বগুড়ায় ডাকাত-পুলিশ গোলাগুলি, গ্রেপ্তার ৬

বগুড়ায় ডাকাতির চেষ্টার সময় গোয়েন্দা পুলিশের সঙ্গে ডাকাতদের গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টায় মোকামতলা-জয়পুরহাট সড়কের শিবগঞ্জ থানার আমতলী ব্রিজের পূর্ব পাশে এ ঘটনা ঘটে। গোলাগুলির ঘটনায় দুই ডাকাত গুলিবিদ্ধ এবং তিন পুলিশ আহত হন।

ঘটনার পর পুলিশ ছয় ডাকাতকে গ্রেপ্তার করে। পরে ঘটনাস্থল থেকে একটি একনলা শুটার গান, দুই রাউন্ড গুলি, দুটি হাসুয়া, দুটি গ্রিল কাটারসহ ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি উদ্ধার করা হয়।

গ্রেপ্তাররা হলেন বগুড়া জেলার কাহালু থানার ভুগইল পশ্চিমপাড়ার আবির হোসেনের ছেলে রমজান আলী, তার ছোট ভাই আব্দুল করিম, একই গ্রামের সামছুরের ছেলে মুক্তার হোসেন, বগুড়া সদরের নামুজা পাল্লা গ্রামের শাজাহান আলীর ছেলে ইউসুফ আলী, শিবগঞ্জ উপজেলার সাদুল্যাপুর গ্রামের আমজাদ হোসেনের ছেলে আব্দুর রাজ্জাক এবং গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ি থানার ফলিয়া গ্রামের মোকছেদুর রহমানের ছেলে রায়হান কবির। তাদের মধ্যে রমজান আলী ও আব্দুর রাজ্জাককে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এছাড়া ডাকাতদের হামলায় আহত গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) রুহুল, কনস্টেবল সেলিম এবং কনস্টেবল রুহুল পুলিশ লাইন্স হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।

বগুড়া জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম আলী ঢাকাটাইমসকে জানান, আমতলী ব্রিজের পাশে কয়েকজন ব্যক্তি সন্দেহজনকভাবে ঘোরাফেরা করছে এমন খবরে সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়। পুলিশ সেখানে পৌঁছামাত্রই ওই ব্যক্তিরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। পুলিশ পাল্টা গুলি ছুড়লে দুইজন গুলিবিদ্ধ হয়। পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ ধাওয়া করে চারজনকে গ্রেপ্তার করে। এ সময় অস্ত্রসহ ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি উদ্ধার করা হয়।

গ্রেপ্তারদের মধ্যে গুলিবিদ্ধ রমজানের নামে বগুড়া, নওগাঁ ও দিনাজপুর জেলায় হত্যা ও ডাকাতির অভিযোগে ১৪টি, আব্দুর রাজ্জাকের নামে ছয়টি এবং করিমের নামে চারটি মামলা রয়েছে। গ্রেপ্তার সবার বিরুদ্ধে শিবগঞ্জ থানায় মামলা হয়েছে।

(ঢাকাটাইমস/৩১মে/এমআর)