কারাগারে অমিত খুন: আসামি রিপন রিমান্ডে

চট্টগ্রাম ব্যুরো, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ০৩ জুন ২০১৯, ১৬:৪৪
রিপন নাগ

চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী অমিত মুহুরী খুনের মামলায় আসামি রিপন নাথকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। জিজ্ঞাসাবাদে রিপনের কাছ থেকে অমিতকে খুনের মূল কারণ জানা যাবে বলে আশা করছে মামলার তদন্তকারী সংস্থা নগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। সোমবার চট্টগ্রামের অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম মো. মহিউদ্দিন মুরাদ এই আদেশ দেন।

নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (প্রসিকিউশন) মো. কামরুজ্জামান বলেন, ‘যেহেতু আসামি রিপন নাথ আগে থেকেই কারাগারে আছে, সেজন্য তদন্তকারী কর্মকর্তা তাকে মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর জন্য আদালতে আবেদন করেছিলেন। একইসঙ্গে ১০ দিন রিমান্ডে রেখে জিজ্ঞাসাবাদের আবেদন করেছিলেন। আদালত রিপনকে গ্রেপ্তার দেখানোর পাশাপাশি পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।’

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পরিদর্শক আজিজ আহমেদ জানান, রিপন হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করলেও কেন অমিতকে খুন করেছে সেটা এখনও জানায়নি। রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে তার কাছ থেকে খুনের নেপথ্যের সব তথ্য জানতে পারব বলে আশা করছি।

গত ২৯ মে রাত ১১ টার দিকে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে অমিতকে গুরুতর জখম অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। রাত ১টার দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করেন দায়িত্বরত চিকিৎসক। অমিত মুহুরী নিহতের ঘটনায় পরদিন নগরীর কোতোয়ালী থানায় মামলা দায়ের করেন চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার নাশির আহমেদ। মামলায় অমিত যে কক্ষে আহত হয়েছেন অর্থাৎ ৩২ নম্বর সেলের ৬ নম্বর কক্ষের আরেক কয়েদি রিপন নাথকে (২৭) আসামি করা হয়েছে।

মামলায় কারা কর্তৃপক্ষ বলছে, রিপনের সঙ্গে কথা কাটাকাটি ও মারামারির জেরে অমিতকে মাথায় ইট দিয়ে আঘাত করে খুন করা হয়েছে। তবে পুলিশ ও জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা কারাগারে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বলেছেন, ঘুমন্ত অবস্থায় অমিতকে মাথায় ইট দিয়ে আঘাত করে হত্যা করা হয়েছে।

মামলা দায়েরের পর সিএমপি কমিশনারের নির্দেশে সেটি তদন্তের দায়িত্ব নেয় নগর গোয়েন্দা পুলিশ। এদিকে কারাগারে অমিত খুনের ঘটনা তদন্তে কারা অধিদপ্তর ও চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন আলাদা দুটি কমিটি করেছে।

কারা অধিদফতরের গঠিত তিন সদস্যের কমিটির নেতৃত্ব দিচ্ছেন অতিরিক্ত কারা মহাপরিদর্শক কর্নেল মো. আবরার হোসেন। কারা অধিদফতরের চট্টগ্রাম রেঞ্জের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি-প্রিজন) ফজলুল হক এবং নোয়াখালী কারাগারের জ্যেষ্ঠ তত্ত্বাবধায়ক মনির হোসেন কমিটিতে সদস্য হিসেবে আছেন। এছাড়া, জেলা প্রশাসকের গঠিত এক সদস্যের তদন্ত কমিটির দায়িত্ব পেয়েছেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাশহুদুল কবীর।

উল্লেখ্য, বন্দরনগরীর নন্দনকাননে বন্ধুকে নৃশংসভাবে খুনের পর ড্রামে ভরে এসিড দিয়ে লাশ গলিয়ে দিঘীতে ফেলার মামলায় ২০১৭ সালের ২ সেপ্টেম্বর ‘ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসী’ অমিত মুহুরী গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে ছিলেন। অমিত যুবলীগের কেন্দ্রীয় উপ-অর্থ বিষয়ক সম্পাদক হেলাল আকবর চৌধুরী বাবরের বলয়ে সক্রিয় ছিল। তার বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি খুনের মামলা রয়েছে।

(ঢাকাটাইমস/০৩জুন/ডিএম/জেবি)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বন্দর নগরী বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :