ককটেলটি পুলিশ ভ্যানে পেছনে আগে থেকেই রাখা ছিল বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। জনমনে ভীতি, নৈরাজ্য, অরাজকতা সৃষ্টি করার জন্য কোনো গোষ্ঠী এটি করতে পারে। জঙ্গি সম্পৃক্ততা আছে কি না তা এই মুহূর্তে বলা যাবে না।’

(ঢাকাটাইমস/২৭মে/এসএস/জেবি)