অন্তঃসত্ত্বা নারীকে ধর্ষণ

ব্রাইট ফিউচারের এমডিসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা

প্রকাশ | ২৮ মে ২০১৯, ১৪:১৪

আদালত প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
প্রতীকী ছবি

অন্তঃসত্ত্বা এক নারীকে ধর্ষণের অভিযোগে ব্রাইট ফিউচার হোল্ডিং লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রেজাউল ইসলাম সোহেলসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

গত সোমবার ঢাকার ৯ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে ওই নারী মামলাটি করেন। ওইদিন শুনানির পর মঙ্গলবার বিচারক মো. শরীফ উদ্দিন রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানাকে বাদিনীর আরজি এজাহার হিসেবে গ্রহণ করতে নির্দেশ দিয়েছেন। বাদীপক্ষের আইনজীবী শুভ্র সিনহা রায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মামলার অপর আসামিরা হলেন- সোহেলের সহযোগী পারভীন আক্তার, কাজী সামছুর রহমান এবং হারুন অর রশিদ।

মামলায় বাদীর অভিযোগ, রেজাউল ইসলাম সোহেলের সঙ্গে বাদীর ২০১২ সালের ২১ সেপ্টেম্বর গাজীপুরে ৩ কাঠা প্লট ক্রয়ের মৌখিক চুক্তি হয়। চুক্তি মোতাবেক বাদী সোহেলকে ২৪ লাখ টাকা দেন।

১৪ মাস পরে সোহেল চুক্তিটি বাতিল করে গার্ডিয়ান রিয়েল এস্টেট থেকে একটি ফ্ল্যাট বাদীকে দেয়ার লিখিত চুক্তি করেন। দুই বছর পরও সোহেল তা বুঝিয়ে দিতে তালবাহানা শুরু করলে এক সালিশে আসামি তার একটি প্রজেক্ট বিক্রি করে বাদীকে ৬৪ লাখ প্রদান করবে বলে জানায় এবং তার এক কর্মচারীর ৭ লাখ টাকার ৬টি চেক বাদীকে প্রদান করে।

আরজিতে বলা হয়, চেক প্রদান করার পর আসামি সোহেল বাদীকে বীমা চেক ও চুক্তিনামা ফেরত দেয়ার জন্য বিভিন্ন সময় ভয়ভীতি ও হুমকি দেয়। উক্ত বিষয়ে বাদিনী ভাটারা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। পরবর্তীতে বাদিনী ২০১৮ সালের ২৪ ডিসেম্বর সিএমএম আদালতে আসামি সোহেলের বিরুদ্ধে একটি প্রতারণার মামলা করেন। মামলার পর তা তুলে নিতে আসামি হুমকি দিতে থাকেন। এক পর্যায়ে সে বাদিনীকে আপোষের প্রস্তাব দেয়। আসামি পারভীন আক্তার আপোষের বিষয়ে তাকে বোঝায় এবং বলে তাকে অন্য অন্যত্র প্লট দিবে।

গত ২৪ এপ্রিল আসামিদের সঙ্গে বাদীর মামলা তুলে নেয়ার বিষয়ে আলোচনা হয়। বাদী আপোষের কথা না মানলে সোহেল তাকে তার একান্ত রুমে নিয়ে আলাপ করে। সোহেল বাদিনীকে বলে তাকে সন্তুষ্ট করতে পারলে তাকে জমি ফের দিবে।

বাদী অন্তঃসত্ত্বা জানালেও আসামি পারভীনের সহযোগিতায় আসামি সোহেল বাদিনীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে, যা আসামি পারভীন ভিডিও ধারণ করে। ধর্ষণের পর বাদিনী দরজায় ধাক্কা মেরে বের হওয়ার চেষ্টা করলে আসামি কাজী সামছুর রহমান এবং হারুন অর রশিদ তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। মামলা তুলে না নিলে ধর্ষণের ভিডিও ইন্টারনেটে ছেড়ে দেয়ার হুমকি দেয়।

ঢাকাটাইমস/২৮মে/আরজে/এমআর