জঙ্গিদের কার্যক্রমের সঙ্গে আজকের ছাত্রলীগের মিল দেখছেন ভিপি নূর

প্রকাশ | ২৯ মে ২০১৯, ১৭:২৬

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

এখনকার ছাত্রলীগের কার্যক্রমের সঙ্গে জঙ্গিদের কার্যক্রমের সাদৃশ্য দেখছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকুস) ভিপি নুরুল হক নুর। বাঙালির ঐতিহ্যবাহী উৎসব পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠানে অগ্নিসংযোগ আর পবিত্র রমজানের ইফতার মাহফিলে ছাত্রলীগের হামলার ঘটনা সেটাই প্রমাণ করছে বলে দাবি ডাকসু ভিপির। হত্যার উদ্দেশ্যে পরিকল্পিতভাবে তার ওপর হামলা করানো হচ্ছে বলেও অভিযোগ তার।

সম্প্রতি একটি ইফতার অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বাধা আর বগুড়ায় হামলার শিকার হন ভিপি নুর। ঢাকায় ফিরে চিকিৎসাধীন থাকার পর বুধবার দুপুরে ঢাবির মধুর ক্যান্টিনে এক সংবাদ সম্মেলনে আসেন তিনি।

নিজের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করে নুরুল হক নুর বলেন, ‘বগুড়া ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হামলা স্বাভাবিক কোনো ঘটনা না। আমাদের মনে হচ্ছে এগুলো পরিকল্পিত একটি ঘটনা। আমাকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের মাধ্যমে পরিকল্পিতভাবে হামলাগুলো করানো হচ্ছে।’

নুর বলেন, ‘গত ২৫ মে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ইফতার মাহফিল ছিল। সেখানে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতির নেতৃত্বে ইফতার মাহফিল প্রতিহত করা হয় তখন আমরা রাস্তার পাশে বসে ইফতার করেছি।’

‘তার পরের দিন বগুড়ায় আমাদের ইফতার মাহফিল ছিল, সেখানে যাওয়ার আগে আমি থানা পুলিশকে বিষয়টি অবহিত করেছিলাম। আমরা পুলিশকে জানিয়েছিলাম যে নিরাপত্তা নিয়ে আমরা কিছুটা শঙ্কিত, তারা বলেছেন তারা নিরাপত্তা সহযোগিতা করতে পারবেন না।’

তিনি বলেন, ‘এরপর আমরা জেলার অন্যান্য পুলিশের সঙ্গে কথা বললে তারা আমাদেরকে যাওয়ার অনুমতি দেন। অথচ তারা আমাদের নিরাপত্তা দিতে পারেনি। আমরা সেখানে জেলা গ্রন্থাগারের সামনে পৌঁছালে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে হামলা হয়। তারা জঙ্গি হামলার মতো আমাদের উপর হামলা করে। এক পর্যায়ে আমি পড়ে গেলে আমার সঙ্গে রাতুলসহ অন্যান্যদের রড দিয়ে পিটায় এবং আমার পায়ে ইট দিয়ে আঘাত করে।’

একসময় ছাত্রলীগের রাজনীতিতে যুক্ত নুর বলেন, ‘ছাত্রলীগ বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া একটি ঐতিহ্যবাহী ছাত্র সংগঠন। পবিত্র রমজানে হামলা করে তারা প্রমাণ করছে যে, তারা সাম্প্রদায়িক শক্তিতে পরিণত হচ্ছে।’

‘ছাত্রলীগের কার্যক্রম সাম্প্রতিককালের জঙ্গিদের কার্যক্রমের সাথে সাদৃশ্য মনে হচ্ছে আমাদের। কিছুদিন আগেও তারা বাঙালির ঐতিহ্যবাহী উৎসব পহেলা বৈশাখে অগ্নিসংযোগ করেছে।’

ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে পদ-পদবী এবং বেশ কিছু অফার দেয়া হয়েছিল দাবি করে নুর বলেন, ‘বিভিন্ন মাধ্যমে তারা সব সময় আমাকে বলেছিলেন ছাত্রলীগের রাজনীতি করলে আমাকে সকল ধরনের সুযোগ-সুবিধা দেয়া হবে।’

‘আমি তাদের সাথে যায়নি বলে তারা পরিকল্পিতভাবে আমার উপর হামলা চালাচ্ছে। আমি আমার জীবন নিয়ে শঙ্কিত। আমি প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানাই, যারা ছাত্রলীগের নামে যারা সন্ত্রাসী কার্যক্রম করছে তিনি যেন তাদের বিচারের আওতায় আনেন।’

এসময় ডাকসুর সমাজসেবা সম্পাদক আখতার হোসেনসহ কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

(ঢাকাটাইমস/২৯মে/বিইউ/ডিএম)