ট্রেনের আগাম টিকিট

রাত থেকেই চেয়ার পেতে কালোবাজারিদের সিরিয়াল!

জয়পুরহাট প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ০২ জুন ২০১৯, ১০:৪৩

জয়পুরহাটে ট্রেনের ফিরতি টিকিট নিতে রেল রেলস্টেশনে প্রতিদিন রাত থেকেই কিছু চেয়ার দিয়ে সিরিয়াল দেয়া হচ্ছে। সকালে এসে ওই চেয়ারে বসে কালোবাজারিরা টিকিট সংগ্রহ করছে বলে অভিযোগ করছেন যাত্রীরা। ট্রেনে আসন সংখ্যা কম এবং ঈদ উপলক্ষে অতিরিক্ত ট্রেন সেবা না থাকায় ফিরতি টিকিট পেতে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে সাধারণ যাত্রীদের।

জয়পুরহাট রেলওয়ে গত ২৭ মে থেকে ধারাবাহিকভাবে ফিরতি টিকেট বিক্রি শুরু করেছে, যা চলবে ৬ জুন পর্যন্ত।

তবে এসব টিকিট কালোবাজারিরা সংগ্রহ করে পরে তারা তিনগুণ দামে বিক্রি করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রমাণ না থাকায় এসব কালোবাজারি রয়ে যাচ্ছে ধরাছোঁয়ার বাইরে। কালোবাজারি চক্রের হাতে টিকিট চলে যাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন দীর্ঘ সময় লাইনে দাঁড়িয়ে থেকেও টিকিট না পাওয়া মানুষেরা।

জয়পুরহাট থেকে দ্রুতযান এক্সপ্রেস সকালে এবং নীলসাগর ও একতা এক্সপ্রেস রাতে ছেড়ে যায়। এই ট্রেনগুলোর মধ্যে দ্রুতযান এক্সপ্রেসে শোভন চেয়ার ৩০টি, এসি চেয়ার চারটি, বার্থ নেই। নীলসাগর এক্সপ্রেসে শোভন চেয়ার ৫০টি, এসি চেয়ার পাঁচটি, বার্থ দুটি। একতা এক্সপেসে শোভন চেয়ার ৪০টি, এসি চেয়ার তিনটি, বার্থ নেই। এর মধ্যে আবার অর্ধেক অনলাইনে সরবরাহ করা হচ্ছে। বাকি অর্ধেকের জন্য স্টেশনে প্রতিদিন লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে টিকিট কিনতে হয় যাত্রীদের। সকাল ৯টা থেকে টিকিট বিক্রি শুরু হলেও একদিন আগে থেকেই চেয়ার দিয়ে সিরিয়াল দিয়ে রাখা হয়। ভোর থেকেই লম্বা লাইন লেগে যায়। মাত্র এক ঘণ্টার মধ্যেই তিনটি ট্রেনের সব টিকিট বিক্রি হয়ে যায় বলে জানানো হয়।

আগের দিন থেকেই সংঘবন্ধ কালোবাজারিদের ভাড়া করা লোকজন লাইনে সিরিয়াল নিয়ে থাকে। কিন্তু সে টিকিট সাধারণ মানুষ পর্যন্ত আসতে আসতেই চলে যায় কালোবাজারি চক্রের হাতে। পরে তারা তিনগুণ দাম যোগ করে প্রতিটি টিকিট বিক্রি করে বলে অভিযোগ রয়েছে।

অভিযোগ আছে জয়পুরহাট ঢাকা শোভন চেয়ারের মূল্য ৩৯০ টাকা হলেও তারা দেড় হাজার টাকায় বিক্রি করছে। আর এসি চেয়ারের মূল্য ৭৪২ টাকা হলেও তা বিক্রি হচ্ছে তিন হাজার টাকায়। এ ব্যাপারে লাইনে থাকা কেউ কথা বলতে রাজি হয়নি।

জয়পুরহাট রেলস্টেশন মাস্টার হাবিবুর রহমান ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘কালোবাজারিদের মাধ্যেমে টিকিট বিক্রি হচ্ছে বলে আমার জানা নেই। আমাদের রেলওয়ে কোনো কর্মকর্তা জড়িত নেই। চেয়ার দিয়ে সিরিয়ালের বিষয়টি আমি জানি না।’ তিনি বলেন, কেউ চেয়ার দিয়ে সিরিয়াল দিলে তা বন্ধ করা হবে।

(ঢাকাটাইমস/০২জুন/জেবি)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :