টিফিনের টাকা বাঁচিয়ে পথশিশুদের মুখে হাসি

প্রকাশ | ০৩ জুন ২০১৯, ১৭:১০ | আপডেট: ০৩ জুন ২০১৯, ১৮:০০

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

টিফিনের টাকা ও কলেজে যাতায়াতের টাকা বাঁচিয়ে পথশিশুদের মাঝে ঈদের নতুন পোশাক বিতরণ করেছে একদল কলেজছাত্র। সোমবার বিকালে রাজধানীর মোহাম্মদপুরে সুবিধাবঞ্চিত তিন শতাধিক শিশু ও রিকশাচালকের হাতে তুলে দেয়া হয় ঈদের নতুন পোশাক।

শ্যামলী আইডিয়াল পলিটেক ইনস্টিটিউটের তিনজন ছাত্র স্বপ্রণোদিত হয়ে এ আয়োজন করেন। ঈদের পোশাক বিতরণের মূল উদ্যোক্তা ছিলেন রাজ রবিন, কাওছার আহমেদ ইমন ও উবায়দুর রহমান লিও।

রাজ রবিন ঢাকাটাইমসকে জানান, রাজধানীর অনেক এলাকাতেই হতদরিদ্র, সুবিধাবঞ্চিত মানুষ তাদের চোখে পড়েছে। তাদের জন্য অনেক কিছু করার ইচ্ছে থাকলেও তা সম্ভব হয়নি। তিন বন্ধু নিজেদের হাত খরচ বাঁচিয়ে, ঈদে নিজেদের পোশাক কেনার খরচ বাঁচিয়ে এবার উদ্যোগ নিয়ে আয়োজনটা করেছেন। তবে তাদের জমানো টাকার পরিমাণ ছিল খুবই কম। তাদের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন তাদের বন্ধুবান্ধব ও স্থানীয় মুরব্বিরা।

কিশোরদের এমন উদ্যোগে আর্থিক সহযোগিতা করেছেন অনেকেই। ফলে ক্ষুদ্র আয়োজন ধারণ করেছে বড় আকার। সোমবার ঈদের নতুন পোশাক পেয়ে মুখে হাসি ফুটেছে তিন শতাধিক মানুষের।

রবিন বলেন, ‘আমি স্বার্থক, আমি বাংলাদেশে জন্মেছি। দেশকে ডিজিটাল করার লক্ষ্যে যে পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে, দেশের দরিদ্য দূর করতে যে আপ্রাণ চেষ্টা সরকার চালিয়ে যাচ্ছে। আমাদের এই ঈদে জামা-কাপড় বিতরণ সরকারের সেই প্রচেষ্টাকে এগিয়ে দিতে পারে।’

দেশের প্রতিটি শিক্ষার্থী তাদের জায়গা থেকে সমাজের প্রতি নিজের দায়িত্ব পালন করলে খুব দ্রুতই বাংলাদেশ দারিদ্র্যমুক্ত হবে বলে আশা প্রকাশ করেন এই শিক্ষার্থী। বলেন, ‘আমাদের মতো করে দেশের প্রতিটি শিক্ষার্থী যদি নিজের সাধ্য অনুযায়ী দরিদ্রদের পাশে দাঁড়ায়, তাহলে আমরা বিশ্বাস করি, বাংলাদেশ খুব দ্রুতই দারিদ্রমুক্ত হবে এবং ডিজিটাল দেশ হিসেবে বিশ্বের বুকে জায়গা করে নেবে।’

কিশোরদের সঙ্গে দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিতদের ঈদের নতুন পোশাক বিতরণে সার্বিক সহযোগিতা করেছেন মোহাম্মদপুর থানা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সদস্য আবু সায়েম শাহিন।

(ঢাকাটাইমস/০৩জুন/কারই/জেবি)