অতিরিক্ত ফি: বশেমুরকৃবি শিক্ষার্থীদের আন্দোলন চলছে

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ২৭ মে ২০১৯, ২১:৪৬ | প্রকাশিত : ২৭ মে ২০১৯, ২১:১১

অতিরিক্ত জরিমানা ও বিভিন্ন বাড়তি ফি আদায়ের প্রতিবাদসহ তিন দফা দাবিতে আন্দোলন করে যাচ্ছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরকৃবি) শিক্ষার্থীরা।

সোমবার সকাল থেকে বৃষ্টি উপক্ষো করে আন্দোলন কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষার্থীরা।

গত ২০ মে ক্লাসের উপস্থিতির ওপর জরিমানা আদায়ের নোটিশ জারি হওয়ার পর গত ২২মে আন্দোলনে নামেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এরই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল ক্লাস পরীক্ষা বর্জন করে তিন দফা দাবি আদায়ে সোচ্চার হন।

শিক্ষার্থীরা জানান, হঠাৎ করেই বশেমুরকৃবি প্রশাসন ঘোষণা দিয়েছে যদি কোন শিক্ষার্থী ৮০% এর নিচে ক্লাসে উপস্থিত থাকে তাহলে তাকে জরিমানা দিয়ে চূড়ান্ত পরীক্ষায় বসতে হবে। শ্রেণীকক্ষে ৭০-৭৯% উপস্থিতি হলে ২০০০ টাকা এবং ৬০-৬৯% উপস্থিতি হলে ৫০০০ টাকা জরিমানা ধার্য্য করা হয়েছে প্রতি কোর্সের জন্য। ফলে প্রতি টার্মে জরিমানা হিসেবে শিক্ষার্থীদের দশ হাজার টাকা থেকে ত্রিশ হাজার টাকা এবং বাৎসরিক ত্রিশ হাজার থেকে নব্বেই হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা গুণতে হবে।

চতুর্থ দিনের মতো আজ আন্দোলন করলেও প্রশাসন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলতে আসেন এই প্রথম। শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা গতকাল গণস্বাক্ষরসহ স্মারকলিপি জমা দিয়েছি। কিন্তু শিক্ষকরা আমাদের কথায় কর্ণপাত করেননি এবং শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলে আজ তারা আমাদের আন্দোলনে এসে বিভিন্ন অপ্রাসঙ্গিক কথা বলেন। আমাদের দাবিগুলো স্পষ্ট ও সহজ হলেও তারা বিভিন্ন যুক্তিতর্কের মাধ্যমে বিষয়টাকে জটিল ও অন্যদিকে প্রবাহিত করার চেষ্টা করেছেন বলে অভিযোগ করেন শিক্ষার্থীরা।

এর প্রতিবাদে ছাত্রছাত্রীরা সমস্বরে তাদের দাবিগুলো আবার পড়ে শোনান। দাবি না মানা পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ও ক্লাস পরীক্ষা বর্জনের সিদ্ধান্ত জানিয়ে আজকের কর্মসূচি শেষ করেন।

এদিকে রোজা রেখে ন্দোলন করার করার কারণে তাদের অনেক অসুস্থ হয়ে যাচ্ছেন বলে জানান শিক্ষার্থীরা।

তারা বলেন, দেশের ১৩তম এই পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়টি স্বায়ত্তশাসনের নামে শিক্ষার্থীদের প্রতি স্বৈরাচারী আচরণ করে যাচ্ছে। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় হয়েও এখন পর্যন্ত কোর্স ক্রেডিট সিস্টেমে বছরে তিনটি টার্ম শেষ করে। প্রতি টার্ম শুরুর ১৭ দিনের মাথায় ১ম মিড, ১ম মিড শেষ হবার ১৫ দিনের মাথায় ২য় মিড, আবার ২য় মিড শেষ হবার ২৭ দিনের মাথায় ফাইনাল পরীক্ষায় বসতে হয় শিক্ষার্থীদের। এই মিডের মধ্যেও শিক্ষার্থীদের ক্লাস, ল্যাব ক্লাস, কুইজ পরীক্ষা যথারীতি চলতে থাকে। পাশাপাশি ৮০% ক্লাসে উপস্থিত না থাকলে চূড়ান্ত পরীক্ষায় বসতে দেয়া হয় না।

তাদের অভিযোগ, বছরে তিনটি টার্মের (প্রাইভেট ইউনিভার্সিটির মত) শুরুতে প্রতি স্টুডেন্টের কাছে ফি বাবদ প্রায় ১২ হাজার টাকা নেয় প্রশাসন।

প্রশাসন বিভিন্নভাবে ছাত্রছাত্রীদের হুমকি প্রদান করে ও বিভিন্না অজুহাতে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করে। এতে তাদের জীবন অতিষ্ঠ বলে জানান শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হচ্ছে:

১. ৮০% এর ক্লাসের উপস্থিতি ধরে যে জরিমানা ধরা হয়েছে সেটা বাতিল করতে হবে এবং পরীক্ষা দেওয়ার সর্বনিম্ন উপস্থিতি হার ৬০% করতে হবে।

২. অন্যান্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে মিল রেখে এনরোলমেন্ট ফি ১০০০-১২০০ টাকার মধ্যে রাখতে হবে এবং পরীক্ষা সংক্রান্ত যাবতীয় বিলম্ব ফি বাতিল করতে হবে।

৩. ২টি মিড পরীক্ষার একটি বাদ দিতে হবে এবং পরীক্ষার পর কোন ক্লাস-ল্যাব দেয়া যাবে না।

ঢাকাটাইমস/২৭মে/ইএস

সংবাদটি শেয়ার করুন

শিক্ষা বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিক্ষা এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :