আম খেলে কি ডায়াবেটিস বাড়ে কিংবা স্থূলতা?

ঢাকাটাইমস ডেস্ক
 | প্রকাশিত : ৩১ মে ২০১৯, ২১:৩১
কাঁচা হোক বা পাকা, বাঙালির পাতে আপাতত কয়েক মাস রোজ উঠবে নানা জাতের আম। রোজ রোজ এই সুমিষ্ট আম খাওয়া, তাতে শারীরিক স্থ’ূলতা বেড়ে যাবে না তো? কিংবা সুগার লেভেল ঠিক থাকবে তো?
এই চিন্তা কিন্তু একেবারে অমূলক নয়। তবে আমাদেরও আম নিয়ে হরেক ভুল ধারণা রয়েছে। অথচ গোলাপখাস, ল্যাংড়া, হিমসাগর এ সবকে চিন্তার দোহাই দিয়ে বাদ দিই কীভাবে। ঠিক কতটা আম খাওয়া উচিত? আমের যাবতীয় উপকার-অপকারগুলো জেনে নিলে সহজেই চিন্তামুক্ত হওয়া যাবে।’
ডায়াবেটিস আক্রান্ত মানুষ কি আম খেতে পারে?
ভারতের পুষ্টিবিদ মালবিকা দত্ত জানান, আমের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স ৫০ এর বেশি। গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কার্বোহাইড্রেটের সূচক। যত কম গ্লাইসেমিক রেটের খাবার খাওয়া হবে ততই শরীরের ভালো। ডায়াবেটিসের রোগী আম খেতে পারেন না, এ কথা ভুল। তবে ভরপেট খাওয়ার পরে দুপুরে বা রাতে আম খেলে তার রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়বে। সে ক্ষেত্রে বুদ্ধি করে আম খেতে হবে। যে দিন সকালে ব্রেকফাস্টে আম খাওয়া হচ্ছে, সেদিন দুপুরে খাবারের পরিমাণ কমিয়ে ফেলতে হবে। দেখতে হবে শরীরে জমা অতিরিক্ত ক্যালরি যেন ঝরিয়ে ফেলা যায়।
পাকা মিষ্টি আম একজন ডায়াবেটিস রোগী দৈনিক ৩০ থেকে ৪০ গ্রাম খেতে পারেন। মানে প্রতিদিন একটি ছোট আম বা অর্ধেক মাঝারি আম খাওয়া যাবে।
আম খেলে কি ওজন বাড়ে?
একটি সাধারণ হিমসাগর বা ল্যাংড়া আমের খোসা ও আঁটি ছাড়িয়ে নিলে প্রায় ২০০ গ্রাম অবশিষ্ট থাকে। এতে ক্যালোরির পরিমাণ প্রায় ১৫০। শর্করা ৩৩.৮ গ্রাম, ক্যালসিয়াম ২৮ মিলিগ্রাম, লৌহ ২.৬ মিলিগ্রাম, ভিটামিন এ ৫০০০ মাইক্রোগ্রামের উপর। আঁশ আছে প্রচুর, ৭ গ্রামের বেশি। পটাশিয়াম ১৯৬ মিলিগ্রাম, ম্যাগনেসিয়াম ৩০২ মিলিগ্রাম।
এই ব্যাপারেও সেই একই কথা বলছেন মালবিকা দেবী। খাবারে পরে আম খেলে শরীরে অতিরিক্ত শর্করা যোগ হয়। যাঁরা ক্যালোরি মেপে খাবার খান, তারা আমকে পাতে রাখতে খামোকা ভয় পাবেন না।
আমের অন্যান্য গুণ
১. আমের মধ্যে আছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা কোলন-সহ প্রোস্টেট ক্যানসার প্রতিরোধে সাহায্য করে। স্তন ক্যানসার ও লিউকিমিয়ার ক্ষেত্রেও আমের উপকার লক্ষণীয়। এতে প্রচুর পরিমাণে এনজাইমও থাকে।
২. ত্বকের যতেœও অনেক উপকারি এই ফলটি। ভিতর ও বাইরে থেকে ত্বককে সুন্দর রাখতে সাহায্য করে। ত্বকের রোমের গোড়া পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে আম।
৩. আম চোখের জন্যও উপকারী। মানুষের শরীরে প্রয়োজনীয় ভিটামিন ‘এ’-এর চাহিদার প্রায় পঁচিশ শতাংশের যোগান দিতে পারে। ভিটামিন এ চোখের জন্য খুবই উপকারী। দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি এবং রাতকানা রোগ থেকে রক্ষা করে। আমে পাওয়া যায় টারটারিক অ্যাসিড, ম্যালিক অ্যাসিড ও সাইট্রিক অ্যাসিড যা শরীরে অ্যালকালাই বা ক্ষার ধরে রাখতে সহায়তা করে। আমে রয়েছে এনজাইম, যা শরীরের প্রোটিন অণুগুলো ভেঙে ফেলতে সাহায্য করে এবং হজমশক্তি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। এ ছাড়াও আমে রয়েছে প্রায় ২৫ রকমের বিভিন্ন কেরাটিনয়েডস যা আপনার ইমিউন সিস্টেমকে রাখবে সুস্থ ও সবল।
কাজেই, জমিয়ে আম খান। শুধু রাশটা টানুন সময়মতো।
(ঢাকাটাইমস/৩১মে/মোআ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

স্বাস্থ্য বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

স্বাস্থ্য এর সর্বশেষ

ঔষধি গাছ থেকে তিন শতাধিক ওষুধ তৈরি হচ্ছে ইরানে

কণ্ঠের সব চিকিৎসা দেশেই রয়েছে, বিদেশে যাওয়ার প্রয়োজন নেই: বিএসএমএমইউ উপাচার্য 

এপ্রিল থেকেই ইনফ্লুয়েঞ্জা মৌসুম শুরু, মার্চের মধ্যে টিকা নেওয়ার সুপারিশ গবেষকদের

স্বাস্থ্য খাতে নতুন অশনি সংকেত অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

ভাতা বাড়লো ইন্টার্ন চিকিৎসকদের

বিএসএমএমইউ বহির্বিভাগ ৪ দিন বন্ধ, খোলা থাকবে ইনডোর ও জরুরি বিভাগ

তৃণমূল পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীদের কাজ করতে বললেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী

বিএসএমএমইউতে বিশ্বের সর্বোৎকৃষ্ট মানের চিকিৎসা নিশ্চিত করা হবে: ভিসি দীন মোহাম্মদ

ঈদের ছুটিতে স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে যেসব নির্দেশনা মানতে হবে হাসপাতালগুলোকে

কেন বিপজ্জনক হয়ে উঠেছিল অ্যানেসথেসিয়ার পুরনো ওষুধ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :