দেখিয়ে দাও তুমি কেন বিশ্বসেরা: সাকিবকে রোডস

প্রকাশ | ২৭ মে ২০১৯, ১৩:৪৭

ক্রীড়া ডেস্ক, ঢাকাটাইমস

হাতের আঙ্গুলের ইনজুরির কারণে বছরের শুরুতে নিউজিল্যান্ড সফরে যেতে পারেননি সাকিব আল হাসান। কিন্তু পরবর্তীতে তিনি আইপিএলে খেলেছেন। তবে সেখানে তিনি মাত্র তিনটি ম্যাচ খেলার সুযোগ পান। চলতি মাসে আয়ারল্যান্ডে অনুষ্ঠিত ত্রিদেশীয় সিরিজের মাধ্যমে প্রায় পাঁচ মাস পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরেন সাকিব। মাঠে ফিরেই উজ্জ্বল ছিলেন তিনি। লিগ পর্বে দুই ম্যাচে অপরাজিত হাফ সেঞ্চুরি করেছিলেন এই অলরাউন্ডার।

কিন্তু ফাইনাল ম্যাচে সাকিব খেলতে পারেননি। পিঠের ব্যথার কারণে এই ম্যাচে দর্শক হয়ে থাকতে হয় তাকে। সাকিব না থাকলেও ফাইনালে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে শিরোপা জয় করে বাংলাদেশ। এটিই বহুজাতিক কোনো সিরিজে বাংলাদেশের প্রথম শিরোপা। ফাইনালে না খেললেও সিরিজ জয়ের ক্ষেত্রে সাকিবের অবদান কম নয়।

এই সিরিজের পর আফগানিস্তানের রশীদ খানকে সরিয়ে আইসিসি ওয়ানডে র‌্যাঙ্কিংয়ে অলরাউন্ডারদের তালিকায় শীর্ষে উঠে আসেন সাকিব আল হাসান। তিনি এখন রশীদ খানের চেয়ে ২০ পয়েন্ট উপরে রয়েছেন।

ত্রিদেশীয় সিরিজে হালকা ইনজুরিতে আক্রান্ত হলেও সাকিব আল হাসান এখন ম্যাচ খেলার জন্য পুরোপুরি ফিট। রবিবার কার্ডিফে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যকার বিশ্বকাপ প্রস্তুতি ম্যাচ বৃষ্টির কারণে পরিত্যক্ত হয়ে যায়। এদিন সাকিবকে নিয়ে কথা বলেন টাইগার কোচ স্টিভ রোডস।

স্টিভ রোডস বলেন, ‘সাকিবের অবস্থা এখন ভালো। শারীরিকভাবে সে এখন চমৎকার অবস্থানে আছে। আয়ারল্যান্ডে তার কিছুটা সমস্যা ছিল। কিন্তু এখন সে সুস্থ। সে একটি দারুণ টুর্নামেন্ট খেলার জন্য মুখিয়ে আছে। আমি মনে করি, কিছু জায়গায় তাকে প্রমাণ করতে হবে। সেও বিষয়টি জানে। হয়তো কিছুদিন সবাই তাকে ভুলে গিয়েছিল। কিন্তু সে এখন আমার ওয়ানডেতে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারের জায়গাটি দখল করেছে। এখন সাকিবের কাজ হবে সবাইকে দেখিয়ে যে, সে কেন বিশ্বসেরা।’    

বাংলাদেশ দলের আরেকজন অলরাউন্ডার মাহমুদউল্লাহ রিয়াদও বেশ কিছুদিন যাবৎ ইনজুরিতে ভুগছেন। সম্প্রতি তিনি শুধু স্পেশাল ব্যাটসম্যান হিসাবে খেলেছেন। বোলিং করতে পারেননি। কিন্তু স্টিভ রোডস মনে করছেন, বিশ্বকাপের এক পর্যায়ে রিয়াদ বলও করতে পারবেন।

রিয়াদকে নিয়ে স্টিভ রোডস বলেন, ‘মাহমুদউল্লাহর কাঁধের ইনজুরি আস্তে আস্তে ভালো হচ্ছে। আমি মনে করি না যে, পাকিস্তানের বিপক্ষে বোলিং করাটা তার ভালো হতো। আমরা আশাবাদী যে, সে দ্রুত সেরে উঠছে। তার কারণে হয়তো দলের ভারসাম্য রক্ষা করাটা কিছুটা কঠিন হতে পারে। কিন্তু রিয়াদের ভালো একটা দিক হচ্ছে ভালো বোলিং করতে হলে তার খুব একটা অনুশীলনের দরকার হয় না।’

বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দল অভিজ্ঞ দলের মধ্যে একটি। দলের পাঁচজন খেলোয়াড়ের ওয়ানডে ম্যাচের সংখ্যা কমপক্ষে ১৭৫টি।

বিষয়টি নিয়ে রোডস বলেছেন, ‘লোকে আমাকে বলছে, বিশ্বকাপ জিততে হলে অভিজ্ঞতা দরকার। আমি আনন্দিত যে, আমার দলে অভিজ্ঞতার ভাণ্ডার অনেক সমৃদ্ধ। বিশ্বকাপে দশটি দল খেলবে। আমি ভেবে দেখেছি, আমরা ফেভারিটের তালিকায় নবম। আর আফগানিস্তান দশম। কিন্তু আমরা দুই দলই আমাদের দিনে ফেভারিটদের হারাতে পারি।’

(ঢাকাটাইমস/২৭ মে/এসইউএল)