স্বেচ্ছায় কারাবরণ চেয়ে থানায় ২১ সাংবাদিকের অবস্থান
সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের ২১ জন সিনিয়র সাংবাদিকের নামে ‘মিথ্যা মামলা’ হওয়ায় আসামিরা স্বেচ্ছায় কারাবরণ চেয়ে সদর থানায় অবস্থান করছেন। সোমবার বিকাল ৩টা থেকে এ কর্মসূচি শুরু হয়।
সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি আবু আহমেদের নেতৃত্বে সাবেক সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, সুভাষ চৌধুরী, আনিসুর রহিম, সহ-সভাপতি আশেক ই এলাহী, সাধারণ সম্পাদক মমতাজ আহমেদ বাপী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক এম কারুজ্জামান, ইয়ারব হোসেন, আব্দুস সামাদ, আব্দুল জলিল, আমিরুজ্জামান বাবু, এম জিললুর রহমান, আব্দুল গফুর, আসাদুজ্জামান মধুসহ ২১ জন সাংবাদিক এ কর্মসূচি পালন করছেন।
তাদের এ কর্মসূচিতে সংহতি প্রকাশ করেছেন সাতক্ষীরা সংবাদপত্র পরিষদের সভাপতি জিএম নূর ইসলাম, দৈনিক সাতনদী পত্রিকার সম্পাদক হাবিবুর রহমান, প্রথম আলোসহ বিভিন্ন পত্র-পত্রিকার সম্পাদক ও সাংবাদিকরা।
অবস্থান কর্মসূচি থেকে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি আবু আহমেদ বলেন, ৩০ মে দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সশস্ত্র হামলা চালায় সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনায় সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মমতাজ আহমেদ বাপি বাদী হয়ে ২৪ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন। এরপর জামায়াতের অর্থদাতা মনিরুজ্জামান তুহিন নামে এক সন্ত্রাসী এবং মামলার আসামি সোমবার মামলা করেন। এ মামলায় আসামি করা হয় সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু আহমেদ, সাবেক সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, সুভাষ চৌধুরী, আনিসুর রহিম, সহ-সভাপতি আশেক-ই এলাহী, সাধারণ সম্পাদক মমতাজ আহমেদ বাপী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক এম কারুজ্জামান, ইয়ারব হোসেন, আব্দুস সামাদ, আব্দুল জলিল, আমিরুজ্জামান বাবু, এম জিললুর রহমান, আব্দুল গফুর, আসাদুজ্জামান মধুসহ ২১ জন সাংবাদিককে। মামলাটি রেকর্ড হওয়ার পর সাংবাদিকরা গ্রেপ্তার না হওয়া পর্যন্ত সাতক্ষীরা সদর থানা চত্তরে অবস্থান ধর্মঘট করবেন বলে সিদ্ধান্ত নেন।
বক্তারা বিষয়টি সরকারের প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও স্পিকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
(ঢাকাটাইমস/৩জুন/এলএ)