মির্জাপুরে চার চাতালকল কালো তালিকাভুক্ত

মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ৩১ মে ২০১৯, ১৮:৩৯

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে চাল সংগ্রহে অনিয়মের ঘটনায় তিন কর্মকর্তাকে বদলি করা হয়েছে। এছাড়া চার চাতালকলকে কালো তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। অপরদিকে চাল গুদামে মজুত করার জন্য শ্রমিকদের নিয়ন্ত্রণকারী হারুন অর রশিদের বিরুদ্ধেও কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নেবে বলে জানা গেছে।

উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় সূত্র মতে, এ বছর মির্জাপুর উপজেলায় সরকারিভাবে ১ হাজার ৪৮২ মেট্রিক টন চাল সংগ্রহ করার কথা। ৬ মে উপজেলার সাতজন চাতালকল মালিক জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হন। চাতালকল মালিকদের সঙ্গে চাল সংগ্রহের জন্য জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক চুক্তিবদ্ধ থাকলেও মির্জাপুরের খাদ্য নিয়ন্ত্রক ও খাদ্যগুদাম-সংশ্লিষ্টরা ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে উত্তরাঞ্চলসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে চাল সংগ্রহ করেন। এজন্য গুদামের কর্মকর্তাদের কেজি প্রতি তিন থেকে পাঁচ টাকা হারে ঘুষ দিতে হয়েছে বলে চাতাল কল মালিকেরা জানান।

‘মির্জাপুরে সরকারি চাল সংগ্রহে অনিয়মের অভিযোগ’ শিরোনামে দেশের প্রভাবশালী অনলাইন নিউজ পোর্টাল ঢাকাটাইমস এ সংবাদ প্রকাশিত হয়। সংবাদটি প্রকাশের পর অনিয়ম তদন্তে টাঙ্গাইল জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক গঠিত তদন্ত কমিটি ২৩ মে বৃহস্পতিবার মির্জাপুর খাদ্য গুদাম ও চুক্তিবদ্ধ চাতালকল পরিদর্শন করেন। একই দিন খাদ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) পরিমল চন্দ্র সরকার, পরিচালক (সংগ্রহ) জুলফিকার রহমান ও কৃষি মন্ত্রীর জনসংযোগ কর্মকর্তা সুমন মেহেদী খাদ্য গুদাম ও চাতালকলগুলো পরিদর্শন করেন।

এদিকে খাদ্যগুদাম ও চাতালকল পরিদর্শন করে পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনের সত্যতা পান সংশ্লিষ্টরা। পরে তদন্তদল সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে সরেজমিন পরিদর্শনের প্রতিবেদন জমা দেন। এতে বন্ধ চাতালকলের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হওয়া ও সরেজমিনে পরিদর্শন না করে চাল সংগ্রহের প্রত্যয়ন প্রদানের কথাও উল্লেখ করা হয় বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়।

তদন্তদলের প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. নাজমানারা খানুম ও আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক জামাল হোসেন স্বাক্ষরিত পৃথক পত্রের মাধ্যমে মির্জাপুর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আলী আজম, খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তোফায়েল আহমেদ এবং সহকারী খাদ্য পরিদর্শক মো. কায়েস এই তিন কর্মকর্তাকে শাস্তিমূলক এ বদলির আদেশ দেন।

এছাড়া উপজেলার দেওহাটা এলাকার ইন্নছ রাইচ মিল, তরফপুরের হেলাল উদ্দিন রাইচ মিল, কদিমধল্যার কাজী রাইচ মিল ও থ্রি ব্রাদার্স রাইচ মিলকে কালো তালিকাভুক্ত করা হয়।

তিন কর্মকর্তার মধ্যে মির্জাপুর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আলী আযমকে বরিশালের বাকেরগঞ্জ, উপজেলা খাদ্য পরিদর্শক মোহাম্মদ তোফায়েল আহমেদকে শরিয়তপুরের গোসাইরহাট এবং সহকারী খাদ্য পরিদর্শক কায়েসকে ফরিদপুর সদরে বদলি করা হয়েছে।

জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক গঠিত তদন্ত দলের সদস্য এন এম রফিকুল আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, গুদামে চাল মজুদের কাজে নিয়োজিত শ্রমিকদের নিয়ন্ত্রণকারী হারুন অর রশিদ খাদ্য অধিদপ্তরের কেউ নন। তারপরও তার বিরুদ্ধে কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নেবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

(ঢাকাটাইমস/৩১মে/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশ এর সর্বশেষ

ফেসবুক আইডি ক্লোন করে প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ, যুবক গ্রেপ্তার

ফরিদপুর প্রেসক্লাবের নবনির্বাচিত নেতৃবৃন্দের সঙ্গে পুলিশ সুপারের মতবিনিময়

পতেঙ্গায় ফিশিং বোটের ইঞ্জিন বিস্ফোরণে ৪ জন দগ্ধ

চট্টগ্রামে ঈদকে সামনে রেখে জালনোট চক্রের ৩ সদস্য গ্রেপ্তার

বরিশালে নামাজের সময় মসজিদের এসি বিস্ফোরণ

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে দ্রুতগতির লেনে যাত্রী নামানোর অপরাধে ৩৩ যানবাহনকে মামলা 

বরগুনা প্রেসক্লাব দখলের মামলায় ৭ জন কারাগারে  

পর্যটকদের আকৃষ্ট করছে তাহিরপুরের শহীদ সিরাজ লেক

ঝিনাইদহে ভর্তুকি মূল্যে টিসিবির পণ্য বিক্রি শুরু

ঢাকা-ময়মনসিংহ সড়কে বেতন বৃদ্ধির দাবিতে শ্রমিকদের বিক্ষোভ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :