চলে গেলেন অধ্যাপক মমতাজউদদীন

চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেলেন নাট্যকার, নির্দেশক ও অভিনেতা অধ্যাপক মমতাজউদদীন আহমদ। রবিবার বিকাল পৌনে চারটার দিকে রাজধানীর অ্যাপোলো হাসপাতালে তিনি মৃত্যুবরণ করেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

তমমতাজউদদীনের ভাগিনা শাহরিয়ার মাহমুদ প্রিন্স একথা জানিয়েছেন।

অধ্যাপক মমতাজউদদীন আহমদ বেশ কয়েক বছর ধরেই শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছিলেন। মাঝে একাধিকবার তাকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছিল।

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, মমতাজউদদীন আহমদের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হবে রবিবার বাদ মাগরিব গুলশান আজাদ মসজিদে। এরপর মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে মিরপুরের বাসায়। সোমবার সকালে দ্বিতীয় জানাজা হবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মসজিদে। এরপর দাফনের জন্য নিয়ে যাওয়া হবে চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাট গ্রামে। জীবদ্দশায় সেখানেই দাফনের ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন তিনি।

এদিকে মমতাজউদদীন আহমদের ছেলে তিতাস মাহমুদ যুক্তরাষ্ট্র থেকে আগেই দেশে এসেছেন বাবার অসুস্থতার খবর পেয়ে।

গত ১৬ মে থেকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন মমতাজউদদীন। দুদিন আগে শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে (আইসিইউ) নেওয়া হয়েছে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন। তার শরীরও অক্সিজেন পাচ্ছিলো না। মস্তিষ্কেও পানি জমেছে।

অধ্যাপক মমতাজউদদীন আহমদ স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশের নাট্য আন্দোলনের অন্যতম পথিকৃৎ। ১৯৯৭ সালে নাট্যকার হিসেবে একুশে পদকে ভূষিত হন। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগে খ-কালীন শিক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন তিনি।

এ ছাড়া বিভিন্ন সরকারি কলেজে ৩২ বছর বাংলা ভাষা সাহিত্য এবং বাংলা ও ইউরোপীয় নাট্য বিষয়ে শিক্ষকতা করেন। তিনি ১৯৭৬-৭৮ সাল পর্যন্ত জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যসূচি প্রণয়নে একজন বিশেষজ্ঞ হিসেবে কাজ করেন।

১৯৭৭-৮০ সাল পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে গবেষণা ও প্রকাশনা বিভাগের পরিচালক ছিলেন।

ঢাকাটাইমস/০২জুন/বিইউ/ইএস